For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

সাবধান: রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে কিন্তু কমবে মনে রাখার ক্ষমতা!

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকলে শুধু হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে না, সেই সঙ্গে বাড়ে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও।

|

একেবারেই ঠিক শুনেছেন! সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকলে শুধু হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে না, সেই সঙ্গে বাড়ে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও। তাই কম বয়সিরা সাবধান!

অল্প বয়সিদের সাবধান হতে এই কারণে বলা হচ্ছে, কারণ আজকের ডেটে যুবসমাজের একটা বড় অংশই কর্পোরেট সেক্টারে কর্মরত। আর যেমনটা সবারই জানা আছে যে বেসরসারি সংস্থায় কাজের চাপ সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে। ফলে ঘুমের সময় কমে। সেই সঙ্গে ঠিক মতো খাবার না খাওয়ার কারণে উচ্চরক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত, সরকারি এবং বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত কয়েক দশকে নানা কারণে ৩০ বছর বয়সিদের মধ্যে হাই কোলেস্টেরলের মতো মারণ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে চোখে পরার মতো। আর যেমনটা জার্নাল ন্যাচারাল কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত গবেষণা পত্রটিতে দাবি করা হয়েছে, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করলে ব্রেনের অন্দরে টক্সিক বা বিষাক্ত উপাদানের পরিমাণ বাড়তে থাকে। যার প্রভাবে একের পর এক ব্রেন সেলের মৃত্যু ঘটে। ফলে অ্যালঝাইমার্স বা স্মৃতি লোপের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। এবার নিশ্চয় বুঝে গেছেন রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে কতটা ক্ষতি হতে পারে শরীর এবং মস্তিষ্কের!

এখন প্রশ্ন হল, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে যাদের শরীরে ইতিমধ্যেই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, তারা হার্ট এবং ব্রেনকে বাঁচাবেন কীভাবে? এক্ষেত্রে একটাই উপায় আছে। কী উপায়? এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি খাওয়া শুরু করতে হবে। এমনটা করলেই দেখবেন অল্প দিনেই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করছে।

প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে রোজের ডায়েটে যে যে খাবারগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, সেগুলি হল...

১. বাদাম:

১. বাদাম:

কোলেস্টেরল কমাতে আখরোট এবং কাজু বাদাম দারুন কাজে আসে। আসলে এই দুটি বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। আর একথা তো সকলেরই জানা হয়ে গেছে যে ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে ম্য়াজিকের মতো কাজ করে। তবে বেশি মাত্রায় বাদাম আবার খাবেন না যেন! তাতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। অল্প অল্প করে বাদাম খেলে দেখবেন নানা উপকার মিলবে।

২. মাছ:

২. মাছ:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত মাছ খাওয়া শুরু করলে শরীরে উপকারি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩.ওটস:

৩.ওটস:

খারাপ কোলস্টেরলের মাত্রা কমাতে ওটসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই খাবারটির অন্দরে থাকা ফাইবার একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, অন্যদিকে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে শরীরের কোনও ক্ষতি হওয়ার পরিবর্তে দেহের নানা উপকার হতে থাকে।

৪. ধনে বীজ:

৪. ধনে বীজ:

কোলেস্টেরল কমাতে এটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে এক গ্লাস জলে এক চামচ ধনে বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে জলটা একটু গরম করে নিতে হবে। তারপর পান করতে হবে। দিনে দুবার করে এই জল খেলে দেখবেন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করেছে।

৫. আমলা:

৫. আমলা:

এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ আমলা পাউডার মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে পান করা শুরু করুন। কয়েক সপ্তাহ এই ঘরোয়া টোটকাকে কাজে লাগালেই দেখবেন কোলেস্টেরল একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

৬. কমলা লেবুর রস:

৬. কমলা লেবুর রস:

এতে রেয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং ফ্লেবোনয়েড, যা বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তাই এই শীতে প্রতিদিন কম করে ২-৩ বার কমলা লেবুর রস খেতে ভুলবেন না যেন!

৭. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:

৭. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:

এক গ্লাস জলে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে একটি মিশ্রন বানিয়ে ফেলুন। দিনে দুবার এই পানীয়টি খেলে দেখবেন অল্প সময়ের মধ্য়েই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করবে।

৮. সয়াবিন:

৮. সয়াবিন:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ২৫ গ্রাম করে সয়া প্রোটিন শরীরে করলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রায় ৫-৬ শতাংশ হারে কমতে শুরু করে। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে এল ডি এল কোলেস্টেরলের মাত্রা যত কমে, তত হার্টের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

৯. বিনস:

৯. বিনস:

ফাইবার সমৃদ্ধ এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে যদি রোজের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। কারণ ফাইবার হল খারাপ কোলেস্টেরলের যম। তাই তো এই উপাদানটির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া মানে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ বা "এল ডি এল" কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে থাকা।

১০. মধু ও পেঁয়াজের রস:

১০. মধু ও পেঁয়াজের রস:

এক চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে একবার করে এই মিশ্রন খান। টানা কয়েক মাস খেলেই দেখবেন রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করেছে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

How high cholesterol may be responsible for the onset of Alzheimer's disease

a molecule normally linked with cardiovascular diseases -- may also play an important role in the onset and progression of Alzheimer's disease, researchers have found. The findings, published in the journal Nature Chemistry, suggests that in the brain, cholesterol acts as a catalyst which triggers the formation of the toxic clusters of the amyloid-beta protein, which is a central player in the development of Alzheimer's disease.
Story first published: Wednesday, May 9, 2018, 16:52 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion