For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

সাবধান: কলকাতায় বাড়ছে পরিবেশ দূষণ! এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে জানা আছে?

উত্তর ভারত থেকে ঘন দূষিত বায়ু প্রচুর মাত্রায় প্রবেশ করছে কলকাতা শহরে, যে কারণেও ক্রমশ শহরের বায়ুতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ২মাইক্রোমিটারের থেকে বেশি ব্যাসার্ধের দূষিত পদার্থের মাত্রা

|

সম্প্রতি একটি স্টাডিতে দেখা গেছে গত কয়েক দশকে কলকাতা সহ আশপাশের অঞ্চলে গাড়ির সংখ্যা এত মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে যে পরিবেশ দূষণের মাত্রার নিরিখে কখনও সখনও দিল্লিকেও পিছনে ফেলে দিচ্ছে আমাদের শহর। শুধু তাই নয়, ভয়ের কারণ আরেকটাও আছে। কী সেই কারণ?

স্টাডিটি চলাকালীন দেখা গেছে উত্তর ভারত থেকে ঘন দূষিত বায়ু প্রচুর মাত্রায় প্রবেশ করছে কলকাতা শহরে, যে কারণেও ক্রমশ শহরের বায়ুতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ২মাইক্রোমিটারের থেকে বেশি ব্যাসার্ধের দূষিত পদার্থের মাত্রা, যা ফুসফুসের অন্দরে প্রবেশ করে এত মাত্রায় ক্ষতি সাধন করছে যে বাড়ছে নানাবিধ মারণ রোগের প্রকোপ। প্রসঙ্গত, কলকাতার বোস ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন উত্তর-পশ্চিম বায়ুর প্রভাবে উত্তর ভারত থেকে প্রায় ২০ কিমি বেগে এই দূষিত বায়ু প্রায় ৪ দিনে ২০০০ কিমি রাস্তা পেরিয়ে যে মুহূর্তে রাজ্য়ে প্রবেশ করছে, সেই মুহূর্তেই বায়ু দূষণের মাত্রা এক লাফে এতটা বেড়ে যাচ্ছে যে তা মানব শরীরের সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে নানাবিধ শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যাচ্ছে কয়েক গুণ বেড়ে।

এখন প্রশ্ন হল, এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকার আদৌ কি কোনও উপায় আছে? আলবাৎ আছে। তবে কীভাবে এমনটা করবেন, সে উত্তর পেতে অবশ্যই পড়তে হবে এই প্রবন্ধটি। কারণ এই লেখায় বায়ু দূষণের হাত থেকে বাঁচার এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা বাস্তবিকই বেশ কার্যকরি। যেমন ধরুন...

১. ত্রিফলা:

১. ত্রিফলা:

বায়ু দূষণের মধ্যে দীর্ঘ সময় থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে। ফলে একে একে ভয়ঙ্কর সব সংক্রমণ শরীরের এসে বাসা বাঁধে। এক্ষেত্রে ত্রিফলা আপনাকে সাহায্য করতে পারে। কীভাবে? প্রতিদিন রাতে ১ চামচ পরিমাণ ত্রিফলার সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। তাহলেই আর কোনও চিন্তা থাকবে না। কারণ ত্রিফলা এবং মধু, উভয়ই পরিবেশ দূষণের কুপ্রভাব থেকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. প্রতিদিন যোগ ব্যায়াম জরুরি:

২. প্রতিদিন যোগ ব্যায়াম জরুরি:

নিয়মিত প্রাণায়াম এবং কপালভাতি করলে পরিবেশ দূষণের কোনও প্রভাবই শরীরের উপর পরে না। এক্ষেত্রে আসন দুটি ৫-১০ বার করতেই হবে। তবেই সুফল মিলবে একেবারে হাতে-নাতে।

৩. বডি মাসাজ:

৩. বডি মাসাজ:

প্রতিদিন গরম সরষের তেল দিয়ে সারা গায়ে মাসাজ করলে স্ট্রেস কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীর একেবারে ভেতর থেকে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এক কথায় বলা যেতে পারে, শরীরকে পুনরায় চার্জড আপ করে তুলতে বডি মাসাজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

৪. ডালিমের রস:

৪. ডালিমের রস:

প্রতিদন সকালে, না হয় বিকালে ১ গ্লাস করে ডালিমের রস খাওয়া শুরু করুন। এই প্রকৃতিক উপাদানটি রক্তকে পরিশুদ্ধ করার পাশাপাশি হার্ট এবং ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।

৫. তুলসি পাতা:

