Just In
(ছবি) অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির ভারসাম্য বজায় রাখুন এই উপায়ে
অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে কর্টিসল ও অ্যাড্রিনালিন নাম হরমোন নিঃসৃত হয়। এই দুটি হরমোন প্রতিদিনের জীবনযাপনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কীভাবে স্ট্রেসকে আমরা সামলাব সেটা অনেকটাই ঠিক করে দেয় এই দুটি হরমোন। তবে যখন গ্রন্থিটি ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন সেই অবস্থাকে বলা হয় 'অ্যাড্রিনাল ফ্যাটিগ'। অর্থাৎ অতিরিক্ত কাজ করার ফলে এটি ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।
যখন আপনি কান্ত ও অবসাদগ্রস্ত থাকেন, তখন এই গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণ হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কখনও হঠাৎ করে কোনও বিপদের পরিস্থিতি তৈরি হলে সেটাও সামাল দেয় এই গ্রন্থি।
তাই এই গ্রন্থিকে ঠিক রাখা একান্ত প্রয়োজনীয়। নিচের স্লাইডে দেখে নিন কোন উপায়ে অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থির ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন আপনি।
ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকুন
স্ট্রেসের সমস্যা থাকলে ক্যাফেইন বা কফিজাত দ্রব্য খাওয়া একেবারে কমিয়ে দিন। কারণ কফিজাত খাবার অ্যাড্রিনালিন ও কর্টিসলের নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর বদলে গ্রিন টি বা লেবু জলের অভ্যাস করুন।
দানা শস্য খান
বাজারচলতি বা রাস্তার পাশের জাঙ্ক ফুড বা প্রসেসড ফুড অ্যাড্রিনালিনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এমন খাবার ক্লান্তিকেও ত্বরান্বিত করে। তাই নানা ধরনের পুষ্টিকর শস্য ও শাকসবজি নিজের ডায়েটে রাখুন।
বেছে খান
স্ট্রেস থাকা অবস্থায় আরও বেশি করে খেলে আরও বেশি করে স্ট্রেসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাচনতন্ত্র বেশি ব্যস্ত থাকলে বেশি ক্লান্ত মনে হয়। তাই বেশি নয়, বুঝে ও বেছে খান। এতে অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থির ভারসাম্য বজায় থাকবে।
রোগ সারানোর দাওয়াই
অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি ক্লান্ত হয়ে পড়লে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায়। এই অবস্থায় হলুদ, আদা, দারচিনি, লবঙ্গ, রসুনের মতো উপাদান শরীরকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে।
সময় মেনে খান
সময় মেনে খাওয়া ও কোনও সময়ের খাবার এড়িয়ে না যাওয়া ক্লান্তি কমাতে বিশেষ প্রয়োজন। কম করে বারে বারে খেলে অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থির ভারসাম্য বজায় থাকে।
প্রয়োজনীয় ভিটামিন
প্রয়োজনীয় ভিটামিন হিসাবে ভিটামিন বি ১২ স্ট্রেস কমাতে ও এনার্জি বাড়াতে বিশেষ প্রয়োজন। হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করা, রক্তের গুণমান ঠিক রাখা ও মস্তিষ্ককে সচল রাখতে এটি প্রয়োজন।
রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া
খাবার হজম করতে শরীরের বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। তাই খেয়েই রাতে ঘুমোতে চলে যাওয়া উচিত নয়। এতে খাবার ভালো হজম হয় না ও শরীরও বিশ্রাম নিতে পারে না। এমন করলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া অভ্যাস করুন।