Just In
- 57 min ago প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে খান সুপারফুড চিয়া সিড!
- 3 hrs ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 4 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 21 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
কফির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে কেন জানেন?
সকাল সকাল ঘুমের রেশ কাটাতে কী পান করা হয় মশাই, চা না কফি? যদি উত্তর কফি হয়, তাহলে বলবো প্রতি পেয়ালা কফির সঙ্গে আপনার আয়ুও যাচ্ছে বেড়ে। কেন এমন কথা বলছি তাই ভাবছেন তো?
সকাল সকাল ঘুমের রেশ কাটাতে কী পান করা হয় মশাই, চা না কফি? যদি উত্তর কফি হয়, তাহলে বলবো প্রতি পেয়ালা কফির সঙ্গে আপনার আয়ুও যাচ্ছে বেড়ে। কেন এমন কথা বলছি তাই ভাবছেন তো?
সম্প্রতি হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে ঘুমের রেশ কাটানোর পাশাপাশি শরীরের গঠনে নানাভাবে এই পানীয়টি আমাদের সাহায্য করে থাকে। আসলে কফির শরীরে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো হে চা প্রিয় বাঙালি, ধীরে হলেও একটু ক্যাম্প চেঞ্জ করুন। দেখবেন ফায়দায় থাকবেন! কারণ এমনটা করলে আগামী দিনে যে সুস্থ-সবল ভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন, সে বিষয়েও কোনও সন্দেহ নেই!
এত দূর পড়ার পর নিশ্চয় ভাবছেন কফির মধ্যে এমন কী আছে যে এর সঙ্গে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার গভীর সম্পর্ক রয়েছে? আসলে বন্ধু "বি এম জে ব্রিটিশ জার্নাল"এ প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে যারা দিনে কম করে ৩ কাপ কফি পান করেন, তাদের হার্টের রাগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে আয়ুও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। তাই সুস্থভাবে যদি দীর্ঘদিন বাঁচতে চান, তাহলে কফি পান শুরু করতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, প্রায় ২০০ টি কেস স্টাডি বিশ্লেষণ করার পর গবেষকরা একটা বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে কফির মধ্যে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান শুধু যে হার্টের রোগকে দূরে রাখে, এমন নয়, সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস এবং ডিমেনশিয়ার মতো ভয়ঙ্কর রোগকে প্রতিরোধ করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, নিয়মিত কফি পানের অভ্যাস করলে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়, যেমন...
১.শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ে:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে শরীরের অন্দরে ক্যাফেইন প্রবেশ করার পর নার্ভাস সিস্টেম মারাত্মক অ্যাকটিভ হয়ে যায়। ফলে একদিকে যেমন মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে, তেমনি এপিনেফরিন নামক এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাওযার কারণে শারীরিক ক্ষমতাও বাড়তে শুরু করে। আসলে "ফাইট অর ফ্লাইট" হরমোন নামে পরিচিত এপিনেফরিনের মাত্রা যখন শরীরে বাড়তে থাকে তখন দৈহিক শক্তিও সমান তালে বাড়তে শুরু করে। এই কারণে দেখবেন কপি পানের পর ঘুম একদম উড়ে যায়। সেই সঙ্গে শরীরও কেমন চনমনে হয়ে ওঠে।
২. ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়:
বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ৩০০ মিলিয়ান মানুষ এই মারণ রোগের শিকার এবং এই সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে সাবধান না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কিন্তু সাবধান হবো কিভাবে? খুব সহজ! নিয়মিত শরীরচর্চা শুরু করুন আর সঙ্গে তিন পেয়ালা করে কপি পান করতে থাকুন। তাহলেই ডায়াবেটিস নিয়ে আর কোনও চিন্তা থাকবে না। আসলে কপি খাওয়ার পর শরীরের অন্দরে এমন কিচু পরিবর্তন হতে থাকে যে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।
৩. লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যারা দিনে কম করে ৩-৪ কাপ কফি খান, তাদের কোনও ধরনের লিভারের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৮০ শতাংশ কমে যায়। তাই শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বাড়াতে হয়, তাহলে নিয়মিত কফি খেতে ভুলবেন না যেন!
৪. মানসিক অবসাদ কমায়:
৫০,০০০ মহিলার উপর করা এক কেস স্টাডিতে একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে দিনে মাত্র এক কাপ কফি খেলেই ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ১৫ শতাংশ কমে যায়। আর যদি দৈনিক তিন কাপ কফি খেতে পারেন, তাহলে তো কোনও কথাই নেই!
৫. ব্রেন ডিজিজ থেকে দূরে রাখে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কফি পান করলে নিউরনরা এত মাত্রায় চনমনে হয়ে ওঠে যে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কগনিটিভ পাওয়া কমে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে কমে অ্যালজাইমারস-এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও। প্রসঙ্গত, এক গবেষণায় দেখা গেছে দিনে তিন কাপ করে কফি খেলে কোনও ধরনের ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৬৫ শতাংশ কমে যায়।
৬. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়:
এক পেয়ালা কফি যেমন এনার্জি লেভেল বাড়ায়, তেমনই একাধিক নিউরো ট্রান্সমিটারদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন নামক উপাদানটি এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭. ওজন কমায়:
প্রথমটায় শুনতে একটু আজব লাগলেও একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে ওজন কমাতেও কফি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রেও ক্যাফেইন নিজের খেল দেখিয়ে থাকে। এই উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর মেটাবলিজম রেটকে প্রায় ৩-১১ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দেহের প্রতিটি কোণায় জমে থাকা চর্বি ঝরতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, আরেকটি স্টাডিতে দেখা গেছে কফি পান করার পর চর্বি ঝরার মাত্রা প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই সত্যিই যদি ওজন কমানোর বিষয়ে সিরিয়াস হন, তাহলে দিনে ৩ পেয়ালা কফি পান করা শুরু করতেই পারেন।
৮. পুষ্টির ঘাটতি দূর করে:
কফিকে শুধুমাত্র পানীয় ভাবলে ভুল হবে কিন্তু! কারণ কফি বিনসের মধ্যে দিনের চাহিদার প্রায় ১১ শতাংশ বিটামিন বি২, ৬ শতাংশ ভিঠামিন বি৫, ৩ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ, ৩ শতাংশ পটাশিয়াম এবং ২ শতাংশ ম্যাগনেসিয়ামের সন্ধান পাওয়া যায়, যা নানাভাবে শরীরের গঠনে উপকারে লেগে থাকে।
৯. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে দিনে ২-৩ কাপ কফি খেলে কলোরেকটাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২৬ শতাংশ কমে যায়। কারণ এই পানীয়টি নানাভাবে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কাকে একেবারে কমিয়ে দেয়। ফলে এই মারণ রোগ শরীরে বাসা বাঁধার কোনও সুযোগই পায় না।
এবার নিশ্চয় জানতে পেরে গেছেন যে কফির জনপ্রিয়তা আজকাল এতটা বাড়ার পিছনে কী কারণে রয়েছে?