For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

কুমড়ো খান নাকি?

কুমড়োতে রয়েছে ফাইবার, যা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে খুব ধীরে ধীরে সম্পন্ন করে। ফলে ক্ষদি ক্ষদে কমে যায়। আর এমনটা হলওয়ার কারণে ওজন কমতে শুরু করে।

By Swaity Das
|

দুপুরে খাওয়ার পাতে কুমড়ো সেদ্ধ অথবা কুমড়োর তরকারি হলেই ব্যস! সেদিনের মতো খাওয়া বন্ধ। কারণ অনেকের কাছেই শোনা যায়, তাঁরা কুমড়ো খান না। কারণ কুমড়োতে নাকি বাজে গন্ধ আছে। আবার কেউ বলে, কুমড়ো একটু বেশিই নরম। তাই একটুও ভাল লাগে না। যদিও কুমড়ো ফুলের বড়া কেউ আজ অবধি অবজ্ঞা করতে পেরেছেন কিনা জানা নেই। তবে কুমড়ো না খাওয়ার কারণ যাই হোক না কেন, যদি সুস্থভাবে বাঁচতে চান, তাহলে কুমড়োকে ভাল লাগাতে শুরু করুন। কারণ আপনার ধারণার বাইরে কুমড়োর কত গুণাগুণ। আর ঠিক এই কারণেই কুমড়ো নিয়ে আপনার ধারণা পাল্টাতে বোল্ডস্কাইয়ের আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন।

প্রতিদিন এই সবজিটি খেলে অনের উপকার মেলে। যেমন...

১. ওজন কমায়:

১. ওজন কমায়:

আপনাকে দেখলেই কি লোকে কুমড়োপটাশ বলেন? আর আপনিও অমনি বিরোধীতা করে ওঠেন? এবার থেকে এমনটা না করে বরং ওই কুমড়োকেই আপন করে নিন। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কুমড়োতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে খুব ধীরে ধীরে সম্পন্ন করে। ফলে অনেকক্ষণ ক্ষিদে পায় না এবং যখন তখন ক্ষিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। আর ক্ষিদে কম পেলে খাবারও কম খাওয়া হয়। ফলে অল্প দিনেই ওজন কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, কুমড়োর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকলেও, খুব কম পরিমাণে রয়েছে ক্যালরি। এক কাপ কুমড়োর মধ্যে ৫০-এর থেকেও কম ক্যালরি থাকে। ফলে এই সবজিটি খেলে ওজন বাড়ার কোনও আশঙ্কা থাকে না।

২.দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

২.দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

কুমড়োর রং-টা কেন বলুন তো কমলা বা হলুদ হয়? এর কারণ হল কুমড়োর মধ্যে বিটা ক্যারোটিন থাকে। আর কুমড়ো খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করার পর সেই বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ-তে পরিবর্তিত হয়ে যায়। আর আমরা একথা সবাই জানি যে, ভিটামিন "এ" চোখের জন্য খুবই উপকারি। প্রসঙ্গত, এক কাপ কুমড়োর মধ্যে প্রায় ২০০ শতাংশ পরিমাণে ভিটামিন এ উপস্থিত থাকে, যা আমাদের দৈনিক ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। এছাড়াও কুমড়োর মধ্যে লুটেইন এবং জিক্সান্থিন নামক দুটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও উপস্থিত রয়েছে, যা ছানির সমস্যাকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:

৩.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:

কুমড়ো খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ কুমড়োর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ উপস্থিত রয়েছে, যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ ঘটিত রোগ এবং জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও বাজারে এখন চলে এসেছে কুমড়ো থেকে তৈরি বিশেষ তেল, যা জীবাণু ঘটিত সংক্রমণ প্রতিহত করতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, একটি কুমড়োর মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ ভিটামিন সি থাকে। যার ফলে ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি লাগার হাত থেকে দ্রুত নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব হয় এই সবজিটি খেলে।

৪.ত্বকের জন্য দারুণ উপকারি:

৪.ত্বকের জন্য দারুণ উপকারি:

কুমড়ো ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। আগেই বলে হয়েছে যে কুমড়োর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকে। এই বিটা ক্যারোটিন ত্বককে সূর্য রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে। কারণ রোদে বেরলে অনেকেরই ত্বকে পোড়া দাগের সৃষ্টি হয়। ত্বককে এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় কুমড়ো। এছাড়াও ত্বকের যত্নে কুমড়ো দিয়ে বানানো ফেসপ্যাক দারুন উপকারে আসে। এখন প্রশ্ন হল কিভাবে বানাবেন এই ফেসপ্যাক? একটি কাপের চার ভাগের এক ভাগ কুমড়ো নিতে হবে। এরপর এরসঙ্গে একটি ডিম, এক টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ দুধ মেশাতে হবে। এরপর সবকটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগাতে হবে। তারপর ২০ মিনিট রেখে দিয়ে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

৫. ক্যান্সারের প্রবণতা কমায়:

৫. ক্যান্সারের প্রবণতা কমায়:

কুমড়োর মধ্যে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন চোখ এবং ত্বকের জন্য খুবই ভাল। তবে এর আরও একটি বড় গুণ রয়েছে, তা হল এটি ক্যান্সার রোগকে দূর রাখতে সাহায্য করে। গবেষকদের মতে, নিয়ম করে কুমড়ো খেলে বিশেষ ধরণের কয়েকটি ক্যান্সার খুব সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। যেমন- প্রোস্টেট এবং ফুসফুসের ক্যান্সার। এছাড়াও কুমড়োর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি উপস্থিত থাকায়, এই সবজিটি কোষেদের ক্ষত সারাতে সহয়তা করে।

৬.ডায়াবেটিসের প্রকোপ কমায়:

৬.ডায়াবেটিসের প্রকোপ কমায়:

কুমড়ো রক্তে শর্করার মাত্রা যাতে বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে নজর রাখে। সেই সঙ্গে ইনসুলিন উৎপাদনও বাড়ায়। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগই পায় না। তবে ডায়াবেটিসে কুমড়ো সত্যি কতটা উপকারি, তা নিশ্চিত হতে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। যদিও ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা নির্ভয়ে কুমড়ো খেতে পারেন। এই সবজিটি এমন রোগীদের শরীরে কোনও কুপ্রভাব ফেলে না।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

সুস্থভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে কুমড়োকে ভাল লাগাতে শুরু করুন। কারণ আপনার ধারণার বাইরে কুমড়োর কত গুণাগুণ। আর ঠিক এই কারণেই কুমড়ো নিয়ে আপনার ধারণা পাল্টাতে বোল্ডস্কাইয়ের আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন।

Pumpkin is an extremely nutrient-dense food, meaning it is chock-full of vitamins and minerals but low in calories.There are many creative ways pumpkin can be incorporated into meals, including desserts, soups, salads, preserves, and even as a substitute for butter. Next time pumpkin season comes around, don't carve it, cook it up and eat it.
Story first published: Monday, September 18, 2017, 14:21 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion