কী দেখা গেছে গবেষণায়?
১১৮ ধরনের সিঁদুরের স্যাম্পেল সংগ্রহ করে তার উপর পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা দেখেছেন প্রায় ৮০ শতাংশ সিঁদুরেই নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে বেশি পরিমাণে লেদ রয়েছে। এই পরিমাণ লেদ নিয়মিত শরীরের সংস্পর্শে আসলে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু তাই নয়, হাত বা কোনও খাবারের সঙ্গে মিশে যদি লেদ শরীরের অন্দরে চলে চায়, তাহলে তা আরও বিপদের। প্রসঙ্গত, এই ১১৮ ধরের সিঁদুরের মধ্যে আমেরিকার বিভিন্ন স্টোরে বিক্রি হওয়া সিঁদুর যেমন ছিল, তেমনি দিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতার একাধিক দোকান থেকেও সিঁদুর সংগ্রহ করা হয়েছিল। দেখে গেছে আমেরিকা থেকে সংগ্রহ করা সিঁদুরের মধ্যে ৮৩ শতাংশ এবং আমাদের দেশে থেকে সংগ্রহ সিঁদুরের প্রায় ৭৮ শতাংশে বেশি মাত্রায় লেদ রয়েছে।
অতিরিক্ত মাত্রায় লেদ শরীরের সংস্পর্শে এলে কী হতে পারে?
চিকিৎসকেদের মতে লেদের মাত্রায় কম-বেশি হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। একেবারে সামান্য পরিমাণও যদি রক্তে মিশে যায়, তাহলে নার্ভের কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে, সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ারও কমে যায়। ফলে কোনও কিছু শেখার ক্ষমতা কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পেশির ক্ষমতা কমে যাওয়া, হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। এবার বুঝতে পরেছেন তো সিঁদুর কতটা ভযঙ্কর প্রভাব ফেলছে আমাদের শরীরের উপর।
সিঁদুরে কী পরিমাণে লেদ থাকলে তা ক্ষতিকারক নয়?
"এফ ডি এর"- নির্দেশনামা অনুসারে শুধু সিঁদুর নয়, যে কোনও প্রসাধনীতে লেদের মাত্রা প্রতি গ্রামে ২০ মাইক্রোগ্রামের থেকে বেশি হওয়া উচিত নয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এই পরিমাণের থেকে অনেক বেশি মাত্রায় লেদ মেশানো হচ্ছে সিঁদুরে। ফলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে মারাত্মকভাবে।
তাহলে উপায়:
এই বিষযে কোনও সন্দেহ নেই যে আমাদের দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে সিঁদুরের যোগ বেশ নিবিড়। তাই এই বিষয়ে শুধু শহরাঞ্চলে নয়, বিশেষ করে গ্রামে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। কারণ সবাইকে জানাতে হবে যে সিঁদুর ব্যবহার করলে স্বামীর কোনও ক্ষতি হবে না, এমন কথা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও পরিবারের প্রতিটি মানুষের যে মারাত্মক ক্ষতি হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই নিজের এবং প্রিয়জনদের কথা ভেবে যতটা সম্ভব কম মাত্রায় সিঁদুর ব্যবহার করা উচিত।