Just In
করোনা ভাইরাস : কোভিডের থেকেও ১০গুণ বেশি মারাত্মক এই ভাইরাস! সন্ধান মিলল মালয়েশিয়ায়
ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে করোনা ভাইরাস। ভারতে এক একটি দিনে নতুন করে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন কোভিড-১৯ দ্বারা। ফলত নাজেহাল অবস্থা দেশের সকল মানুষের। মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ যখন চাতক পাখির মতো চেয়ে বসে রয়েছে ভ্যাকসিনের দিকে, ঠিক তখনই এক নতুন আতঙ্কের কথা প্রকাশ্যে আনল মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মালয়েশিয়ার বিজ্ঞানীরা করোনা ভাইরাসের একটি নতুন প্রজাতি বা স্ট্রেনের সন্ধান পেয়েছেন, যার নাম 'D614G'। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, এই স্ট্রেন বর্তমান করোনা ভাইরাস অর্থাৎ কোভিড-১৯ এর থেকে ১০গুণ বেশি সংক্রামক ও ভয়ঙ্কর। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাসটি।
এই খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্রই নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে মালয়েশিয়ায়, পাশাপাশি অন্যান্য দেশের মানুষেরাও আতঙ্কে ভুগছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাসের চরিত্র ও লক্ষণের উপর ভিত্তি করে গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা যে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন, তা এক্ষেত্রে কার্যকরী নাও হতে পারে। কারণ, করোনা ভাইরাসের এই মিউটেশন বা রূপান্তর বর্তমান ভাইরাস এর থেকে ১০গুণ বেশি শক্তিশালী।
এই বিষয়ে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধিকর্তা নূর হিশাম আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, ভাইরাসের এই চরিত্র বদল ভ্যাকসিনের আবিষ্কার নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, চরিত্র বদলের ফলে করোনা আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। যার ফলে বর্তমান ভ্যাকসিন থেকে শুরু করে অনেক কিছুই আর কাজে নাও লাগতে পারে।
আরও পড়ুন : বাতাস থেকেও ছড়াতে পারে করোনা, জানুন WHO-এর মত
ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার একটি রেস্টুরেন্টের ৪৫ জনের মধ্যে তিনজনের শরীরে D614G ভাইরাসটি পাওয়া গেছে। ভারত থেকে আগত সেই রেষ্টুরেন্টের মালিক ১৪ দিনের কোয়ারান্টিন না মেনে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তার থেকেই বাকিদের এই ভাইরাস ছড়ায় বলে জানা গিয়েছে। এই অপরাধের জন্য মালয়েশিয়া সরকার সেই ব্যক্তিকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছে। ফিলিপাইনস থেকে ফেরা কিছু মানুষের মধ্যেও এই ভাইরাস দেখা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধিকর্তা আবদুল্লাহ-র মতে, যে জনগোষ্ঠীতে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, সেগুলি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। তবে এটা প্রাথমিক স্তরের পরীক্ষা, আরও বেশ কিছু পরীক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে। আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। হু-এর দাবী, ভাইরাসের এই রূপান্তর যে আরও ভয়ঙ্কর রকমের কোনও রোগের জন্ম দেবে, সে সম্পর্কে এখনও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকতে হলে আমাদের সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে। মাস্ক ব্যবহার, সোশ্যাল ডিসটেন্স, হাত ধোওয়ার পাশাপাশি বাইরে বেরোলে নিজেকে নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দিতে হবে সকলকে। তবেই হয়তো এড়ানো ভাইরাসের সংক্রমণ।