For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

জানা আছে কি অফিসে ব্যবহৃত টি-ব্যাগ টয়লেট সিটের থেকেও বেশি নোংড়া হয়!

শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে বেশিরভাগ অফিসেই যে অবস্থায় টি- ব্যাগ রাখা থাকে তা মোটেও হাইজেনিক পদ্ধতি নয়।

By Nayan
|

কাজের ফাঁকে গরম গরম চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে কার না ভাল লাগে বলুন! তাই তো আজকের দিনে প্রায় প্রতিটি কর্পোরেট অফিসের টি এরিয়াতেই মজুত থাকে নানা ফ্লেবারের টি ব্যাগ। কিন্তু সেগুলির ব্যবহার যে মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে ছেড়েছেন গবেষকরা।

শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে বেশিরভাগ অফিসেই যে অবস্থায় টি- ব্যাগ রাখা থাকে তা মোটেও হাইজেনিক পদ্ধতি নয়। ফলে যা হওয়ার তাই হয়! এমন নোংড়া টি-ব্যাগ ব্যবহার করার কারণে স্বাভাবিকভাবেই পেটের রোগ এবং অন্যান্য নানাবিধ জীবাণুর সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, এই গবেষণায় দেখা গেছে টি-ব্যাগের ব্যাকটেরিয়া রিডিং যেখানে ৩৭৮৫, সেখানে টয়লেট সিটের ব্যাকটেরিয়া রিডিং কম-বেশি ২২০। এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে চায়ের নামে আমরা অফিসে কী পান করে থাকি।

বিশেষজ্ঞদের মতে সবাই যে ঠিক মতো হাইজিন বজায় রেখে জীবনযাপন করেন, এমন নয়। ফলে টি-ব্যাগ রাখার কন্টেনারটি ব্যবহার করার সময় নানা জনের হাত থেকে নানা ধরনের জীবাণু সেখানে বাসা বাঁধতে শুরু করে। পরে সেই জাবীণু টি-ব্যাগ হয়ে পৌঁছে যায় আমাদের শরীরে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোগ ভোগের আশঙ্কা বাড়ে।

এমন পরিস্থিতিতে অফিসে চা খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় আছে বলে তো মনে হয় না। কিন্তু যারা বেজায় চা প্রিয়, তারা কী করবেন? সেক্ষেত্রে এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি নিয়মিত খাওয়া শুরু করতে হবে। এমনটা করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠবে যে কোনও ধরনের জীবাণুই কোনও ক্ষতি করে উঠতে পারবে না।

এতদূর পড়ার পর নিশ্চয় ভাবছেন যে খাবারের সঙ্গে শরীরের ভাল-মন্দের কী সম্পর্কে, কি তাই তো? আসলে সম্পর্কটা একেবারে ষোল আনা। শরীর কতটা চাঙ্গা থাকবে, তা যে খাবারের উপরই নির্ভর করে। তাই তো চিকিৎসকেরা বেশ কিছু খাবারকে নিয়ে একটা লিস্ট বানিয়েছেন। তাদের মতে এই খাবারগুলি যদি নানাভাবে প্রতিদিন কেউ খেতে পারেন, তাহেল ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সাহস পায় না। সেই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে চোখে পরার মতো।

কী কী খাবার রয়েছে সেই লিস্টে! আছে অনেক কিছুই আছে! হাতে সময় থাকলে একবার বাকি প্রবন্ধে চোখ রাখুন। তাহলেই জানতে পেরে যাবেন সেই সব প্রাকৃতিক মহৌষধিগুলি সম্পর্কে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে শরীরকে একশো শতাংশ সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

এক্ষেত্রে যে যে খাবারগুলির উপর লাইম লাইট ফেলাটা জরুরি, সেগুলি হল...

