Just In
- 3 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 5 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 6 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 23 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
সাবধান: মারাত্মক এক ভাইরাস ঢুকে পরেছে কলকাতায়!
এক ক্ষতিকর ভাইরাসের এন্ট্রি ঘটেছে কলকাতায়, যে কারণে গত কয়েক দিনে রাজধানী শহরে জ্বর,সর্দি-কাশির প্রকোপ বেড়েছে চোখে পরার মতো।
এ বছর ডেঙ্গু ভাইরাসের আক্রমণে যেখানে কলকাতাবাসীর জীবন এমনিতেই ওষ্টাগত, সেখানে আরেকটা খারাপ খবর শোনেলেন চিকিৎসকেরা। এক ক্ষতিকর ভাইরাসের এন্ট্রি ঘটেছে কলকাতায়, যে কারণে গত কয়েক দিনে রাজধানী শহরে জ্বর,সর্দি-কাশির প্রকোপ বেড়েছে চোখে পরার মতো।
বিশেষজ্ঞদের মতে হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে জন্ম হয়েছে হিউমেন মেটাফোনিউমা নামক এই ভাইরাসের, যা হাঁচি-কাশির মাধ্যমে দ্রুত ছড়াচ্ছে এক শরীর থেকে আরেক শরীরে। প্রসঙ্গত, এই ভাইরাসের আক্রমণে শরীর কাহিল হয়ে পরলে সাধারণত জ্বর, কাশি, সারা শরীরে ব্যথা এবং শ্বাস কষ্টের মতো লক্ষণ দেখা যায়।
ওড়িশা উপকূলে নিম্নচাপ হওয়ার কারণে গত কয়েকদিনে শহর কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যে কারণে হঠাৎ করে তাপমাত্রা নেমেছে অনেকটাই। এমনভাবে তাপমাত্র কমে যাওয়ার কারণে এই নতুন ভাইসাসের শক্তি বাড়তে সময় লাগেনি। শুধু তাই নয়, যত দিন যাচ্ছে, তত আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে হিউমেন মেটাফোনিউমা ভাইরাসটি। তাই সাবদান হওয়ার সময় মনে হয় এসে গেছে বন্ধুরা।
এখন প্রশ্ন হল এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার উপায় কী? যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে ভাইরাসের আক্রমণে শরীর তখনই কাহিল হয়ে পরে, যখন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে দুর্বল হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে একবার যদি ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলা সম্ভব হয়, তাহলে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে দূরে থাকতে কোনও সমস্যাই হয় না। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মারাত্মক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তাই এমন পরিস্থিতিতে যদি সুস্থ থাকতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি খেতে ভুলবেন না যেন!
সাধারণত যে যে খাবারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে, সেগুলি হল...
১. সাইট্রাস ফল:
পাতি লেবু, কমলা লেবু এবং মৌসাম্বি লেবুর মতো ফলকে সাধারণত সাইট্রাস ফল হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। এই ধরনের ফলের শরীরে মজুত থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, শরীরে শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়াতেও ভিটামিন সি-এর ভূমিকাকে অস্বীকার করা সম্ভব নয়। তাই হিউমেন মেটাফোনিউমা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিন একটা করে সাইট্রাস ফল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।
২. কাঁচা লঙ্কা:
সাইট্রাসের ফলের মতো কাঁচা লঙ্কাতেও প্রচুর মাত্রায় মজুত রয়েছে ভিটামিন সি। সেই সঙ্গে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। এই উপাদানটিও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি যে ভিটামিন সি শুধুমাত্র ইমিউনিটি বাড়ায় না, সেই সঙ্গে ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে, ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৩. ব্রকলি:
ক্রসিফেরাস পরিবারের অন্তর্গত এই সবজিটিতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার। এইসবকটি উপাদানই শরীর অন্দরের শক্তি বাড়াতে, ওজন কমাতে এবং সার্বিকভাবে শরীরের সচলতা বজায় রাখতে দারুন কাজে আসে।
৪. রসুন:
এতে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এবং রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, চিকিৎসকেরা ছোট-বড় সবাইকেই সকালবেলা খালি পেটে এক কোয়া করে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এমনটা কেন করেন জানেন? কারণ রসুনের অন্দরে থাকা সালফার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৫. আদা:
শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং নানাবিধ রোগের চিকিৎসায় বহু বছর ধরে এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে ব্যবহার করে আসছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা। আসলে আদার শরীরে মজুত রয়েছে প্রচুর মাত্রায় উপকারি উপাদান, যা ভাইরাল আক্রমণকে প্রতিরোধ করার পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, যন্ত্রণার উপশমে এবং জ্বর,সর্দি-কাশির প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আজকের পরিস্থিতি সামলাতে আদার যে কোনও বিকল্প হয় না, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
৬. পালং শাক:
বাঙালির প্রিয় এই শাকটিও রোগ প্রতোরোধ ব্যবস্থার উন্নতিতে সাহায্য করে থাকে। আসলে পালং শাকে মজুত রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতিতে এই ভিটামিনটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।