Just In
Don't Miss
শুধু ওয়ার্কআউট নয়, ওজন কমাতে মানতে হবে পোস্ট ওয়ার্কআউট রুটিনও
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথমেই মাথায় আসে এক্সারসাইজ করার কথা। অনেকেই মনে করেন শুধু ঘাম ঝরালেই ওজন কমে যাবে। কিন্তু এই ধারণা একদম ভুল। ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ওয়ার্কআউট তো করতেই হবে তার পাশাপাশি ওয়ার্ক আউটের পরেও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
ওজন কমাতে আমরা অনেক কিছুই করি। স্লিম ফিগার পেতে দিনের বেশ কিছুটা সময় কেউ জিমে ঘাম ঝরান, কেউ আবার যোগব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি করেন। কিন্তু এসব করেও মনের মতো রেজাল্ট মেলে না! তাই শুধু শরীরচর্চা করলেই হবে না, আপনাকে মানতে হবে পোস্ট ওয়ার্কআউট রুটিন। তাহলে জেনে নিন শরীরচর্চার পরে কোন বিষয়গুলোর দিকে নজর দেওয়া বেশি জরুরি।
১) কুলডাউন
ওয়ার্কআউটের পর কুলডাউন হওয়া খুব দরকার। কারণ ওয়ার্কআউটের ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, হার্ট রেট বেশি হয়ে যায়। তাই ওয়ার্কআউটের পরে একটু শান্ত হয়ে বসলে, ধীরে ধীরে আপনার শরীর আগের তাপমাত্রায় ফিরবে, নর্মাল হবে হার্টরেট। নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। মাথা ঘোরা, রক্ত জমাট বাঁধা এবং এমনকি অজ্ঞান হয়েও যেতে পারেন আপনি। তাই নাচ, দৌড়ানো, ওয়েট লিফটিং যে এক্সারসাইজই করুন না কেন, এটা অবশ্যই মনে রাখবেন।
২) স্ট্রেচিং
শরীরচর্চার পরে স্ট্রেচিংও খুব ভালো। ৩০ সেকেন্ডের জন্য স্ট্রেচিং করুন, এটা আপনার পেশি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে।
৩) শরীরকে হাইড্রেট করা
ওয়ার্কআউটে ঘাম ঝরে প্রচুর। ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায় ফ্লুয়িড। তাই ওয়ার্কআউটের পরে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। এর ফলে যেমন ওজন কমবে তেমনি পেশি গঠন হবে। জল পেশীগুলি মেরামত ও পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি শরীরের মূল তাপমাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে।
৪) হেলদি স্ন্যাক্সস
ওয়ার্কআউটের পর খিদে পাওয়াটা স্বাভাবিক। তাই বলে আপনি খাবারের প্লেটে ঝাঁপিয়ে পড়বেন, সেটা কিন্তু একদমই করবেন না। তাহলে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও কোনও লাভ হবে না! ওয়ার্কআউটের পর স্ন্যাক্সস জাতীয় কিছু খান। তবে স্ন্যাক্সস মানে ভাজাভুজি নয়, প্রোটিন সমৃদ্ধ অল্প কিছু বা সবজি খেতে পারেন। প্রোটিন শেক খেতে পারেন। একটা আপেল আর কিছু আমন্ড পোস্ট ওয়ার্কআউট স্ন্যাকস হিসেবে দারুণ। তবে যাই খান সবটাই পরিমিত।
ব্যাডমিন্টন খেললে হার্ট ভাল থাকে, জেনে নিন এর বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা
৫) প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন
অনেকেই ভাবেন, এত ঘাম ঝরালাম, একটা বার্গার বা এক প্যাকেট চিপস খেলে কি ই বা হবে! এরকম করলেই কিন্ত বিপদ। ওয়ার্কআউটের পরে আপনার শরীরে নিউট্রিশনের প্রয়োজন পড়ে। যে নিউট্রিশন আপনার পেশি, জয়েন্ট ও অন্যান্য অঙ্গকে পুনরুজ্জীবিত করবে।
৬) বিশ্রাম দিন শরীরকে
ওয়ার্কআউটে শরীরের কসরত হয় খুব বেশি। তাই শরীরকে কিছুটা সময়ের জন্য বিশ্রাম দেওয়া জরুরি। নাহলে পেশির যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। বিশ্রাম করলে আপনার পেশিগুলিও বিশ্রাম পাবে।
৭) পেশিগুলিকে আলগা করুন
ওয়ার্কআউট করলে পেশি শক্ত হয়ে যায়। তাই ওয়ার্কআউটের পর পেশি আলগা করা দরকার। নাহলে পেশিতে টান, যন্ত্রণা শুরু হয়ে যাবে। টেনিস বল বা এরকম কিছু জিনিস নিয়ে হালকা এক্সারসাইজ করলে নমনীয় হবে আপনার পেশি।
৮) স্নান করা
ওয়ার্কআউটে ফলে ঘাম হয় প্রচুর, ঘেমে যাওয়া শরীরে অস্বস্তি হয়। তাই নিজেকে ফ্রেশ রাখতে স্নান করে ফেলুন। স্নানের পর দেখবেন ওয়ার্কআউটের সব ক্লান্তি নিমেষে উড়ে গিয়েছে!
মনে রাখবেন
যদি আপনি পোস্ট ওয়ার্কআউট রুটিন না মানেন তাহলে কিন্তু আপনি নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন! এক্ষেত্রে যে যে সমস্যা দেখা দেবে -
ক) চোট, আঘাত বাড়বে
খ) ক্লান্ত বোধ করবেন
গ) কাজ করার এনার্জি পাবেন না
ঘ) এক্সারসাইজের পর অসুস্থ লাগলে, ক্লান্ত থাকলে পোস্ট ওয়ার্কআউট বাতিল করুন।
ঙ) অন্য কোনও কারণে আপনি দু-একদিন পোস্ট ওয়ার্কআউট রুটিন নাও মানতে পারেন, তবে প্রতিদিন না করলে কিন্তু সমস্যায় পড়বেন।