For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

সেল্ফি নেওয়ার অভ্যাস আদতে একটি মানসিক সমস্যা: বলছে স্টাডি!

নিজস্বি! এ এমন এক ছবি, যাতে নিজেকে তুলে ধরা হয়। আর এমনটা করতে গিয়ে কত যে প্রাণ যায়, তা আর আজ গুণে শেষ করা যাবে না।

By Nayan
|

নিজস্বি! এ এমন এক ছবি, যাতে নিজেকে তুলে ধরা হয়। আর এমনটা করতে গিয়ে কত যে প্রাণ যায়, তা আর আজ গুণে শেষ করা যাবে না। তবু সেল্ফি নেওয়ার প্রবণতা যেন কমছে না, বরং বাড়ছে! কিন্তু বিপদের ঝুঁকি নিয়ে এমন ছবি তোলার অভ্যাসকে চিকিৎসকরা কী চোখে দেখছেন? সেই উত্তর খোঁজারই চেষ্টা চালানো হবে এই প্রবন্ধে।

একাদিক কেস স্টাডির পর লাইকোলজিস্টরা এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে গেছেন যে যারা সেল্ফি নিতে খুব পছন্দ করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবি সোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য মুখিয়ে থাকেন, তারা আদতে এক মেন্টাল রোগের শিকার। একেবারে ঠিক শুনেছেন! সেল্ফি নেওয়া প্রবণতাকে আদতে মেন্টাল জিসঅর্ডারের লক্ষণ হিসেবেই বিবেচিত করছেন বিশেষজ্ঞরা।

নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং ত্যাগরাজ স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের একদল অ্যানালিস্ট এই বিষয়ে গবেষণা চালাতে গিয়ে লক্ষ করেছিলেন যে যারা কথায় কথায় নিজস্বি নিয়ে থাকেন, তাদের ব্রেনের গ্রাফ সাধারণ মানুষদের থেকে একেবারেই আলাদা। কারণ সেল্ফি নেওয়ার প্রবণতা আদতে একটি মেন্টাল প্রবলেম। এর পর থেকেই সারা বিশ্বে তোলপার শুরু হয়ে যায়। শুরু হয় আরও বেশ কিছু গবেষণা। আর তাতেও একই কথা উঠে আসে। প্রসঙ্গত বিশেষজ্ঞরা এই মেন্টাল ডিসঅর্ডারকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন, বর্ডারলাইন, অ্যাকিউট এবং ক্রনিক। যারা দিনে কম করে তিনটে সেল্ফি তোলেন, কিন্তু সোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন না, তারা বর্ডারলাইনে রয়েছে। অন্যদিকে যারা দিনে তিনবার সেল্ফি নিয়ে প্রতিবারই সোসাল মিডিয়ার পোস্ট করেন, তারা অ্যাকিউট অবস্থার শিকার। আর একেবারে শেষে আসে ক্রনিক মেন্টাল ডিসঅর্ডার। এই বিভাগে রাখা হয় তাদেরকেই যারা দিনে ছয়বারের বেশি নিজস্বি তুলে সোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। তবে এর পরেও গবেষকরা একটা বিষয় মেনে নিয়েছেন যে মানুষের মনকে এত সহজে বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। তাই কেউ সেল্ফি নিচ্ছে মানেই সে মানসিকভাবে অসুস্থ, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে মাত্রাতিরিক্ত সেল্ফি নেওয়ার অভ্যাস বেজায় বিপদের তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সেল্ফি নেওয়ার এমন প্রবণতা যে কেবল মানসিকভাবে আমাদের অসুস্থ করে তোলে এমন নয়, সেই সঙ্গে শরীরের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে। যেমন...

১. নার্সিজিমের আগ্রাসহ বাড়ে:

১. নার্সিজিমের আগ্রাসহ বাড়ে:

২০১৪ সালে, মানে যে বছর সেল্ফি শব্দটি এতটা জনপ্রিয়তা পয়েছিল লেই বছর ওহিয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক প্রায় ১০০০ জন পুরুষের উপর একটি পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তাতে দেখা গিয়েছিল যার নিজের ছবি তুলতে দিনের বেশিরভাগ সময়ই মত্ত থাকেন, তার আসলে নার্সিজিমের শিকার। অর্থাৎ সহজ কথায় যারা কেবল নিজেকে ভালবাসে, তারাই মূলত এমনটা ধরনের ছবি বেশি মাত্রায় তুলে থাকেন বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। প্রসঙ্গত, নার্সিজিম মোটেও কিন্তু সাধারণ মানসিক অবস্থা নয়। তাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনার এবং মানসিকতা বদলের চেষ্টা করুন, যদি আপনি সোসাল মিডিয়ায় সেল্ফি কিং বা কুইন নামে পরিচিত হয়ে থাকেন তো!