৫. তুলসি পাতা:

বাড়ির বাইরে তুলসি গাছ লাগানো আছে তো? না থাকলে আজই লাগান। কারণ একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে বায়ু দূষণের প্রভাব কমাতে তুলসি গাছ দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে। আসলে তুলসি পাতা, বাতাসে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানদের শোষণ করে নেয়। ফলে বাতাসে বিষের পরিমাণ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন যদি ১০-১৫ মিলি লিটার করে তুলসির রস খাওয়া যায়, তাহলে আমাদের শরীরের উপর বায়ু দূষণের যে কুপ্রভাব পরে, তা কমতে শুরু করে।

৬. ঘি:

৬. ঘি:

রাতে শুতে যাওয়ার আগে এবং প্রতিদিন সকালে নাসারন্ধ্র দু ফোটা করে ঘি ফেলবেন। সেই সঙ্গে প্রতিদিন ২-৩ চামচ ঘি খেলে বায়ু দূষণের কারণে শরীরের ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকবে না। আসলে ঘিতে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান বায়ু দূষণের খারাপ প্রভাবকে কমিয়ে দেয়। ফলে শরীরের ক্ষয় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকাংসেই হ্রাস পায়।

৭. হলুদ:

৭. হলুদ:

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ চামচ হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে ১ চামচ ঘি বা মধু মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। তাহলেই দেখবেন বায়ু দূষণ আপনার টিকিও ছুঁতে পারবে না।

৮. বাড়িতে তৈরি গরম খাবার:

৮. বাড়িতে তৈরি গরম খাবার:

নিশ্চয় ভাবছেন পরিবেশ দূষণের সঙ্গে বাড়িতে তৈরি গরম খাবারের কী সম্পর্ক, তাই তো? আসলে যে কোনও বাঙালি পদে আমরা, হলুদ, লঙ্কা, গোল মরিচ সহ নানাবিধ মশলা দিয়ে থাকি। এই সব মশলাগুলি নানাভাবে আমাদেরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে আমাদের শরীরের উপর পরিবেশ দূষণের প্রভাব যাতে কম পরে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। তাই তো জাঙ্ক ফুড নয়, বেশ করে খাওয়া শুরু করুন বাড়িতে বানানো খাবার।

৯. নিম:

৯. নিম:

পরিমাণ মতো জলে নিম পাতা ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে সপ্তাহে কয়েকবার ঘা এবং মাথা পরিষ্কার করতে হবে। এমনটা করলেই শরীরের বহিরাংশে পরিবেশ দূষণের খারাপ প্রভাব কমতে শুরু করবে। প্রসঙ্গত, পরিবেশ উপস্থিত একাধিক ক্ষতিকর উপাদান আমাদের ত্বকের উপর স্থায়ী ঘর বানিয়ে শরীরের নানাবিধ ক্ষতি সাধন করে থাকে। এদের মেরে ফলতেও নিম পাতা দারুন উপকারে লাগে। এক্ষেত্রে একটা বিষয জেনে রাখা জরুরি যে, নিয়মিত যদি নিম জল দিয়ে স্নান করে ওঠা সম্ভব না হয়, তাহলে প্রতিদিন

৩-৪ টে নিম পাতা খেতেই হবে। এমনটা করলেও সমান উপকার পাবেন।

১০. গরম ভাব নেওয়া:

১০. গরম ভাব নেওয়া:

এক বাটি গরম জলে কয়েক ফোটা পিপারমেন্ট তেল ফেলে সেই জলের গরম ভাব নিলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। তবে এমনটা দিনে কম করে ২ বার করতেই হবে। তবেই পরিবেশ দূষণের খারাপ প্রভাব থেকে দূরে থাকতে পারবেন, না হলে কিন্তু সেভাবে উপকার নাও পেতে পারেন।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

সম্প্রতি একটি স্টাডিতে দেখা গেছে গত কয়েক দশকে কলকাতা সহ আশপাশের অঞ্চলে গাড়ির সংখ্যা এত মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে যে পরিবেশ দূষণের মাত্রার নিরিখে কখনও সখনও দিল্লিকেও পিছনে ফেলে দিচ্ছে আমাদের শহর। শুধু তাই নয়, ভয়ের কারণ আরেকটাও আছে। কী সেই কারণ?

Scientists have found out that polluted air generated in industries in northern India travel over 2000 km to reach the hills of Darjeeling and islands of Sundarbans in West Bengal.
Story first published: Wednesday, February 28, 2018, 16:18 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion