Just In
সাবধান! চিনে তৈরি এই সব বিষাক্ত খাবার আমাদের বাজারে ছড়িয়ে গেছে, যেগুলে খেলে জটিল রোগ হবেই হবে!
আমাদের পরশি দেশ চিন ভারতের বাজারে চালান করছে একাধিক বিষাক্ত খাবার, যা দেখতে স্বাভাবিক মনে হলেও যার শরীর জুরে রয়েছে শুধু বিষ আর বিষ।
বাংলায় এতটা কথা আছে, "সস্তায় পুষ্টিকর"। কেন এমনটা বলা হয়ে থাকে জানেন? কারণ আমাদের মধ্যে কম টাকা খরচ করে বেশি জিনিস কেনার একটা প্রবণতা রয়েছে। আর এই মানসিকতার সুযোগ নিয়েই আমাদের পরশি দেশ চিন ভারতের বাজারে চালান করছে একাধিক বিষাক্ত খাবার, যা দেখতে স্বাভাবিক মনে হলেও যার শরীর জুরে রয়েছে শুধু বিষ আর বিষ। আর সবথেকে ভযঙ্কর বিষয় কি জানেন? এইসব বিষ খাবারের দাম কম হওয়ার করণে দেশীয় মার্কেটে দেদার বিকোচ্ছে এইসব ভেজাল খাবার। আর আমাদের অজান্তেই মৃত্যু থাবা বসাচ্ছে সুস্থ জীবনে।
সরাসরি যুদ্ধের যুগ এখন ইতিহাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে যেমন ছায়া যুদ্ধ চলেছিল, এখন ভারতের সঙ্গে সেই একই রকমের "প্রক্সি ওয়ার" চালিয়ে যাচ্ছে চিন এবং পকিস্থান। সরাসরি না পেরে বিষাক্ত খাবার আমাদের মুখে তুলে দিয়ে ভারতকে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত ফেঁদেছে চিন। সেই কারণেই এই ফাঁদে আর পা দেওয়া চলবে না! তাহলে উপায়? এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি কেনার আগে ভাল করে পরখ করে নিতে ভুলবেন না। তাহলেই জীবন যেমন সুরজ্ঞিত হবে, তেমনি প্রকিপক্ষের মারের হাত রক্ষা পাবে আমাদের দেশ।
প্রসঙ্গত, প্রেস্টিসাইড উৎপাদনে চিন হল বিশ্বের এক নম্বরে। তাই তো সেদেশ উৎপাদিত প্রায় সব খাভারেই কেমিক্যালের পরিমাণ খুব বেশি থাকে। আর এমনসব কেমিক্যাল আমাদের শরীরে ঢুকলে অসুস্থ হয়ে পরার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই তো চিনা খাবারের দাম যতই কম হোক না কেন, সেগুলির দিকে ফিরেও তাকাবেন না। ভুলে যাবেন না জীবনের মূল্য খুচরো পয়সায় হিসেব করাটা বোকামি।
আর অপেক্ষা নয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক সেইসব বিষাক্ত খাবার সম্পর্কে।
১. রসুন:
কিছু দিন আগে পর্যন্তও ভারতীয় বাজারে বিক্রি হওয়া মোট রসুনের প্রায় ৩০ শতাংশই আসত চিন থেকে, যাতে মেশানো থাকতো নানা ক্ষতিকর কেমিক্যাল। এ সম্পর্কে জানার পর ভারত সরকার চিন থেকে রসুনের আমদানি প্রায় বন্ধ করে দিলেও এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ এবং নেপালের বর্ডার পেরিয়ে লুকিয়ে চুরিয়ে কুইন্টাল কুইন্টাল বিষাক্ত রসুন ছড়িয়ে পরছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। তাই এবার থেকে সুন্দর প্যাকেটে মোড়া রসুন কেনার আগে এরবার ভাববেন, আপনি বিষ কিনছেন না তো! তাহলে উপায়? খুব চেনা দোকান থেকে এই সবজিটি কেনার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলে হয়তো বিষের প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পারবেন।
২. প্লাস্টিক চাল:
আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিষাক্ত প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয় এই চাল। দেখতে একেবারে সাধারণ চালের মতো হয়। আর রান্না করার পর অনেকটা বাসমতি রাইসের মতো দেখতে লাগে। তাই তো সরু চাল কম দামে কিনছেন এই ভেবে অনেকেই রান্নাঘর ভরিয়ে তোলেন প্লাস্টিক চালে। খেয়ালও রাখেন না যে, চালের পরিবর্তে তারা দিনের পর দিন তাদের মৃত্যু কিনে চলেছেন। প্রসঙ্গত, এই ধরনের চাল দীর্ঘ দিন ধরে খয়ে গেলে ক্যান্সার, হজমের রোগ, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া সহ একাধিক রোগ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে একটু জেনে রাখা ভাল যে, প্লাস্টিক চাল রান্না করার সময় অনেকক্ষণ পর্যন্ত শক্ত থাকে, যা সাধারণ চালের ক্ষেত্রে লক্ষ করা যায় না। এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে বুঝবেন কোন চলটা ভাল, আর কোনটা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি? এক্ষেত্রে কতগুলি ঘরোয়া পদ্ধতি দারুন কাজে আসে। যেমন- এক গ্লাস জল নিয়ে তাতে আল্প করে চাল মিশিয়ে ভাল করে নারান। যদি দেখেন চালটা জলের উপরে ভাসছে, তাহলে বুঝবেন আপনি প্লাস্টিক চাল কিনে এনেছেন। আরেক ভাবে প্লাস্টিক চালকে চিহ্নিত করা সম্ভব। অল্প করে চাল নিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দিন। যদি দেখেন আগুন লাগানোর পর প্লাস্টিকের গন্ধ বেরচ্ছে, তাহলে ভুলেও ওই চাল খাবেন না।
