For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

জানা আছে কি শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিলে আপনি মরেও যেতে পারেন!

নিয়মিত রোদ পোয়ালে দেহের অন্দরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূর হতে শুরু করে। ফলে হাড় এত শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে যে চোট-আঘাত লাগার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

|

এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে ভিটামিন ডি কী কী কাজে আসে, সে সম্পর্কে ধরণা করে নেওয়া জরুরি। না হলে ঠিক বুঝে উঠতে পারবেন না এই ভিটামনিটিকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয় কেন!

ছোট বেলায় দাদু-ঠাকুমাকে নিশ্চয় দুপুরে খাওয়ার পর রোদ পোয়াতে দেখেছেন! কেন তারা এমনটা করতেন জানেন? কারণ নিয়মিত রোদ পোয়ালে দেহের অন্দরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূর হতে শুরু করে। ফলে হাড় এত শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে যে চোট-আঘাত লাগার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে জয়েন্ট, ঘার এবং গোড়ালির কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন...

১. ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূরে থাকে:

১. ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূরে থাকে:

সূর্যের আলো শরীরে লাগলে ত্বকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা কমে। তাই যারা ড্যাম্প পরিবেশের মধ্যে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটান, তাদের কিছুটা সময় সূর্যালোকের মাঝেও কাটানো উচিত।

২. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

২. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

বিশ্বের নানা প্রান্তে হওয়া একাধিক গবেষণা একথা প্রমাণ করেছে যে সূর্যের আলো রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা যাতে বৃদ্ধি না পায়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। আর একথা তো সকলেরই জানা আছে যে কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন সকালে রোদ গায়ে মেখে ১ ঘন্টা বাইরে বসে থাকুন। তাহলেই দেখবেন হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। সেই সঙ্গে নানাবিধ হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

ইমিউন সিস্টেম যত শক্তিশালী হবে, তত নানাবিধ সংক্রমক রোগ দূরে থাকবে। সেই সঙ্গে নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে। তাই তো শরীরের এই রক্ষা কবচকে চাঙ্গা রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। না হলে কিন্তু বিপদ! আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? খুব সহজ! প্রতিদিন সকালে কিছু সময় সূর্যের আলো গায়ে লাগতে দিন। এমনটা করলে শরীরে শ্বেত রক্ত কণিকা এবং গামা গ্লোবিউলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। ফলে কোনও ধরনের সংক্রমণই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।

৪. ঘুম ভাল হয়:

৪. ঘুম ভাল হয়:

যারা অনিদ্রায় ভুগছেন, তারা কাল থেকেই সূর্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন। এমনটা করলে দেখবেন রাতে ঘুম না আসার সমস্যা দূর হবে। আসলে সূর্যের আলো চোখে লাগা মাত্র অপটিকাল নার্ভ মারফত আমাদের মস্তিষ্কে একটি বিশেষ সিগনাল যায়, যা মেলাটোনিন নামে খটি রাসায়নিকের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এই রাসায়নিকের ক্ষরণ যত বাড়তে থাকে, তত ঘুমে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৫. ত্বকের রোগ সারাতে সাহায্য করে:

৫. ত্বকের রোগ সারাতে সাহায্য করে:

টানা চার সপ্তাহ অল্প সময়ের জন্য সূর্যের আলো গায়ে লাগালে সোরিয়াসিস সহ একাধিক ত্বকের রোগ সেরে যায়। তবে বেলা ১২ টার আগে এই কাজটা করবেন। কারণ বেলা বাড়লে রোদের তেজও বেড়ে যায়। ফলে এমন সময় সূর্য়ের আলো গায়ে লাগাতে কষ্ট হতে পারে।

৬. ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করে:

৬. ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করে:

ব্রেস্ট, কোলোন এবং প্রস্টেট ক্যান্সার রোধে সূর্যালোকের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়ে ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করে ফেলতেও সূর্যের আলো বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে বেলা বাড়ার পর বেশিক্ষণ সূর্যের নিচে কাটালে স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই যতটা পারবেন সকাল বেলা সূর্য়ের আলো গায়ে লাগানোর চেষ্টা করবেন।

৭. মাল্টিপল স্কলোরোসিস মতো রোগের প্রকোপ কমে:

৭. মাল্টিপল স্কলোরোসিস মতো রোগের প্রকোপ কমে:

রক্ত সরবরাহকারী শিরা-উপশিরাগুলি যদি স্টিফ হয়ে যায়, তাহলে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত সরবারহ কমে যেতে শুরু করে। আর এমনটা দীর্ঘ দিন ধরে হতে থাকলেই হার্ট অ্যাটাক সহ একাধিক মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই তো শিরা-উপশিরা সংক্রান্ত এমন রোগ যাদের রয়েছে, তাদের প্রতিদিন কিছুটা সময় রোদে কাটানো উচিত। কারণ সূর্যালোক শিরাকে নমনীয় করে তোলে। ফলে অ্যাথেরো স্কেলোরোসিসের অশঙ্কা হ্রাস পায়, সেই সঙ্গে কমে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কাও।