২. সেল্ফি মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনে:

২. সেল্ফি মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনে:

২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত হওয়া একটি স্টাডিতে দেখা গেছে সারা বিশ্বের মধ্যে সেল্ফি সংক্রান্ত মৃত্যুর দিক থেকে আমাদের দেশ একেবারে প্রথম দিকে রয়েছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন নিজের ছবি তোলার ইচ্ছা মোটেও কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়, বরং বেজায় বিপদসম! প্রসঙ্গত, স্টাডিটি চলাকালীন সারা বিশ্বে প্রায় ১২৭ জন সেল্ফি নিতে গিয়ে মারা পরেছিলেন, যার মধ্যে ৭৬ জনেরই বাস ছিল ভারতে। এই কারণেই তো সারা দেশজুড়ে সেল্ফি নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়াস শুরু হয়েছে। তবে এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ আমরা বড়ই একগুঁয়ে। শুধু তাই নয়, নিজের ক্ষতি সামনে দেখেও চোখ বুঝে থাকতে আমরা, মানে ভারতীয়রা বেশ পছন্দ করে থাকি। তাই না!

৩. কুনুইয়ে যন্ত্রণা:

৩. কুনুইয়ে যন্ত্রণা:

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে যারা খুব সেল্ফি নিতে পছন্দ করেন, তাদারে বেশিরভাগই কুনুইয়ের যন্ত্রণায় ভুগে থাকেন। আর কেনইবা ভুগবে না বলুন! খেয়াল করে দেখবেন সেল্ফি নেওয়ার সময় আমাদের কুনুই যে অ্যাঙ্গেলে থাকে, তা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়, তাই তো এমনটা করতে করতে এক সময়ে গিয়ে এলবোতে এমন প্রদাহ শুরু হয় যে সেই ব্যথা সহ্য করা অনেক সময়ই বেজায় কষ্টকর হয়ে ওঠে।

৪. ত্বকের সৌন্দর্য কমে:

৪. ত্বকের সৌন্দর্য কমে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সেল্ফি নেওয়ার সময় মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের প্রভাব মারাত্মকভাবে পরে মুখের উপর। তাই তো বারে বারে নিজস্বি নিলে রেডিয়েশনের প্রভাবে স্কিন টোন খারাপ হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে সৌন্দর্য কমে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, এই বিষয়ক হওয়া বেশ কিছু পরীক্ষায় এও দেখা গেছে যে বারে বারে সেল্ফি নিলে ত্বকের উপর বলিরেখা প্রকাশ পেতে শুরু করে। ফলে সময়ের আগেই স্কিন বুড়িয়ে যায়।

৫. মানসিক শান্তি দূর হয়:

৫. মানসিক শান্তি দূর হয়:

শুনতে আজব লাগলেও গবেষণায় দেখা গেছে সেল্ফি নেওয়ার সময় আমাদের মস্তিষ্কের উপর নানা কারণে চাপ পরতে থাকে। ফলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই তো প্রতিটি সেল্ফি নেওয়ার পর কম করে এক মিনিট মেডিডেট করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। তাদের মতে এমনটা করলে নাকি সেল্ফি সম্পর্কিত মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

বিপদের ঝুঁকি নিয়ে এমন ছবি তোলার অভ্যাসকে চিকিৎসকরা কী চোখে দেখছেন? সেই উত্তর খোঁজারই চেষ্টা চালানো হবে এই প্রবন্ধে।

Selfitis is a genuine mental condition and people who feel compelled to continually post pictures of themselves on social media may need help, psychologists have warned.The term was first coined in 2014 to describe obsessive selfie-taking in a spoof news story which suggested the American Psychiatric Association was considering classifying it as a disorder.
X
Desktop Bottom Promotion