১.দই:

১.দই:

লাঞ্চের পর নিয়ম করে এক কাপ টক দই খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যেই ডাক্তারের নাম ভুলতে বসেছেন। আসলে দুগ্ধজাত এই খাবারটি শরীরে প্রবেশ করার পর শরীরে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করে। ফলে একদিকে যেমন ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তেমনি অন্যদিকে হাড়ও খুব শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে। ফলে বুড়ো বয়সে গিয়ে নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

২. আদা:

২. আদা:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে আদায় উপস্থিত জিঞ্জেরল নামে একটি উপাদান শরীরের অন্দরে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ কমাতে দারুন উপকারে লাগে। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা উপশমেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. ব্রকলি:

৩. ব্রকলি:

এই সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ, সি এবং ই। সেই সঙ্গে রয়েছে বেশ কিছু উপকারি খনিজও। এই পুষ্টিকর উপদানগুলি শরীরকে ভিতর থেকে এতটাই শক্তিশালি করে দেয় যে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়। প্রসঙ্গত, ব্রকলি যে পরিবারের সদস্য, ফুলকপিও সেই একই পরিবারের একজন। তাই ব্রকলি খেতে ইচ্ছা না হলে কব্জি ডুবিয়ে ফুলকপি দিয়ে বানানো নানা পদও খেতে পারেন। এমনটা করলেও সমান উপকার পাওয়া যায়।

৪. সাইট্রাস ফল:

৪. সাইট্রাস ফল:

এ কেমন ফল মশাই! আরে ঘাবড়াবেন না! পাতি লেবু, মৌসাম্বি লেবু এবং কমলা লেবুকে চিকিৎসা পরিভাষায় সাইট্রাস ফল বলা হয়ে থাকে। এই ফলগুলির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, যা শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে রোগ প্রতিরোধ করার জন্য় দেহের অন্দরে যে সৌনিকেরা প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে, তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর এমনটা হওয়া মাত্র দৈহিক ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে কোনও রোগই কামড় বসাতে পারে না।

৫. রসুন:

৫. রসুন:

ইমিউন স্টেস্টেটকে শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি হার্টকে সুস্থ রাখতে রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এতে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান ব্লাড প্রেসার এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে। অন্যদিকে রসুনের অন্দরে থাকা সালফার, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করে তুলে ভাইরাল ফিবার থেকে সংক্রমণ, কোনও কিছুকেই ধারে কাছে আসতে দেয় না।

৬. জাম:

৬. জাম:

এই ফলটির অন্দরে থাকা পলিফেনল নামক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ যে কোনও ধরনের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই নানাবিধ জীবাণুর আক্রমণ থেকে যদি বাঁচতে চান, তাহলে রোজের ডায়েটে জামের অন্তর্ভুক্তি মাস্ট! প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে জামের অন্দরে থাকা পলিফেনল, ইনফ্লয়েঞ্জা ভাইরাসের পাশাপাশি ই.কোলাই এবং স্যালমোনেলা ইনফকশেনর হাত থেকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. হলুদ:

৭. হলুদ:

অর্থ্রাইটিস রোগকে আটকানোর পাশাপাশি সার্বিকভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে হলুদের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইফ্লেমেটরি প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, হলুদে কার্কিউমিন নামেও একটি উপাদান থাকে, যা শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।

৮. পালং শাক:

৮. পালং শাক:

প্রতিটি বাঙালিই মায়ের পেট থেকেই যে যে খাবারগুলির প্রতি দুর্বলতা নিয়ে জন্মায়, তার মধ্যে অন্যতম হল পালং শাক। তবে এই ভাললাগাটা নানাভাবে আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে থাকে। আসলে এই শাকটিতে উপস্থিত ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিটা-ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটনার পাশাপাশি ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৯. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার:

৯. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার:

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে আয়রনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। সেই কারণেই তো শরীরকে চাঙ্গা রাখতে চিকিৎসকেরা মাছ, মাংস, বাদাম, নানা ধরেনর বীজ, বাঁধাকোপি, ফুলকোপি এবং ব্রকলির মতো সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

কাজের ফাঁকে গরম গরম চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে কার না ভাল লাগে বলুন! তাই তো আজকের দিনে প্রায় প্রতিটি কর্পোরেট অফিসের টি এরিয়াতেই মজুত থাকে নানা ফ্লেবারের টি ব্যাগ। কিন্তু সেগুলির ব্যবহার যে মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে ছেড়েছেন গবেষকরা।

Yes, you read that right. As per the recent study office-tea bags contain 17 times more germs than a toilet seat. Where the average bacterial reading of the office teabag was 3,785, the bacterial reading for the toilet seat is only 220.
Story first published: Tuesday, December 12, 2017, 14:26 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion