Just In
Coronavirus : কেবল ফুসফুসই নয়, কোভিডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মস্তিষ্ক! জানুন এর থেকে বাঁচার উপায়
কোভিডের উপসর্গ হিসেবে শ্বাসকষ্টকে ধরে নেওয়া হয়েছিল প্রথম দিকে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল হার্ট ও ফুসফুস। কিন্তু বর্তমানে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর কেবল ফুসফুস কিংবা হৃদযন্ত্র নয়, মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রেও এর প্রভাব পড়ছে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যা আপনার মস্তিষ্কের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত সাত জনের মধ্যে এক জনের স্নায়বিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। যদিও ভাইরাস সরাসরি মস্তিষ্কের কোষ বা স্নায়ুকে আক্রমণ করে না, তবে গুরুতর ক্ষেত্রে স্ট্রোক এবং খিঁচুনির মতো সমস্যা হতে পারে।
কোভিড কীভাবে আমাদের মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে?
সাধারণত ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কয়েকদিন পর থেকে মস্তিষ্ক-সংক্রান্ত জটিলতার লক্ষণগুলি লক্ষ্য করা যায়। তবে মস্তিষ্ক সংক্রান্ত সমস্যার তীব্রতা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন। অনেকের মধ্যে স্মৃতিশক্তি হ্রাস, মনোযোগের দুর্বলতা বা ক্লান্তির মতো হালকা লক্ষণগুলি দেখা যায়, তবে যাদের অক্সিজেনের সমস্যা থাকে তাদের আরও বেশি অসুবিধা হতে পারে। এই লক্ষণগুলি হতে পারে -
বিভ্রান্তি
মাথাব্যথা
বিষণ্ণতা
ফোকাসে অক্ষমতা
খিঁচুনি
স্ট্রোক
গন্ধ এবং স্বাদ হ্রাস
আচরণে পরিবর্তন
চেতনা হ্রাস, ইত্যাদি।
এছাড়াও অন্যান্য আরও অনেক সমস্যা রয়েছে, যা কোভিডের পরবর্তী সময়ে রোগীদের মধ্যে দেখা গিয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, সংক্রামক রোগের সাথে সম্পর্কিত নির্দিষ্ট চিকিৎসা, কিছু ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের বাইরের স্তরে গ্রে ম্যাটারের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে।
কোভিড সংক্রমণ কেন ব্রেন ফাংশনকে প্রভাবিত করে?
কোভিড-১৯ কেন আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলিকে প্রভাবিত করে, তার সঠিক কারণ এখনও বিশেষজ্ঞরা খুঁজে বের করতে পারেননি, তবে এই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি তত্ত্ব রয়েছে, যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করা হয়।
গুরুতর সংক্রমণ : গবেষকদের মতে, গুরুতর ক্ষেত্রে ভাইরাস কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে (মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ড) প্রবেশ করতে পারে এবং সংক্রমণের কারণ হতে পারে। গবেষণার সময়, তাঁরা মেরুদণ্ডের তরলে ভাইরাসের জিনগত উপাদান খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছে।
ওভারঅ্যাক্টিভ ইমিউন সিস্টেম : আরেকটি কারণ হতে পারে, কোভিড-১৯ এর কারণে অতিমাত্রায় প্রতিরোধ ক্ষমতা। শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করলে প্রদাহ হতে পারে যা টিস্যু এবং অঙ্গগুলির ক্ষতি করতে পারে।
শারীরিক পরিবর্তন : আরেকটি তত্ত্ব হল, কোভিডের কারণে শারীরিক পরিবর্তন যেমন খুব জ্বর, অক্সিজেনের মাত্রা কম বা অর্গ্যান ফেলিওর, ব্রেন কমপ্লিকেশনের ঝুঁকি বাড়ায়। সময়ের সাথে সাথে এটি আরও খারাপ দিকে যেতে পারে।
তাই কোভিড-পরবর্তী সময়ে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মস্তিষ্কের যত্ন নেওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটি উপায়ে আপনি স্নায়বিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পারেন। তাহলে দেখে নিন, ব্রেন হেল্থ ঠিক রাখতে যে পাঁচটি কাজ আপনি করতে পারেন -
ব্রেন-চ্যালেঞ্জিং ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত হন
শারীরিক পেশী শক্তিশালী করার জন্য, সাধারণত আমরা বিভিন্ন এক্সারসাইড এবং কার্ডিও করে থাকি। একইভাবে, মস্তিষ্কের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে, কিছু মস্তিষ্ক-উদ্দীপক ক্রিয়াকলাপে ব্যস্ত থাকুন। গবেষণায় দেখা গেছে যে, মেন্টালি চ্যালেঞ্জিং ক্রিয়াকলাপে নিজেকে ব্যস্ত রাখা আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলিকে নতুন করে গড়ে তুলতে পারে এবং কনসেনট্রেশন লেভেল উন্নত করতে পারে।
ব্রেন-হেলদি খাবার খান
এমন কিছু খাবার আছে, যা আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে পারে। সবুজ শাকসবজি, ফ্যাটি ফিশ, বেরি জাতীয় খাবার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে মস্তিষ্কের রক্তনালী ঠিক রাখে এবং সেরিব্রোভাসকুলার রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
মেডিটেশন করুন
ধ্যানের অভ্যাস, মনকে শান্ত করা এবং একাগ্রতা বাড়ানোর অন্যতম সেরা উপায়। ধ্যান মানসিক চাপ কমায় এবং শারীরিকভাবেও সুস্থ রাখে। এটি রক্তচাপ কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
রাতে শান্তিতে ঘুমান
ঘুম এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য একে অপরের সাথে সরাসরি সংযুক্ত। তাই রাতে শান্তিতে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। সময়মতো ঘুমাতে যান এবং সময়মতো ঘুম থেকে উঠুন। এমনকি সপ্তাহান্তেও এই রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের নিত্যদিনের ভাবনা-চিন্তা, স্মৃতি এবং মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে।
Disclaimer
:
এই
আর্টিকেলটি
সাধারণ
তথ্যের
উপর
ভিত্তি
করে
লেখা।
এর
দায়ভার
বোল্ডস্কাই
বাংলা
এবং
এর
কর্মচারীরা
নেবে
না।