Just In
- 1 hr ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 3 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 19 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 20 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
কী করে বুঝবেন আপনার ওজন একেবারে ঠিক আছে?
যদি পরীক্ষা করে দেখেন ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরলের মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধেনি, তাহলে কোনও চিন্তা নেই।
বাঙালিদের একটু ভুঁড়ি না হলে চলে বলুন! আরে মশাই আমরা হলাম গিয়ে এই পৃথিবীর সুখি মানুষদের অন্যতম। আর কথাতেই তো আছে ভুঁড়ি হল সুখি মানুষদের লক্ষণ। আর তাছাড়া রোজের পাতে একটু ধোঁয়া ওঠা ভাত আর মাছের কালিয়া পরলে মধ্যপ্রদেশ তো একটু বাড়বেই। তাই এ নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ আছে বলে তো চিকিৎসকেরা মনে করেন না। কিন্তু একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে একটু পেট ফুলতে শুরু করলেই সিংহভাগ ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় লেগে পরে। খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি চলতে থাকে শারীরির কসরতও। এতে শরীরের ভাল তো হয়ই না, উল্টে আরও ক্ষতি হয়ে যায়। তাই তো নিজের স্বাস্থ্য়কর ওজন কত হওয়া উচিত, সে সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা একান্ত প্রয়োজন।
উচ্চতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে একেক জনের ওজন এক এক রকম হওয়া উচিত। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, কী করে বুঝবেন যে আপনার উচ্চতার হিসেবে ওজন একেবারে ঠিক আছে? এক্ষেত্রে কতগুলি বিষয় নজরে রাখতে হবে, তাহলেই বুঝে যাবেন যে আপনার ওজন স্বাস্থ্য়কর কিনা। যেমন ধরুনি...
১. ওজন সম্পর্কিত শারীরিক সমস্যা আছে কি?
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা হয়ে থাকে। তাই এই বিষয়গুলির দিকে নজর রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। যদি পরীক্ষা করে দেখেন যে এই তিনটি রোগের কোনওটাই আপনার শরীরে বাসা বাঁধেনি, তাহলে কোনও চিন্তা নেই। সেক্ষেত্রে ওজন নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।
২. দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে কষ্ট হয় না তো?
অল্পতেই হাঁপিয়ে যান নাকি? উত্তর যদি না হয়, তাহলে ওজন নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারণ বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে শরীরের কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এনার্জির ঘাটিত দেখা দেয়। প্রসঙ্গত, আরেকটি বিষয় লক্ষ করেও আপনি আপনার ওজন সম্পর্তে সচেতন হতে পারেন? কী সেই বিষয়টি? আজকাল যে সব ট্রেন্ডি ড্রেস খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে, সেগুলির কেনওটি পরলে কী পেটটা বেরিয়ে থাকে অথবা খারাপ দেখতে লাগে? যদি এমনটা হয়, তাহলে ওজন কমানোর বিষয়ে ভাবতেই পারেন।
৩. লক্ষে পৌঁছানোর পর থামতেই হবে বন্ধু!
শরীরকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসক যে ওজনের মাপকাঠি বেঁধে দিয়েছেন, সেই লক্ষে পৌঁছানোর পর আর যাতে ওয়েট লস না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। না হলে শরীর ভাঙতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে নানা রোগও আক্রমণ করে বসতে পারে।
৪. শরীর বুঝে ব্যবস্থা:
ডায়াটেশিয়ান বলে দেওয়া পদ্ধতি মেনে যদি দেখেন ওজন সেভাবে কমছে না, তাহলে সেই একই ডায়েটচার্ট বা শরীরচর্চার নিয়ম মেনে চলবেন না। পরিবর্তে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নতুন কোনও পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন। প্রয়োজনে ডায়াটের দিকেও নজর দিতে হতে পারে। কারণ যে পরিমাণে ক্যালরি শরীরে ঢুকছে, সেই পরিমাণে যদি ক্ষয় না হয়, তাহলে কিন্তু শত চেষ্টা করেও ওজন কমবে না বন্ধুরা। এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল ওজন কমার পর কীভাবে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে হবে, সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের থেকে জেনে নেওয়াটা জরুরি। না হলে শরীরের উপর খারাপ প্রভাব পরতে পারে।