Just In
- 2 hrs ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 18 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 19 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 21 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস ডে: রক্তে চিনির মাত্রা কমাবেন কিভাবে জানা আছে কি?
প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে ১৫ মিনিট করে হাঁটলেই দেখবেন সুগার লেভেল নর্মাল হয়ে যাবে। তাই ডায়াবেটিকদের এই একটি বিষয়ে নজর রাখতে হবে।
গত কয়েক দশকে শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পয়েছে। আর এই তথ্যটি যে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার নয়, তা ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন এবং আই সি এম আর-এর রিপোর্ট দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যায়।
এমন পরিস্থিত হওয়ার পিছনে অনেক কারণ দায়ি। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা যদি একটা কারণ হয়, তাহলে শরীরচর্চার অভাব, ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া না করা, রাত জাগা, ওবেসিটি প্রভৃতি কারণও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো ডায়াবেটিসকে প্রথম সারির লাইফস্টাইল ডিজিজ হিসেবে বিবেচিত করে থাকেন চিকিৎসকেরা।
এখন প্রশ্ন হল, এমন অবস্থায় শরীর বাবাজি যাতে চিনির খপ্পরে না পরে, তার জন্য কী করা যেতে পারে? এই প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালানো হবে এই প্রবন্ধে। তাই তো বলি হে লাগামহীন যুবসমাজ, কম করে ৫০ অবধি সুস্থভাবে বাঁচতে চাইলে একবার এই প্রবন্ধে চোখ রাখা জরুরি। প্রসঙ্গত, আজ এই লেখায় এমন কিছু সহজ নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে, যা মেনে চললে দেখবেন শত চেষ্টা করেও ডায়াবেটিস শরীরকে বাগে আনতে পারবে না।
জীবনযাত্রার সঙ্গে যেহেতু এই রোগের সরাসরি যোগ রয়েছে, তাই যে কোনও নিয়ম মানা শুরু করার আগে জীবন শৈলীতে পরিবর্তন আনাটা জরুরি। না হলে কিন্তু কোনও উপকারই পাবেন না। তাই ঘুম থেকে খাওয়া-দেওয়া, এইসব ছোটখাট বিষযগুলির দিকে আগে নজর দিতে হবে। সেই সঙ্গে মেনে চলতে যে নিয়মগুলি, সেগুলি হল...
১. প্রতিদিন বার্লি খেতে হবে:
এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা দীর্য সময় পেট ভরিয়ে রাখে। সেই সঙ্গে শর্করার মাত্রা যাতে ঠিক থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। তাই তো ডায়াবেটিকদের এই খাবারটি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
২. হাঁটতে হবে:
প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে ১৫ মিনিট করে হাঁটলেই দেখবেন সুগার লেভেল নর্মাল হয়ে যাবে। তাই ডায়াবেটিকদের এই একটি বিষয়ে নজর রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে শরীরচর্চার সঙ্গে এই রোগের বাড়া-কমা অনেকাংশেই নির্ভর করে।
৩. মেথি:
প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম দুধে ১ চামচ মেথি পাউডার মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। অল্প দিনেই দেখবেন ডায়াবেটিস একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কারণ মেথিতে উপস্থিত বিশেষ কিছু উপাদান দ্রুত শর্করার মাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪. ফল:
জুস না খেয়ে ফল খাওয়া শুরু করুন। আসলে ফল খেলে শরীরে যে পরিমাণ ফাইবার যায়, তার থেকে অনেক কম যায় জুস খেলে। আর একথা তো সবাই জানেন যে শরীরে ফাইবারের পরিমাণ যত বাড়বে, তত নানাবিধ রোগ দূরে থাকবে। সেই সঙ্গে কমবে শর্করার মাত্রাও।
৫. সবুজ শাক-সবজি:
যেসব সবজিতে স্টার্চের পরিমাণ কম রয়েছে, তেমন সবজি বেশি করে খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমতে শুরু করে। এক্ষেত্রে পালং শাক, কর্নফ্লাওয়ার, লেটুস প্রভৃতি দারুন কাজে আসে।
৬. পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া জরুরি:
রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বেশি করে জল খেতে হবে। কারণ শরীরে জলের পরিমাণ যত কমবে, তত কিন্তু পরিস্থিত হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। তাই ডায়াবেটিকদের এই বিষয়টি মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন।
৭. ভিটামিন ডি:
শরীরে এই ভিটামিনটির ঘাটতি দেখা দিলে ইনসুলিন রেজিসটেন্সের আশঙ্কা থাকে। আর এমনটা হলে রক্ত সুগারের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। তাই আজ থেকেই ভিটামিন- ডি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- মাছ, দুধ, কমলা লেবুর রস, সোয়া দুধ এবং ডিম খাওয়া শুরু করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে একবার এই বিষয়ে পরামর্শ করে নিতে পারেন।
৮. অ্যালো ভেরা:
পরিমাণ মতো হলদ গুঁড়োর সঙ্গে অ্যালো ভেরা জুস, অল্প করে তেজপাতা এবং জল মিশিয়ে একটা পানীয় বানিয়ে ফেলুন। প্রতিদিন রাতে খাবারের আগে এই পানীয়টি খেলে ডায়াবেটিস একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
৯. কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খেতে হবে:
ভাতের মতো কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেলে শরীরে হঠাৎ করে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ কার্বোহাইড্রেট শরীরে প্রবেশ করার পর দেহ তাকে ভেঙে চিনিতে রূপান্তরিত করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুগার লেভেল মাত্রা ছাড়ায়। সেই কারণেই তো পরিবারে ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস থাকলে ভাত খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।
১০. ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বেশি মাত্রায় ফাইবার রয়েছে এমন খাবার বেশি মাত্রায় খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি ওজনও কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, ডাল, ব্রকলি, স্প্রাউট, জাম, অ্যাভোকাডো, হোল হুইট পাস্তা এবং ওটস মিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।