Just In
- 4 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 6 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 6 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 24 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
আমার দেশ কি আদৌ স্বাস্থ্যকর?
গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে খালি পেটে কফির মতো পানীয় খেলে স্ট্রেস লেভেল বাড়তে শুরু করে।
হাতে তো আর ম্যাপ নিয়ে জন্মাইনি। তাই বিধাতার বিধান মেনে তিনি যেদেশে চেয়েছেন, সেদেশের অলিখিত পাসপোর্ট হাতে এসে পৌঁছেছি। এবার সেই দেশের জল-বায়ু যদি অস্বাস্থ্যকর হয়, তবে আমার কী করার আছে বলুন! একই অবস্থা নিশ্চয় আপনাদেরও? জানেন না নিশ্চয় অক্সিজেনের সঙ্গে শরীরে বিষ যাচ্ছে, না প্রাণ! তাই তো বলি ভারত আমার ভারতবর্ষের আবহাওয়া আদৌ স্বাস্থ্যকর কিনা সে বিষয়ে একটু জেনে নিন মশাই। না হলে কিন্তু... ঐ যে কথায় আছে না, "গোদের উপর বিষ ফোঁড়া!"
সম্প্রতি একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে, কে করেছে সে বিষয়ে না হয় একটু পরেই বলছি। কিন্তু রিপোর্টে যা বলা হয়েছে তা বেশ আশাপ্রদ। কী এমন লেখা আছে যে সক্কাল সক্কাল ৩২ পাটি একেবারে বেরিয়ে পেরেছে? বলা হয়েছে ভারতীয় উপমাহাদেশ হল সারা বিশ্বের মধ্যে সবথেকে স্বাস্থ্যকর জায়গা জীবনযাপনের জন্য। ক্লিনিক কম্পারের করা এই গবেষণায় বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট এবং ডেটা বিশ্লেষণ করে একটি চুরান্ত খসরা তৈরি করা হয়েছে, তাদে দেখা গেছে ১৭৯ দেশের মধ্যে ভারতে স্মোকার, ড্রিঙ্কার এবং মোটা মানুষের সংখ্যা নাকি বিশ্বের বাকি দেশগুলির তুলনায় অনেক কম। তাই কম্পাস ছাড়াই আমরা যে বেশ সুন্দর এক দেশে এসে জন্মেছি, তা নিশ্চয় আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে আরেকটি বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে, তা হল বেশ কিছু সমীক্ষা এও বলছে যে কোনও এক অজানা কারণে ভারতীয়রা নিজেরাই নিজেদের শরীরের ক্ষতি করে চলেছে। তাই তো গত এক দশেক কম বয়সীদের মধ্যে বেড়েছে হার্টের রোগের পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মতো রোগের প্রকোপ। তাই দেশ আমাদের স্বাস্থ্যকর হলেও আমাদের নিজেদের খেয়াল তো নিজেদেরকেই রাখতে, তাই না বন্ধুরা!
কয়েকটি কেস স্টাডির রিপোর্ট দেখে যা বোঝা যাচ্ছে, তা হল আমাদের কিছু বদ-অভ্যাস রয়েছে, যে কারণে ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদের শরীর। তাই এই কু-অভ্যাসগুলিকে যদি বদলে ফেলা যায়, তাহলে দেশের পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যও যে বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে।
তাহলে এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী অভ্যাস ক্ষতি করছে আমাদের।
১. সকাল সকাল খালি পেটে কফি পান চলবে না:
গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে খালি পেটে কফির মতো পানীয় খেলে স্ট্রেস লেভেল বাড়তে শুরু করে। ফলে মন-মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার যেমন সম্ভাবনা থাকে, তেমনি শরীরের উপরও খারাপ প্রভাব পরে।
২. খাবার খান মন দিয়ে:
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সময়ের অভাবে কোনও মতে নাকে-মুকে গুঁজে খাবার খেয়ে খেতেই অভ্যস্ত। জেনে রাখুন এমনটা করা কিন্তু একেবারেই উচিত নয়। বরং সময় নিয়ে ভাল করে চিবিয়ে খাবার খাওয়া উচিত। এমনটা না করলে একদিকে যেমন শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়, তেমনি পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। প্রসঙ্গত, শরীরকে সুস্থ রাখতে কত সময় ধরে খাবার খাচ্ছেন, তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি কী খাবার খাচ্ছেন সেদিকেও নজর রাখার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে রোজের ডায়েটে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে রাখতে হব, কম খেতে হবে জাঙ্ক ফুড এবং ভাজা জাতীয় খাবার। তাহলেই কেল্লাফতে!
৩. লিফ্টের পরিবর্তে ব্যবহার করুন সিঁড়ি:
শরীরকে সুস্থ রাখতে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কিন্তু নিয়মিত এক্সারসাইজ করার সময় কারও হাতে নেই। এমন পরিস্থিতিতে সিঁড়ি ব্যবহারের অভ্যাস থাকাটা জরুরি। আসলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামার সময় আমাদের শরীরের সচলতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি মস্তিষ্কের অন্দরে এন্ডোরফিন নামক এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোনটি শরীর এবং মনকে চনমনে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪. হাসতে ভুলবেন না যেন:
গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে হাসির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে হাসার সময় আমাদের শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হয়, যার প্রভাবে স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইমিউনিটি যেমন বাড়ে, তেমনি ব্লাড প্রেসারও কমে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৫. অল্প বিস্তর স্ট্রেচিং করা জরুরি:
নিয়মিত সাধারণ কিছু স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করলে কাঁধ, ঘাড় এবং পিঠের পেশির কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে জয়েন্টের সচলতাও যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি ব্রেন পাওয়ারও বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ-সুন্দর জীবনের পথ প্রশস্ত হয়।