Just In
- 7 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 11 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 13 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 15 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
Don't Miss
অবসাদে ভুগছেন? নতুন প্রজন্মের জন্য এই সমস্যার সহজ সমাধান
কোনও সাইকোলজিষ্টের প্রয়োজন নেই, শুধু কিছু নিয়ম মেনে চললেই এই ডিপ্রেশন থেকে মিলবে চিরতরে মুক্তি।
জেনারেশন ওয়াই এই শতাব্দীতে সবচেয়ে বেশি ডিপ্রেশনে ভুগছে, বিভিন্ন সমীক্ষার কিন্তু একই মত। জীবনে বাড়তে থাকা জটিলতা, কাজের চাপ, কেরিয়ার গড়ার চাপ, লাভলাইফের জটিলতা সব মিলিয়ে বিশাল ভার তৈরি হয়েছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। এতে তাদের মেজাজ হয়ে পড়ছে খিটখিটে, কাজে ঠিকঠাক মন বসছে না, আর এসবের ফলে খুব সহজেই ডুবে যাচ্ছে ডিপ্রেশনে। ডিপ্রেশন থেকে আসছে খাওয়া দাওয়ায় অনিয়ম, দৈনন্দিন রুটিনে ব্যাঘাত। ধসে পড়ছে একটা তরতাজা শরীর। এসবের থেকে মুক্তি উপায় অবশ্যই আছে আর তার জন্য কিন্তু কোনও সাইকোলজিষ্টের প্রয়োজন নেই, শুধু কিছু নিয়ম মেনে চললেই এই ডিপ্রেশন থেকে মিলবে চিরতরে মুক্তি।
১) ব্যায়াম করুন
সকালে বা আপনার ফাঁকা সময়ে কয়েকটি সাধারণ ব্যায়াম করুন। এটা কিন্তু আপনার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মজবুত করতে নয়, আপনার মনকে ভালো রাখতে প্রয়োজন। ফলে খুব কষ্টকর ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই, বেছে নিন সহজ কিছু ব্যায়াম। দিনে অন্তত আধঘন্টা মনোযোগ সহকারে ব্যায়াম করলে দেখবেন আপনার মনের ও মাথার ভার, দুশ্চিন্তা এমনিই দূর হয়ে গেছে। নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতেও আর বাধা থাকবে না।
২) ডায়েরি লিখুন
আপনার প্রতিদিনের নানারকম ঘটনা ঘটে থাকে যা আপনার মনে প্রভাব ফেলে। এবার সেই ঘটনাগুলি মনের মধ্যে চেপে না রেখে লিখে ফেলার চেষ্টা করুন। একটি ডায়েরি লিখে রাখুন সেই বিশেষ বিশেষ ঘটনাগুলো যা আপনার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, যা আপনাকে আনন্দ দিয়েছে, অথবা দুঃখ দিয়েছে, অথবা চিন্তায় ফেলে দিয়েছৈ। লিখে রাখলে দেখবেন আপনার মাথায় ওই চিন্তাটি আর ঘুরছে না, আপনি মুক্তি পাবেন ওই ঘটনা থেকে।নিয়ম করে প্রতি রাতে শোওয়ার আগে এই অভ্যাসটি বজায় রাখুন। এতে আপনার মন হালকা হবে, কাজের ক্ষেত্রেও কোনওরকম কুপ্রভাব পড়বে না।
৩) পছন্দের জিনিস নিয়ে সময় কাটান
আপনার এককালে হয়তো নানারকম হবি ছিল। এখন কাজের চাপে সেসবে আর সময় দিতে পারছেন না। মনকে ডিপ্রেশন-এ না যেতে দিয়ে আপনার পুরোনো হবিগুলোতে ইনভলভ্ করুন। এতে আপনার পুরোনো হবিও আপনার থেকে সময় পাবে, সবির সঙ্গে সময় কাটিয়ে আপনিও ভালো থাকবেন। গান শোনা, ছবি আঁকা, বই পড়া এই হবিগুলো আপনার জন্য সত্যি ভালো।
৪) রুটিন ঠিক করুন থেকেই
পরেরদিন আপনি কী কী কাজ করবেন তা ঠিক করুন আগেরদিন থেকেই। পাশাপাশি লিখে রাখুন পরেরদিনের কমিটমেন্টসও, যেগুলো আপনাকে করতেই হবে। চেষ্টা করুন কাউকে এমন কোনও কাজ নিয়ে কমিট না করতে যা আপনার কাছে বেশি চাপ বলে মনে হচ্ছে। কাজের চাপ ও কাজ ঠিকঠাক শেষ করতে না পারার চাপও কিন্তু অনেকসময় ডিপ্রেশনের কারণ হয়ে ওঠে।
৫) সোশ্যাল মিডিয়া সার্ফিং কমান
সোশাল মিডিয়া সার্ফিং এর ক্ষেত্রে আমরা খুব কম সময়ে অনেকগুলো জিনিস নিয়ে মাথা ঘামাই, ফলে সোশ্যাল মিডিয়া একরকম ব্রেনে চাপই সৃষ্টি করে, যা কিন্তু মোটেই ভাল নয়। সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জাজমেন্টিল করে তোলে। সাধারণ জীবনে আমরা যা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা তা থাকি না। ফলে এই চরিত্রবদল কিন্তু আমাদের মনে প্রভাব ফেলে অনেকটাই। তাই চেষ্টা করুন দিনে একটি নির্দিষ্ট সময়ের বেশি কোনওভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ না থাকতে। এতে আপনি নিজের জন্য বেশি সময় বার করতে পারবেন।
এই অল্প কিছু স্টেপস যদি আপনার প্রতিদিনের রুটিনে অ্যাড করে নেন, তবে দেখবেন স্ট্রেস আর ডিপ্রেশন দুইই উধাও। তবেও কিন্তু জেনারেশন ওয়াই হবে কুল জেনারেশন।