For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

রুটি কি সত্যিই উপকারি? নাকি...!

নানাবিধ গবেষণা অনুসারে গমে যে যে পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে , তা সবই উপস্থিত থাকে রুটিতেও। তাই তো দিনে কম করে ২-৩ টে করে রুটি খেলেই শরীরের নানাবিধ উপকার হয়, যেমন ধরুন...

|

এই প্রশ্নটা শুনে রাজস্থানের বাসিন্দারা কিন্তু বেজায় ভয় পেয়ে যেতে পারেন! কারণে ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভের রিপোর্ট অনুসারে রাজস্থানই হল এমন একটি রাজ্য যেখানকার মানুষেরা শুধু রুটিই খান, ভাত তাদের না পাসান্দ। অন্যদিকে বাকি ভারতের ছবিটা একটু হলেও অন্যরকম।

কেন অন্যরকম? আসলে পরিসংখ্যান বলছে শহুরে মানুষেরা যেখানে মাসে কম-বেশি ৪.৫ কেজি ভাত খান, সেখানে প্রায় ৪ কেজি গম ব্যবহার করেন রুটি বানানোর জন্য। আর যদি গ্রামের কথা জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে বলতে হয় তারা মাসে যেখানে ৬ কেজি ভাত খান, সেখানে গম ব্যবহার করেন প্রায় ৪.৩ কেজি। অর্থাৎ এ কথা বলা যেতেই পারে যে ভাতের পাশাপাশি সারা ভারতেই রুটির জনপ্রিয়তাও কিছু কম নয়। তাই এই প্রশ্নটির উত্তর জানা জরুরি যে গম দিয়ে বানেনা রুটি সত্যিই কি শরীরের জন্য উপকারি, নাকি...

গম যে নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! কারণ গবেষণা বলছে এই কৃষিজাত উপদানটির অন্দরে উপস্থিত আয়রন, থিয়েমিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি৬ এবং আরও সব উপকারি উপাদান নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। কিন্তু সেই গম দিয়ে বানানো রুটিও কি সমান উপকারি? একেবারেই! নানাবিধ গবেষণা অনুসারে গমে যে যে পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে , তা সবই উপস্থিত থাকে রুটিতেও। তাই তো দিনে কম করে ২-৩ টে করে রুটি খেলেই শরীরের নানাবিধ উপকার হয়, যেমন ধরুন...

১. পেশীকে শক্তপোক্ত করে তোলে:

১. পেশীকে শক্তপোক্ত করে তোলে:

শরীরের অন্দরে থাকা পেশীদের শক্তি বৃদ্ধি পায় তখনই যখন প্রোটিনের চাহিদা মেটে। আর রুটিতে যে পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে, তা খুব সহজেই দেহের অন্দরে এই বিশেষ উপাদানটির ঘাটতি মেটায়, সেই সঙ্গে পেশির গঠনেও কাজে এসে যায়। তাই তো বলি বন্ধু শক্তপোক্ত শরীরের অধিকারী যদি হতে চান, তাহলে নিয়মিত ৩ টে করে রুটি খেতে ভুলবেন না যেন!

২. ভিটামিনের ঘাটতি দূর করে:

২. ভিটামিনের ঘাটতি দূর করে:

গম দিয়ে বানানো রুটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬, বি৯ এবং ভিটামিন ই, যা শরীরের অন্দরে এই সব ভিটামিনের চাহিদা মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই সবকটি ভিটামিনই যে নানাভাবে শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে...!

৩. কনস্টিপেশনের প্রকোপ দূর করে:

৩. কনস্টিপেশনের প্রকোপ দূর করে:

একাধিক কেস স্টাডি করে জানা গেছে নিয়মিত গমের রুটি খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা এত মাত্রায় বৃদ্ধি পায় যে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ সারতে একেবারে সময়ই লাগে না। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন যে গমের রুটি যতটা উপকারি, বাজরার রুটি কিন্তু অতটা উপকারি নয়, তাই এই ধরনের রুটি যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

৪. ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে:

৪. ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গমের রুটির অন্দরে থাকা ভিটামিন ই, ফাইবার এবং সেলেনিয়াম শরীরে ক্যান্সার সেলেদের জন্ম নিতে দেয় না। সেই সঙ্গে টিউমারের সম্ভাবনাও কমায়। ফলে এই মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, সরকারি পরিসংখ্যানের দিকে নজর ফেরালেই জানতে পারবেন গত কয়েক দশকে আমাদের দেশে ক্যান্সার রোগের প্রকোপ যে হারে বেড়েছে, তাতে এমন পরিস্থিতিতে রোজের ডায়েটে যে রুটি থাকা মাস্ট, সে বিষযে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই!

৫. শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে:

৫. শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে:

গমের রুটি খাওয়া অভ্যাস করলে শরীরের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আসলে গমের অন্দরে থাকা ফাইবার এবং অন্যান্য উপকারি উপদান শরীরে প্রবেশ করার পর পুষ্টির ঘাটতি তো দূর করেই, সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগ ভোগের আশঙ্কাও কমায়, বিশেষত পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে ফাইবারের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো বলি বন্ধু, পেটকে যদি ঠান্ডা রাখতে হয়, তাহলে রোজের ডেয়েটে রুটিকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন!

৬. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

৬. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

অফিসে সেই সকাল থেকে এত কাজের চাপ যে মাথা তুলতে পারেননি। ফলে এনার্জি লেভেল একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে? তাহলে তো বন্ধু লাঞ্চে রুটি খাওয়া মাস্ট! কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গম দিয়ে বানানো রুটির অন্দরে থাকা কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং প্রোটিন নিমেষ ক্লান্তি দূর করে এনার্জির ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. ওজন কমায়:

৭. ওজন কমায়:

অতিরিক্ত ওজনের কারণে যদি খুব চিন্তায় থাকেন, তাহলে আজ থেকেই রাত্রে ভাতের জায়গায় রুটি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ রুটি কেলে শরীরে ক্যালরির মাত্রা খুব একটা বাড়ে না। সেই সঙ্গে রুটি যেহেতু তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়, তাই মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমে। আর একথা তো সবারই জানা আছে যে কম খেলে ওজনও বাড়ে না, বরং কমে!

৮. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৮. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে গমের রুটিতে থাকা ফাইবার প্রায় সব ধরনের পেটের রোগের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিয়ে বদহজম এবং গ্যাস অম্বলের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই যদি জিজ্ঞাস করেন যে রাতে রুটি খাওয়া উচিত কিনা? তাহলে উত্তর হবে অবশ্যই উচিত! শুধু তাই নয়, বাঙালি মানেই সে খেতে ভালবাসে, তাই তো পেটের রোগ বাঙালির নিত্য দিনের সঙ্গী। এমন পরিস্থিতি প্রতিদিন রুটি খাওয়ার যে প্রয়োজন অনেক, সে বিষয়ে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই!

Read more about: শরীর রোগ
English summary

How Healthy Is Your ‘Roti’?

The Indian bread or Roti has been a staple in Indian diet since olden times. It also goes by the names of chapati and phulka. However, difference in names does not change its nutritious properties.
Story first published: Monday, October 8, 2018, 15:23 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion