Just In
জাতীয় ক্রীড়া দিবস : টিনেজারসদের ফিট থাকার জন্য কয়েকটি খেলা
প্রতিবছর ২৯ অগাষ্ট কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় মেজর ধ্যানচাঁদ সিং -এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাতীয় ক্রীড়া দিবস পালন করা হয়। তাঁর অসাধারণ প্রতিভার বলে ১৯২৮, ১৯৩২ ও ১৯৩৬ সালে অলিম্পিকে ভারত হকিতে সোনা জেতে। ১৯২৬ সাল থেকে ১৯৪৯ পর্যন্ত তিনি তাঁর পুরো কেরিয়ারে ৪০০-র উপরে গোল করেছেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মভূষণ পুরষ্কার পান। ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পুরস্কারই তাঁরই নামে নামাঙ্কিত। 'লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট ' পুরস্কার তাঁর নাম করেই দেওয়া হয় মেজর ধ্যানচাঁদ পুরস্কার।
খেলাধূলা আমাদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখে এবং আমাদের শরীরকেও ফিট রাখে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ করে। বিশেষত টিনেজারসদের সবধরনের ক্রীড়ায় অংশ নেওয়া উচিত। কারণ, এতে তাদের মানসিক ও সামগ্রিক ফিটনেস হয়। টিনেজারসদের ফিট থাকার জন্য এখানে কয়েকটি খেলার উল্লেখ করা হল-
১) সাঁতার - সাঁতার আমাদের হার্ট সুস্থ রাখে, সহনশীলতা বাড়ায়, পেশীর শক্তি বাড়ায়, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে এবং ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে। সাঁতার শিশুদের শারীরিক, জ্ঞান এবং সামাজিক দক্ষতার ক্ষেত্রে দ্রুত বিকাশে সহায়তা করে।
২) সাইক্লিং - সাইক্লিং করলে আমাদের শরীরে ফ্যাট জমে না। বিষণ্ণতা কমায়, রোগ প্রতিরোধ করে, পেশীর শক্তি বৃদ্ধি করে এবং আমাদের শরীরকে ফ্লেক্সিবেল করে তোলে। এছাড়াও, আমাদের হার্ট সুস্থ রাখে।
৩) দৌড়ানো - টিনেজারসদের উচিত নিয়মিত দৌড়ানো। এরফলে, শারীরিক উন্নতি হয়,শরীরকে ফ্লেক্সিবেল করে তোলে, শরীর ফিট থাকে।
৪) বাস্কেটবল - বাস্কেটবল খেললে কিশোর-কিশোরীদের স্থানিক সচেতনতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং চাপ কমে।
৫) টেনিস - টেনিস টিনেজারসদের জন্য আরেকটি দুর্দান্ত খেলা। এটি পেশীকে শক্তিশালী করে এবং ফ্লেক্সিবেল করে, হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়, বিপাকীয় ক্ষমতা উন্নত করে, রক্তচাপ কমায়।
৬) ভলিবল - ভলিবল আরেকটি স্বাস্থ্যকর খেলা, যা টিনেজারসদের খেলা উচিত। এটি বিপাকীয় ক্ষমতা উন্নত করে, মন ভালো রাখে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল অনুসারে, একজন মানুষ আধঘণ্টা ভলিবল খেলে ৯০ থেকে ১৩৩ ক্যালোরি পোড়াতে পারে।
৭) ব্যাডমিন্টন - ব্যাডমিন্টন আরেকটি স্বাস্থ্যকর খেলা, যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়, হার্ট ভালো রাখে, বিপাকীয় ক্ষমতা উন্নত করে, পেশীর শক্তি বাড়ায়।
৮) জিমনাস্টিকস - জিমনাস্টিকস শরীর ফিট রাখতে সাহায্য করে। টিনেজারসদের উচিত জিমন্যাস্টিক করা কারণ এটি শারীরিক ও মানসিক ফোকাসকে সঠিক পথে চালনা করে। এটি শরীরকে শক্তিশালী এবং নমনীয় করে তোলে।
৯) রোয়িং - রোয়িংয়ের মাধ্যমে পেশীর শক্তি বৃদ্ধি করা যায়। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে এটি।