Just In
- 1 hr ago প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে খান সুপারফুড চিয়া সিড!
- 3 hrs ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 5 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 21 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান? রান্নাঘরের এই মশলাগুলো যোগ করুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়!
রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়াকে ডায়াবেটিস বলে। এটি ভয়ঙ্কর একটা রোগ, ঠিক মতো ডায়াবেটিসের চিকিৎসা না হলে তা মারাত্মক হতে পারে। তাই এই রোগ ফেলে রাখা উচিত নয়। ডায়াবেটিস সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী রোগ, একবার এই রোগ হলে সারাজীবন বয়ে নিয়ে যেতে হয়। অনেকেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ, ইনসুলিন নেন। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না প্রতিদিনের জীবনযাত্রা ও খাওয়ার ওপর প্রায় ৮০ শতাংশ নির্ভর করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ। তার সঙ্গে মেডিটেশন, এক্সারসাইজ তো আছেই। এমনকি রান্নাঘরের কিছু মশলাও ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখতে দারুন কাজ করে।
হলুদ, দারুচিনিতে রয়েছে একাধিক থেরাপিউটিক উপাদান, যেগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। খুব সহজেই এগুলো বাজারে পাওয়া যায় আর আলাদাভাবে এগুলো খাওয়ার দরকার হয় না। প্রতিদিনের রান্নাতে মশলা মিশিয়ে দিলেই কাজ হবে! এই প্রতিবেদনে আমরা এরকম কিছু মশলা নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুন কাজ করে।
১) দারুচিনি
গবেষণায় দেখা গেছে ৩-৬ গ্রাম দারুচিনি প্রতিদিন খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। ৩০-৪০ দিন একটানা এটা খেলে কাজ হবে। দারুচিনি ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা এবং ফাস্টিং ব্লাড গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস করে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম থাকবে।
২) হলুদ
হলুদের হাজার গুণাগুণ রয়েছে। কাটা, ছড়া ভালো করার পাশাপাশি হলুদ অ্যান্টি ডায়াবেটিস হিসেবে কাজ করে। এটি ডায়াবেটিস বাড়তে দেয় না, বিটা-কোষের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং তাদের মৃত্যু রোধ করে। হলুদের কার্ডিওপ্রোটেক্টিভ (হার্ট) এবং নেফ্রোপ্রোটেক্টিভ (কিডনি) প্রভাবগুলি ডায়াবেটিসের জটিলতা রোধ করতে সহায়তা করতে পারে।
৩) মেথি
ডায়াবেটিস হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। মেথি শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। হাইপারগ্লাইসেমিয়া হ্রাস করতে সাহায্য করে এটি। গবেষণায় দেখা গেছে, ৩ বছর ধরে টানা মেথি খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়।
৪) লাল লঙ্কা
লাল লঙ্কায় থাকে ক্যাপসাইকিন। এই উপাদান অ্যান্টি-ডায়াবেটিক হিসেবে কাজ করে, তার সঙ্গে স্থূলতা, পেটের নীচে যন্ত্রণা - ডায়াবেটিসের কারণে যেগুলো দেখা দেয় সেসবের সম্ভাবনা কম করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ক্যাপসাইকিন ইনসুলিনের উৎপাদন এবং বিপাকে সাহায্য করতে পারে। এই ইনসুলিন একটি হরমোন যা শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে।
৫) তেজপাতা
টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে তেজপাতা। প্রতিদিন ১-৩ গ্রাম তেজপাতা খেলে ডায়াবেটিসের জটিলতা, যেমন - হার্টের রোগ দেখা দেয় না। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের স্থিতি, কোষের কার্যাদি উন্নত করতেও সহায়তা করতে পারে।
শুধু ওয়ার্কআউট নয়, ওজন কমাতে মানতে হবে পোস্ট ওয়ার্কআউট রুটিনও
৬) এলাচ
এলাচে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং হাইপোলিপিডেমিক উপাদান, যা রক্তে গ্লুকোজ লেভেল ঠিক রাখে। এটি এনার্জি, কোষের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং ইনসুলিনকে যথাযথভাবে মুক্তি দিতে পারে।
৭) লবঙ্গ
অতিরিক্ত গ্লুকোজ সংরক্ষণ করে গ্লুকোজ স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে লবঙ্গ। যকৃতের কর্মহীনতার ফলে গ্লুকোজ হোমিওস্টেসিস এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস হতে পারে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, লবঙ্গে গ্যালিক অ্যাসিড, কেটেকিন এবং কোরেসেটিনের মতো পলিফেনল থাকে যেগুলি যকৃতের কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং লিভারের গ্লাইকোজেনকে গ্লুকোজে রূপান্তর করতে সহায়তা করে, যা ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৮) জিরা
ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড গ্লুকোজ, বডি ফ্যাট, লেপটিনের মাত্রা কম করে জিরা। এগুলো কমে গেলে ইনসুলিন প্রতিরোধ বাড়ায় এবং ডায়াবেটিসের জটিলতা হ্রাস করে।