৮. শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়:

৮. শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়:

সূর্যের আলো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। এই ভিটামিনটি শরীরে প্রবেশ করা মাত্র রক্তে উপস্থিত কোলেস্টেরলকে স্টেরয়েড এবং সেক্স হরমোনে রূপান্তরিত করে দেয়। ফলে খারাপ উপাদানও শরীরের উপকারে লেগে যায়।

এখন প্রশ্ন হল যাদের নিয়মিত রোদ পোয়ানোর সময় নেই, তাদের শরীরে তো ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দেবে। সেক্ষেত্রে তাদের কী করণীয়? এক্ষেত্রে কতগুলি সহজ পদ্ধিতির সাহায্য নিলেই কেল্লাফতে! যেমন...

১. কর্ডলিভার অয়েল:

১. কর্ডলিভার অয়েল:

কর্ড মাছের লিভার থেকে সংগ্রহ করা এই তেল সারা গায়ে লাগিয়ে যদি মাসাজ করতে পারেন, তাহলে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না। কারণ এই তেলটির অন্দরে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ডি মজুত থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এবং জযেন্ট পেন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. মাশরুম:

২. মাশরুম:

ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটাতে এই প্রকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই হাড়ের পাশপাশি হার্ট এবং ব্রেনকে যদি চাঙ্গা রাখতে চান, তাহলে সপ্তাহে ২-৩ দিন মাশরুম খেতেই হবে। প্রসঙ্গত, ভিটামিন বি-এর চাহিদা পূরণেও মাশরুমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

৩. সামদ্রিক মাছ:

৩. সামদ্রিক মাছ:

সারা ভারতবর্ষের হাল যেখানে দুর্বিসহ, সেখানে বঙ্গবাসীরা এখনও চাঙ্গা রয়েছেন। আর এমনটা কিভাবে হয়েছে, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না। কারণ যে জাতীর একদিনও মাছ ছাড়া চলে না, তাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হবে কিভাবে বলুন! আসলে মাছের শরীরে, বিশেষত সামদ্রিক মাছে যে পরিমাণে ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, সেই পরিমাণে থাকে ভিটামিন ডি-ও। তাই তো প্রতিদিন মাছ খেলে শরীরে এই বিশেষ ধরনের ভিটামনিটির ঘাটতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।

৪. সূর্যমুখী ফুলের বীজ:

৪. সূর্যমুখী ফুলের বীজ:

এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতি প্রচুর মাত্রায় মজুত রয়েছে ভিটামিন ডি এবং উপকারি প্রোটিন। তাই তো নিয়মিত যদি সূর্যমুখী ফুলের বীজ একটু ভেজে নিয়ে খেতে পারেন, তাহলে ভিটামিন ডি-এর যোগান নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না।

৫. দুধ খাওয়া জরুরি:

৫. দুধ খাওয়া জরুরি:

মাশরুমে যে মাত্রায় ভিটামিন ডি রেয়েছে, তার থেকে কিছু কম নেই দুধে। তাই তো শরীরে এই উপকারি ভিটামিনটির যোগান ঠিক রাখতে প্রতিদিন দুধ নয়তো কোনও না কোনও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া জরুরি।

৬. ডিমের সঙ্গ ছাড়া চলবে না:

৬. ডিমের সঙ্গ ছাড়া চলবে না:

শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটাতে যদি চান, তাহলে রোজের ডায়েটে একটা করে ডিম থাকা মাস্ট! নিউট্রিশনিস্টদের মতে ডিমের অন্দরে যেমন প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন এবং উপকারি কোলেস্টেরল রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভিটামিন ডি-ও। তাই তো শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে এবং নানাবিধ হাড়ের রোগকে দূরে রাখতে নিয়মিত একটা বা দুটো করে ডিন খাওয়া উচিত।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

নিয়মিত রোদ পোয়ালে দেহের অন্দরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূর হতে শুরু করে। ফলে হাড় এত শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে যে চোট-আঘাত লাগার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে জয়েন্ট, ঘার এবং গোড়ালির কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

You probably know that the primary source of vitamin D is right outside your door and up in the sky. The sun helps synthesize vitamin D in the skin — promoting the growth of strong muscles and bones, lowering blood pressure, easing fibromyalgia pain, and slowing the progression of multiple sclerosis. But just as vitamin D can promote good health, a lack of it may lead to health issues.
X
Desktop Bottom Promotion