Just In
- 14 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 16 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 19 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 21 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
এই নিয়মগুলি মানলে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে! দূরে থাকবে ডায়াবেটিস এবং হার্টের রোগ!
সম্প্রতি প্রকাশিত বেশ কয়েকটি সরকারি এবং বেসরকারি রিপোর্ট ঘেঁটে যে তথ্য সামনে এসেছে, তা বাস্তবিকই ভয়ঙ্কর। রিপোর্ট অনুসারে ভারতের মহিলা নাগকিরদের মধ্যে প্রায় ২১ শতাংশ ওবেসিটির শিকার।
সম্প্রতি প্রকাশিত বেশ কয়েকটি সরকারি এবং বেসরকারি রিপোর্ট ঘেঁটে যে তথ্য সামনে এসেছে, তা বাস্তবিকই ভয়ঙ্কর। রিপোর্ট অনুসারে ভারতের মহিলা নাগকিরদের মধ্যে প্রায় ২১ শতাংশ ওবেসিটির শিকার। পুরুষদের মধ্যে এই সংখ্যাটা আরও বেশি। এখানেই শেষ নয়, সারা বিশ্বের মধ্যে ওবেস বাচ্চাদের সংখ্যার বিচারে আমাদের দেশের স্থান দ্বিতীয় স্থানে, চিনের পরেই। এমন পরিস্থিতিতে যদি এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে আগামী দিনে হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মতো মারণ রোগের প্রকোপ যে আরও বাড়বে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
এখন প্রশ্ন হল, ওজনকে বিপদ সীমার নিচে রাখার উপায় কী? এক্ষেত্রে কতগুলি নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলেই দেখবেন ওজন বাড়ার নামও নেবে না। আর ওজন না বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ জীবনের পথও প্রশস্ত হবে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলার প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলি হল...
১. কফি খাওয়ার মাত্রা কামতে হবে:
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে ক্যাফিন রয়েছে এমন পানীয় বেশি মাত্রায় খেলে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বাড়াতে থাকে। আর যেমনটা আপনাদের জানা আছে মিষ্টি মানেই অতিরিক্তি ক্যালরি। আর অতিরিক্তি ক্যালরি মানেই ওজন বৃদ্ধি পাওয়া।
২. প্রতিদিন ডাল খেতে হবে:
এই ধরনের খাবার হল প্রোটিন সমৃদ্ধ। ফলে লাঞ্চে বা ডিনারে এক বাটি করে ডাল খেলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকবে। আর পেট ভরা থাকলে বারে বারে অল্প অল্প করে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে যাবে। সেই সঙ্গে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমে ওজম বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পাবে।
৩. নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে:
ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে প্রতিদিন অল্প-বিস্তর শরীরচর্চা করতেই হবে। না হলে কিন্তু ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা একেবারেই সম্ভব হবে না। তবে একান্তই যদি এক্সারসাইজ করার সময় করে উঠতে না পারেন, তাহলে নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সেই সঙ্গে মিলবে আরও অনেক উপকারিতাও।
৪. হোল গ্রেন খাবার বেশি করে খেতে হবে:
প্রসেসড সিরিয়ালের পরিবর্তে খাওয়া শুরু করুন বাজরা, রাগি এবং জোয়ারের মতো খাবার। যত বেশি করে এমন ধরনের খাবার খাবেন, তত শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে। সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে। ফলে খাওয়ার পরিমাণ কমবে। সেই সঙ্গে শরীরে ক্যালরি প্রবেশের মাত্রাও কমতে শুরু করবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কমবে।
৫. খাওয়ার সময় টিভি দেখা চলবে না:
একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে খাওয়ার সময় টিভি দেখলে নিজের অজান্তেই বেশি পরিমাণ খাবার খাওয়া হয়ে যায়। আর এমনটা হতে থাকলে ওজন বৃদ্ধি পেতে যে সময় লাগে না, তা বলাই বাহুল্য! প্রসঙ্গত, খেতে খেতে মোবাইল ঘাঁটলেও একই ঘটনা ঘটে। তাই বিষয়টি মাথায় রাখাও একান্ত প্রয়োজন।
৬. সবজি এবং ফল খেতে হবে:
দিনে তিনবার নিয়ম করে সবজি খেতে হবে। সেই সঙ্গে যেন অবশ্যই থাকে ২ টো করে ফল। এই নিয়ম মেনে চললে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি যেমন দূর হবে, তেমনি ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রাও বৃদ্ধি পাবে। ফলে শরীরের কর্মক্ষমতা তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও আর থাকবে না।
৭. চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে:
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার একটা সহজ ফর্মুলা আছে। কী সেই ফর্মুলা? শারীরিক পরিশ্রমের সঙ্গে তাল রেখে যদি ক্যালরি গ্রহণ করা যায়, তাহলে ওজন বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। তাই তো চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। কারণ বেশি মাত্রায় চিনি খেলে শরীরে অকারণে ক্যালরির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর ক্যালরির মাত্রা বাড়লে যে ওজন বাড়ারও সম্ভাবনা বাড়ে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।