Just In
Don't Miss
গরমকালে বারে বারে চা খাওয়া কি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক?
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে গরমের সময় চা খেলে শরীরের অনেক উপকারে লাগে। তাই তো বছরের এই একটা সময় ভুলও চা পানে বিরতি দিতে মানা করেন বিশেষজ্ঞরা।
গরম হোক কি ঠান্ডা। বর্ষা হোক কি বন্যা, যে কোনও মরসুমেই সকাল-বিকাল চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে বাঙালির কোনও অনীহা নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, গরম কালে বারে বারে চা খাওয়া কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক? চলুন খোঁজ লাগান যাক সে বিষয়ে।
অনেকে মনে করেন তাপমাত্রা যখন বেশির দিকে রয়েছে তখন চা খেলে শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। আর গরমকালে এমনটা হওয়া মানেই বিপদ! কিন্তু এই ধরণার মধ্যে কোনও সত্যতা নেই। চা খেলে মোটেও শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় না। বরং উল্টো ঘটনা ঘটে। চা খাওয়া মাত্র শরীরের তাপমাত্র বেড়ে না গিয়ে কমে যেতে শুরু করে। ফলে গরম কম লাগে। বিশ্বাস হচ্ছে না তো? কোনও ব্যাপার নয়। চিন দেশের চিকিৎসা শাস্ত্র সম্পর্কিত প্রাচীন পুঁথি ঘাঁটলেই জানতে পারবেন, সে দেশের রোগ বিশেষজ্ঞরা যে কোনও খাবারকে দুটি ভাগে ভাগ করেছিলেন। এক, "ইয়েং" এবং দ্বিতীয়টি হল "ইন"। যে যে খাবার খেলে শরীর গরম হয়ে যায়, সেই খাবারগুলি হল "ইয়েং", আর যা খেলে শরীর ঠান্ডা হয়, তা হল "ইন"। এই তত্ত্ব অনুসারে জল হল ইন। কারণ জল শরীরকে টান্ডা করে। প্রসঙ্গত, প্রাচীন এই শাস্ত্র মেনে গরম কালে যে পরিমাণ জল খাওয়া হচ্ছে, সেই পরিমাণ গরম খাবারও খেতে হবে। তবেই শরীরে ঠান্ডা এবং গরমের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। ফলে কোনও ধরনের রোগ বা সান স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে। প্রসঙ্গত, আধুনিক বিজ্ঞানও এই ধরণাকে মান্যতা দিয়েছে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গরম কালে চা খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না, বরং ভাল হয়।
চা
শরীরকে
ঠান্ডা
করে
কীভাবে?
একাধিক
কেস
স্টাডি
করে
দেখা
গেছে
গরমের
সময়
চা
খেলে
শরীরের
অনেক
উপকারে
লাগে।
তাই
তো
বছরের
এই
একটা
সময়
ভুলও
চা
পানে
বিরতি
দিতে
মানা
করেন
বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত,
চা
পানে
এগিয়ে
রয়েছে
এমন
দেশগুলির
দিকে
চোখ
ফেরালেউ
দেখবেন
বেশিরবাগই
হয়
মরুভূমি
অঞ্চল,
নয়তো
ট্রিপিকাল
রিজিয়ানের
দেশ।
কেন
এমনটা
জানেন?
কারণ
গরমে
চা
পান
করলে
কোনও
ক্ষতিই
হয়
না,
বরং
শরীরের
ভাল
হয়।
সেই
কারণেই
তো
এমন
দেশের
নাগরিকদের
মধ্য়েও
চা
পানের
অভ্যাস
চোখে
পরে।
কিন্তু
কীভাবে
চায়েক
করণে
শরীর
ঠান্ডা
হয়?
২০১২
সালে
প্রকাশিত
একটি
গবেষণা
পত্র
অনুসারে,
আমরা
যখনই
চা
খাই,
তখনই
বেশি
মাত্রায়
ঘাম
হতে
শুরু
করে
দেয়।
ফলে
শরীরের
তাপমাত্রা
কমে
যেতে
শুর
করে।
এইভাবে
গরমের
সময়ও
চা
নানাভাবে
শরীরের
উপকারে
লাগে।
প্রসঙ্গত,
এই
গবেষণাটি
চলাকালীন
দেখা
গিয়েছিল
৫০
ডিগ্রি
তাপমাত্রায়
১
কাপ
চা
খেলে
প্রায়
৫৭০
এম
এল
ঘাম
বেরয়।
ফলে
শরীরের
তাপমাত্র
দ্রত
কমে
যায়।
চা
নয়,
বরফ
শরীরের
তাপমাত্রা
বাড়ায়:
গরমের
সময়
আরাম
পেতে
আমরা
অনেকেই
বরফ
জল
খেয়ে
থাকি।
ভাবি
এমনটা
করলে
আরাম
পাওয়া
যাবে।
সাময়িক
আরাম
যদিও
মেলে,
কিন্তু
শরীরের
তাপ
কমে
কি?
একেবারেই
না।
বরং
বেড়ে
য়ায়।
একাধিক
গবেষণায়
দেখা
গেছে
ঠান্ডা
জল,
কোল্ড
ড্রিঙ্ক
প্রভৃতি
খেলে
ঘাম
কম
হয়।
ফলে
শরীরের
অতিরিক্ত
তাপমাত্রা
বেরতে
পারে
না।
যে
কারণে
শরীর
গরম
হতে
শুরু
করে।
তাই
সব
শেষে
একথা
বলতেই
হয়
যে,
চা
প্রিয়
বাঙালিরা
এই
কাঠ
ফাটানো
গরমেও
নিশ্চন্তে
চা
পান
চালিয়ে
যেতে
পারেন,
কোনও
চিন্তার
প্রয়োজন
নেই।
জানবেন
প্রতি
পেয়ালা
চা
আপনার
শরীরের
উপকারেই
লাগবে।
তাই
গরমের
সময়
চা
খান
বেসি
করে,
কম
খান
ঠান্ডা
জাতীয়
জিনিস,
তাহলেই
দেখবেন
গরমের
সময়
আর
কোনও
কষ্ট
হবে
না।
চায়ের
অন্যান্য
উপকারিতা:
নিয়মিত
চা
পান
করলে
শরীরে
যে
কোনও
ধরনের
যন্ত্রণা
কমে
যেতে
শুরু
করে।
সেই
সঙ্গে
ক্লান্তি
দূর
হয়,
জ্বরের
প্রকোপ
কমে
যায়,
হজম
ক্ষমতার
উন্নতি
ঘটে,
হার্টের
স্বাস্থ্য
ভাল
হয়,
বিপাক
ক্রিয়ায়
উন্নতি
ঘটে
এবং
ডায়াবেটিসের
প্রকোপ
কমে।
এবার
নিশ্চয়
বুঝতে
পারচেন,
শতাব্দী
প্রাচীন
এই
পানীয়টি
কোনও
দিক
থেকেই
ক্ষতিকারক
নয়।
বরং
চা-কে
তো
হেলথ
ড্রিঙ্ক
বললেও
কম
বলা
হয়।