Just In
- 9 hrs ago
Weekly Horoscope : কেমন কাটবে এই সপ্তাহটি? জেনে নিন
- 12 hrs ago
Ajker Rashifal : কেমন কাটবে আজকের দিন? পড়ুন ২২ মে-র রাশিফল
- 22 hrs ago
Mango Parota Recipe : এই গরমে স্বাদ বদল করতে চেখে দেখুন আমের পরোটা, দেখে নিন রেসিপি
- 24 hrs ago
কুকুর, বিড়ালের সঙ্গই পারে আপনার স্বাস্থ্য ভাল রাখতে! জেনে নিন বাড়িতে পোষ্য রাখার উপকারিতা
একা থাকলেই খেল খতম!
এতদিন বিশ্বের তাবড় তাবড় চিকিৎসকেরা কম বয়সিদের মধ্যে মৃত্যুহার বাড়ার পিছনে অতিরিক্ত ওজন এবং ধূমপানকেই দায়ি করতেন। কিন্তু এখন সে ধারণা বদলেছে। সম্প্রতি একদল আমেরিকান গবেষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যা তোলপাড় ফেলে দিয়েছে সারা দুনিয়াজুড়ে।
কী লেখা রয়েছে সেই গবেষণা পত্রে? স্টাডিটি করার সময় গবেষকরা লক্ষ করেছেন একাকিত্ব দ্রুত আয়ু কমিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, কম বয়সে হঠাৎ মারা যাওয়ার আশঙ্কাও বাড়ায় একা থাকার অভ্যাস। প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে হওয়া আরেকটি স্টাডিতে দেখা গেছে এখন ২৫-৪০ বছর বয়সিদের সিংহভাগই আর বাবা-মা অথবা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ পায় না। প্রথমত বাইরের রাজ্যে গিয়ে পড়াশোনা, তারপর কোনও দূর দেশে চাকরি। ফলে পরিবারের সঙ্গ যাচ্ছে ছুটে। সেই সঙ্গে চাকরির চাপে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও দুরত্ব বাড়ছে। ফলে একাকিত্ব এতটাই ঘিরে ধরছে যে ধীরে ধীরে শরীর ভাঙতে শুরু করছে। সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেল বাড়ার কারণে মস্তিষ্ক এবং হার্টের উপরও মারাত্মক চাপ পরছে। ফলে মৃত্যু মেঘ ঘনিয়ে আসে জীবনের নির্মল আকাশে।

সামাজিকতা জরুরি কেন?
যে যে আমেরিকান গবেষকরা কেস স্টাডিটি চালিয়েছিলেন তাদের অন্যতম প্রফেসর জুলিয়েনা হল্টের মতে, মেলামেশা বাড়ালে স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণের কারণে মন খারারও কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। অন্যদিকে একা থাকলে একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে। সেক্ষেত্রে ধীরে ধীরে মন এবং শরীর এতটাই ভেঙে যায় যে মৃত্যু ছোবল মারতে সময় নেয় না।

গবেষণায় কী দেখা গেছে:
প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের উপর করা এই গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রতিনিয়ত মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন তাদের সময়ের আগে মারা যাওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়। তাই একবার ভেবে দেখুন, আর একা থাকবেন কিনা! প্রশ্ন করতেই পারেন যে একা থাকা ছাড়া তো কোনও উপায় নেই? ঠিকই বলেছেন। হয়তো এখনই চাকরি ছেড়ে বাবা-মার কাছে ফেরত যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু একটা কাজ তো করতেই পারেন। প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে হোয়াটসঅ্যাপ-এ বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা জমাতে পরেন তো। সেই সঙ্গে মাঝে মাঝে অফিস কাট মেরে কোথাও একটা থেকে ঘুরে আসার প্রোগ্রামও তো বানাতে পারেন। দেখবেন এমনটা করলে অনেকটাই একাকিত্ব কাটবে। জীবন ফিরে পাবে তার অর্থ।

কোন কোন দেশের অবস্থা সবথেকে খারাপ?
কেস স্টাডিটি চলাকালীন দেখা গেছে এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং অষ্ট্রেলিয়ায় একাকিত্ব যেন মহামারির মত মারছে কম বয়সিদের। তাই দয়া করে এখনই সাবধান হন। না হলে কিন্তু খুব বিপদ!