৩. বিষাক্ত ডিম:
সেন্টার ফর স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটির প্রকাশ করা এক রিপোর্ট অনুসারে ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৯ শতাংশ প্রতিদিন ডিম খায়। আর এই সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাই তো ডিমের আড়ালে আমাদের দেশকে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত ফেঁদেছে চিন। শুধু বিষাক্ত চাল বা রসুনের আটকে না থেকে নকল, বিষাক্ত ডিম আমাদের বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। একাধিক রেস স্টাডির পর জানা গেছে বিষাক্ত এই ডিম তৈরিতে কাজে লাগানো হচ্ছে অ্যাগিনিক অ্যাসিড, জিলেটিন, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড এবং নকল রং-কে। এই সব উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে কি হতে পারে জানেন? স্মৃতিশক্তি একেবারে নষ্ট হয় যাবে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও কমতে শুরু করবে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ, এখন থেকে হাঁসের ডিম খাওয়া শুরু করুন। আর যদি একান্তই মুরগির ডিম খেতে ইচ্ছা করে তাহলে কতগুলি বিষয় যাচাই করে তবে খাবেন। যেমন- বিষাক্ত ডিমের খোলস সাধারণ ডিমের থেকে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়। শুধু তাই নয়, নকল ডিম চেনার আরও কিছু সহজ পদ্ধতি আছে। ডিমটি ফাটানোর আগে একটু নারিয়ে নেবেন। যদি দেখেন নারানোর সময় আওয়াজ হচ্ছে, তাহলে বুঝবেন ডিমটা নকল।
৪. নুন:
সাধারণ নুনের লেভেলে বাজারে ছডি়য়ে দেওয়া হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্ট, যা শরীরে প্রবেশ করলে হাইপো থাইরয়েড, ইনর্ফাটিলিট সহ একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। তাই লোকাল ব্র্যান্ডের নুন কিনবেন না। পরির্বতে কোনও ভাল কোম্পানির নুন খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলে কেমিক্যাল লবন খেয়ে অসুস্থ হয়ে পরার আশঙ্কা কমবে।
৫. কড়াইশুঁটি:
চিনে তৈরি নকল কড়াইশুঁটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় সোডিয়াম মেটাবাইসালফাইট এবং নকল সবুজ রং। শুধু তাই নয়, এতে মেশানো হচ্ছে একাধিক ক্ষতিকর কেমিক্যাল, যা থেকে ক্যান্সার রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। এক কথায় বলা যেতে পারে যে যে বিষাক্ত খাবার আমাদের দেশে চালান করছে চিন, তার মধ্য়ে ক্ষতির দিক থেকে একেবারে প্রথমের দিকে রয়েছে এই নকল কড়াইশুঁটি।
৬. তেলাপিয়া মাছ:
একেবারে ঠিক শুনেছেন। বাঙালির প্রিয় এই মাছটিকেও বিষে পরিণত করতে পিছপা হয়নি চিন। কীভাবে তেলাপিয়া মাছকে বিষে পরিণত করা হচ্ছে? মাছটির শরীরে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্রোথ হরমোন এবং ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক। ফলে এমন মাছ খাওয়া মাত্র আমাদের শরীরেও এই সব বিষ ঢুকে যাচ্ছে, যা থেকে হরমোনাল ইমব্যালেন্স সহ একাধিক মারণ রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাহলে এক্ষেত্রে উপায়? সাধারণ চোখে কোন তেলাপিয়া মাছটা বিষে ভরা, তা বোঝা প্রায় অসম্ভব। তাই খুব চেনা দোকান থেকে মাছ কেনার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে কোথা থেকে সেই মাছ বিক্রেতা তেলাপিয়া মাছগুলি কিনেছেন তা জেনে নিতে ভুলবেন না।
৭. মাশরুম:
সুপারমার্কেটে বাজার করতে গেলে দেখতে পাবেন প্যাকেটে করে মাশরুম বিক্রি হচ্ছে। সেগুলির মধ্যে কোনটা যদি দেখেন খুব উজ্জ্বল সাদা বর্নের, তাহলে সেই মাশরুম ভুলেও কিনবেন না। জানবেন তাতে এমন কিছু উপাদান মেশানো রয়েছে যা শরীরে পক্ষে একবারেই ভাল নয়।
৮. গোলমরিচ:
কালো রং এবং আরও কিছু কেমিক্যালকে কাজে লাগিয়ে মাটির গুঁড়কে কালো রং করে সেগুলিকে প্যাকেটজাত করে গোলমরিচ হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে ভারস সহ একাধিক দেশে। আর এই রং করা মাটি খেল যে শরীর খারাপ হবেই, তা নিশ্চয় আলাদা করে বলে দিতে হবে না।
৯. অপেলের রস:
ভারতীয় বাজারে বিক্রি হওয়া অপেলের রসের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশই চিন থেকে আসে। যাতে মেশানো থাকে একাদিক ক্ষতিকর প্রিসার্ভেটিভ এবং প্রেস্টিসাইডস। এমন ভেজাল আপেলের রস খেলে শরীরের অন্দরে ক্ষয় হতে শুরু করে। ফলে আয়ু কমে যায়। তাই যতটা সম্ভব রেডিমেড আপেলের রস না খাওয়ারই চেষ্টা করবেন।