Just In
অতিরিক্ত কিশমিশ খান? এই সব স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে
কিশমিশে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকে, যেমন - আয়রন, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ইত্যাদি। কিসমিস খাওয়ার ফলে শরীরে রক্তাল্পতা হয় না, যা অ্যানিমিয়া থেকে বাঁচতে সহায়তা করে। এতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে যা রক্ত গঠনে কার্যকর। কিশমিশে উপস্থিত তামা লাল রক্তকণিকা গঠনে সহায়তা করে। এটি খাওয়ার অনেক সুবিধা রয়েছে, কিন্তু অতিরিক্ত কিশমিশ গ্রহণের কিছু অসুবিধাও রয়েছে, যা আপনার অবশ্যই জানা উচিত।
কিসমিস খাওয়ার অসুবিধা
১) অনেকেরই কিশমিশ খেলে অ্যালার্জি হয়। যদি আপনারও এই ধরনের কোনও সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কিশমিশ খাওয়া বন্ধ করুন।
২) অতিরিক্ত কিশমিশ গ্রহণের ফলে শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। ডায়রিয়া, বমি, জ্বরও দেখা যায়।
৩) কিশমিশে ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ প্রচুর পরিমাণে থাকে। এক্ষেত্রে, যাদের ওজন বেশি এবং ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তারা কিশমিশ খাবেন না। এটি গ্রহণের ফলে ওজন বাড়তে পারে।
৪) বেশি কিসমিস খাওয়ার ফলে গ্যাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন : রান্না করতে গিয়ে অসাবধানতায় আঘাত পেয়েছেন? কী করবেন জেনে নিন
৫) যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে তবে কিশমিশ কম খান। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
৬) বেশি কিশমিশ খাওয়ার ফলে শরীরে ক্যালরি বেড়ে যায় এবং ক্যালোরি বৃদ্ধির ফলে ওজনও বাড়তে পারে। আর ওজন বাড়ার কারণে আপনি আরও অনেক রোগের শিকার হতে পারেন।
৭) কিশমিশে উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইডস রয়েছে, যা হৃদরোগ, ফ্যাটি লিভার, লিভার ক্যান্সার, ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
১) কিশমিশ খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়। এতে ফাইবার থাকায় এটি পেট পরিষ্কার রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
২) রাতে কিছু কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রেখে দিন। এই জলটি পান করলে শরীরে উপস্থিত টক্সিনগুলি বেরিয়ে আসে। এইভাবে, আপনি লিভার, কিডনি, পাথর, ইত্যাদি রোগ এড়াতে পারবেন।
৩) জলে ভেজানো কিশমিশ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
৪) রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতেও আপনি কিশমিশ খেতে পারেন। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তারা জলে ভেজানো কিশমিশ খান। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে!