For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

বাথরুম গান গাইলে কি হতে পারে জানেন?

গান গাওয়ার সময় শরীরের অন্দরে "ইমিউনোগ্লোবিউলিন-এ" নামক একটি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যে কারণে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

By Nayan
|

কম বেশি সকলেই আমরা বাথরুম সিঙ্গার, কি তাই তো? কিন্তু এমন অভ্যাস আদৌ স্বাস্থ্যকর, সে বিষয়ে জেনে নেওয়াটা জরুরি। কারণ গান গাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও সময় আছে কিনা, সে নিয়ে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বিখ্যাত আমেরিকান সিঙ্গার রেবা ম্যাকেনটায়ার একবার কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "মন খারাপ থাকলেই আমি গান গাই, নিজের মনে মনেই গাই। কারণ এমনটা করলে আমার দুখি হৃদয় আলোর সন্ধান পায়। ফলে দুঃখ কখন সুখে বদলে যায়, তা বুঝে উঠতেই পারি না।" রেবার বক্তব্য যে কতটা ঠিক, তা একাধিক গবেষণাতেও প্রমাণিত হয়ে গেছে। এই বিষয়ক পরীক্ষা চালাকালীন দেখা গেছে মনে মনে গান গাইতে থাকলেও শরীরের অন্দরে শক্তি বাড়তে থাকে, সেই সঙ্গে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়। যেমন...

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

ইউনিভার্সিটি অব ফ্রাঙ্কফুর্টের গবষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে গান গাওয়ার সময়, তা জোরে হোক কী আস্তে, শরীরের অন্দরে "ইমিউনোগ্লোবিউলিন-এ" নামক একটি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যে কারণে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

২. গান গাওয়া এক ধরনের শরীরচর্চা:

২. গান গাওয়া এক ধরনের শরীরচর্চা:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত গান করলে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে ভোকাল কর্ডের শক্তি বাড়ে। প্রসঙ্গত, বতর্মান সময়ে আমাদের দেশে প্রতিটি মেট্রোপলিটন শহরে যে হারে বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়ছে,, তাতে আরও বেশি করে ফুসফুসের খেয়াল রাখার প্রয়োজন বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাথরুম সিঙ্গারদের যে পোয়া বারো, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

৩. অনিদ্রা দূর করে:

৩. অনিদ্রা দূর করে:

স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে রাতে ঘুম আসছে না? তাহলে তো মশাই প্রতিদিন শোয়ার আগে পছন্দের যে কোন একটা গান গাইতেই হবে! এমনটা করলে থ্রোট মাসালের কর্মক্ষমতা বাড়বে। সেই সঙ্গে প্যালেট মাসালের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই নাক ডাকা কমতে শুরু করবে, সেই সঙ্গে অনিদ্রার প্রকোপও যে হ্রাস পাবে, সে কথা হলফ করে বলা যেতে পারে।

৪. স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কমায়:

৪. স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কমায়:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গান গাওয়ার সময় মস্তিষ্কের অন্দরে এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে মানসিক চাপ তো কমেই, সেই সঙ্গে মন খুশিতে ভরে ওটে। তাই এবার থেকে যখনই মন কারাপ করবে, তখনই দু কোলি গান গেয়ে নেবেন, দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে উপকার মিলবে।

৫. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

৫. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

গান গাওয়ার সময় ব্রেনে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিভাবেই মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে, সেই সঙ্গে বুদ্ধির বিকাশ ঘটতেও সময় লাগে না।

৬. একাকিত্ব দূর করে:

৬. একাকিত্ব দূর করে:

গান গাইতে জানলে পাড়ার সংস্কৃতিক অনুষ্টানে গানের সুযোগ এসেই যায়। ফলে লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা বাড়তে থাকে। বাড়ে বন্ধুর সংখ্যাও। ফলে স্বাভাবিকভাবেই একাকিত্ব দূর হয়। প্রসঙ্গত, আপনি যদি বেসুরো বাথরুম সিঙ্গারও হন, তাতেও কোনও ক্ষতি নেই। দেখলেন তো গান গাইলে কত উফপকার পাওয়া যায়। তাই ভুলেও গান গাওয়া বন্ধ করবেন না যেন! প্রয়োজন শুধু বাথরুমে নয়, কাজের ফাঁকে অফিসেও মাঝে মাঝে একটু গান গেয়ে নেবেন। দেখবেন শরীর এবং মন একেবারে চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

কম বেশি সকলেই আমরা বাথরুম সিঙ্গার, কি তাই তো? কিন্তু এমন অভ্যাস আদৌ স্বাস্থ্যকর, সে বিষয়ে জেনে নেওয়াটা জরুরি। কারণ গান গাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও সময় আছে কিনা, সে নিয়ে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

According to research conducted at the University of Frankfurt, singing boosts the immune system. The study included testing profesional choir members’ blood before and after an hour-long rehearsal singing Mozart’s “Requiem”. The researchers noticed that in most cases, the amount of proteins in the immune system that function as antibodies, known as Immunoglobulin A, were significantly higher immediately after the rehearsal. The same increases were not observed after the choir members passively listened to music.
Story first published: Monday, October 9, 2017, 12:03 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion