Just In
- 2 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 5 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 5 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 22 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
খাবারে মিশে থাকা বিষের প্রভাবে আমাদের কী কী ক্ষতি হচ্ছে সে সম্পর্কে কোনও ধরণা আছে আপনাদের?
পরিমাণে বাড়াতে দুধে মেশানো হয় জল, স্টার্চ, সাবান, পাউডার প্রভৃতি ক্ষতিকর উপাদান, যা শরীরে দীর্ঘ সময় প্রবেশ করলে নানাবিধ ক্যান্সার এবং অ্যাকিউট রেনাল ফেলিয়রের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি
প্রতিদিন অমরা খাবারের নামে বিষ খেয়ে চলেছি। তাই তো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে একাধিক মারণ রোগের প্রকোপ। কিন্তু ভয়ের বিষয় কী জানেন, এই বিষয়ে আমাদের কোনও স্পষ্ট ধরণাই নেই। শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ মানুষই জানেন না কোন খাবারে কী বিষ মেশানো রয়েছে বা কীভাবে এই সব বিষাক্ত-ভেজাল খাবারকে এড়িয়ে চলা যায়। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। একদিকে মরছে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে একদল পুঁজিবাদী এইসব ভেজাল খাবার দেদার বিক্রি করে পকেট ভর্তি করছে।
এমন পরিস্থিতিতে শরীরকে বাঁচিয়ে রাখার কী কোনও উপায় নেই? আলবাত আছে! তবে সে সম্পর্তে জানতে যে চোখ রাখতে হবে বাকি প্রবন্ধে।
কোন
কোন
খাবারকে
ভেজাল
বলা
যেতে
পারে?
১.
কোনও
খাবারে
যদি
এমন
কিছু
উপাদান
মেশানো
থাকে,
যা
মানব
দেহে
খারাপ
প্রভাব
ফেলে,
তাহলে
সেই
নিদির্ষ্ট
খাবারটিকে
ভেজাল
খাবার
হিসেবে
গণ্য
করা
হয়ে
থাকে।
২.
কোনও
খাবারের
পুষ্টিকর
উপাদানকে
যদি
বের
করে
নিয়ে
তা
বিক্রি
করা
হয়,
তাহলে
সেই
খাবারকে
ভেজাল
খাবারের
তকমা
দিয়ে
থাকেন
বিশেষজ্ঞরা।
৩.
এমন
কোনও
রং
বা
সাবস্টেন্স
ব্যবহার
করা
হয়েছে
যা
শরীরে
পক্ষে
ক্ষতিকারক,
তাহলে
সেই
নিদির্ষ্ট
খাবারটিকে
ভেজাল
খাবারের
তালিকায়
অন্তর্ভুক্ত
করা
হয়ে
থাকে।
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ভেজাল খাবার থেকে কী ধরনের রোগ হতে পারে, সে সম্পর্কে।
১. দুধ:
পরিমাণে বাড়াতে দুধে মেশানো হয় জল, স্টার্চ, সাবান, পাউডার প্রভৃতি ক্ষতিকর উপাদান, যা শরীরে দীর্ঘ সময় প্রবেশ করলে নানাবিধ ক্যান্সার এবং অ্যাকিউট রেনাল ফেলিয়রের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
২. ডাল:
অনেক সময় ডালের হলুদ রঙকে আরও গাড় করতে অনেক সময়ই ডালের সঙ্গে মাত্রতিরিক্ত পরিমাণে হলুদ রং মেশানো হয়ে থাকে। একই কাজ করা হয় অনেক মিষ্টি এবং হলুদের গুঁড়োর সঙ্গেও। এই ধরনের রং মেশানো খাবার খেলে ক্যান্সার বা টিউমারের মতো রোগ দেখা দিতে পারে।
৩. ঘি:
এতে মেশানো হয় বনষ্পতি এবং কম দামি তেল। শুধু তাই নয়, এমনটাও মনে করা হয় যে বেশ কিছু ঘিতে হাড়ের গুঁড়োও মেশানো হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, ভেজাল ঘি বেশ তরল আকারের হয় এবং দেখতেও বিশুদ্ধ ঘির থেকে একবারে আলাদা গোছের হয়ে থাকে। তবু আমরা অনেকেই এই সব বিষয়গুলির দিকে নজর না দিয়ে অজান্তেই এমন বিষাক্ত-ভেজাল ঘি কিনে থাকি এবং খেয়ে থাকি। ভেজাল ঘি খেলে কিডনির রোগ, পেটের সমস্যা এবং ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৪. চিনি এবং নুন:
আপনাদের কি জানা আছে চিনি এবং নুনে প্রায়শই চকের গুঁড়ো এবং সাদা বালি মেশানো হয়ে থাকে। আর এমন ভেজাল চিনি এবং নুন দীর্ঘ দিন ধরে খেয়ে গেলে স্টমাকের কার্যকারিতা কমে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে একাধিক পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৫. চা:
খারাপ চা পাতাকে বিক্রি করার জন্য বেশিরভাগ সময়ই সেই পাতাগুলিকে রং করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, চা পাতার সঙ্গে অনেক সময় লোহাচুরও মেশানো হয়ে থাকে। ফলে এমন চা পাতা শরীর প্রবেশ করলে ধনুষ্টংকার রোগ, ক্যান্সার এবং লিভার ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৬. গুঁড়ো লঙ্কা:
এতে মেশানো হয় লাল ইঁট গুঁড়ো, বালি, ধুলো এবং ক্ষতিকর রং। এমন লঙ্কা গুঁড়ো শরীরের ককটা ক্ষতি করতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ভেজাল লঙ্কা গুঁড়ো শরীরে প্রবেশ করতে থাকলে এক সময়ে গিয়ে স্টমাক ডিজঅর্ডার, ক্যান্সার সহ একাধিক মারণ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।
৭. মিষ্টি:
এই একটা খাবারে মনে হয় সবথেকে বেশি পরিমাণে খারাপ উপাদান মেশানো হয়ে থাকে। বিভিন্ন রঙের মিষ্টি বানানোর সময় তাতে স্বাস্থ্যকর ফুড কালারের পরিবর্তে খরচ বাঁচাতে এমন কিছু কালার ব্যবহার করা হয়, যা কার্সিনোজেনিক। অর্থাৎ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায় এই ভেজাল রংগুলি।
৮. মধু:
ঘনত্ব বাড়াতে বিশুদ্ধ মধুতে মেশানো হয়ে থাকে গুড়, চিনি এবং কর্ন সিরাপ। এই উপাদানগুলি মিশে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন মধুর গুণাগুণ হ্রাস পায়। তেমনি ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া এবং নার্ভ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার মতো রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পায়। তাই সাবধন! এবার থেকে মধু কেনার আগে এরবার যাচাই করে নিতে ভুলবেন না যেন!
৯. কফি পাউডার:
পরিমাণে বাড়াতে এতে মেশানো হয়ে থাকে খেজুর বীজের গুঁড়ো, যা থেকে ডায়ারিয়ার মতো রোগ হতে পারে।
১০.ঝোলাগুড়:
শীতকালে গুড় হিসেবে আমরা যা খেয়ে থাকি তাতে কি মেশানো হয় জানেন? কাপড় কাচার সোডা এবং চকের গুঁড়ো। এই দুই উপাদান শরীরে নিয়মিত প্রবেশ করতে থাকলে বারং বার বমি এবং পেট খারাপের মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
এখন প্রশ্ন হল এমন এই সব ভেজাল খাবারের হাত থেকে বাঁচার উপায় কী?
১. উপরে অলোচিত খাবারগুলি কেনার আগে ভাল করে পরখ করে নেবেন। সেই সঙ্গে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখবেন অপ্রাকিৃতিক উপাদান মেশানো রয়েছে বা রং মেশানো কোনও খাবার যতটা পরাবেন এড়িয়ে চলবেন। বেশি করে খাবেন অর্গেনিক খাবার। তাহলেই দেখবেন শরীরের ক্ষতি কম হবে।
২. বিশ্বস্ত জয়গা থেকে খাবার কেনার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে একটু বেশি দাম দিতেও পিছনে হবেন না। কারণ শরীরের থেকে বেশি দামি আর কিছু আছে বলে তো মনে হয় না।
৩. প্রতিদিন যেসব খাবার, সবজি বা ফল কিনতে হয়, সেই সবে কেমন ধরনের ভেজাল উপাদান মেশানো হচ্ছে সে সম্পর্কে যতটা পরাবেন জানার চেষ্টা করুন। কারণ এক্ষেত্রে সচেতনতাই আপনার বাঁচার একমাত্র পথ হয়ে উঠতে পারে।