Just In
- 3 hrs ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 19 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 20 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 23 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
কেবল স্বাদে অসামান্য নয়, স্বাস্থ্যেরও নানান উপকার করে গুড়, জেনে নিন এর উপকারিতা
ভারতীয় খাদ্যতালিকায় একটি অন্যতম খাবার হল গুড়। নলেন গুড়, আখের গুড়, পাটালি, ভেলি গুড়, প্রত্যেকটিই তার নিজস্ব স্বাদ ও গন্ধের জন্য জনপ্রিয়। গুড় যে শুধু সুস্বাদু তা-ই নয়, বরং এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে নানান স্বাস্থ্যকর উপাদান।
প্রক্রিয়াজাত চিনির পরিবর্তে মিষ্টি হিসেবে গুড়ের ব্যবহার, সবচেয়ে ভাল স্বাস্থ্যকর বিকল্প। গুড় হল আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এবং এনার্জির দুর্দান্ত উৎস। তাহলে দেখে নিন, গুড় খাওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের কী কী উপকার হয়।
১) শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে গুড় অত্যন্ত কার্যকরী। বিশেষ করে হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা প্রতিরোধ করতে, ডায়েটে গুড় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তবে তিলের সাথে গুড় খাওয়া অত্যন্ত উপকারি হতে পারে। তিল এবং গুড়ের সমন্বয় রেসপিরেটরি সমস্যার চিকিৎসার ক্ষেত্রে আদর্শ হতে পারে।
২) ওজন কমাতে সহায়তা করে
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অন্যতম উপায় হল, গুড়ের পরিমিত সেবন। গুড় পটাসিয়ামের একটি ভাল উৎস, যা ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যতা বজায় রাখে, মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এবং পেশী গঠনে সহায়তা করে। পটাশিয়াম শরীরে জল ধারণের ক্ষমতা কমাতেও সহায়তা করে, এটি ওজন হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
গুড়ে পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের উপস্থিতি, শরীরে অ্যাসিডের ভারসাম্যতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। যার ফলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তাই যদি আপনি হাই বা লো ব্লাড প্রেসারে ভুগছেন, তবে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় গুড় অন্তর্ভুক্ত করুন।
৪) এনার্জির দারুণ উৎস
গুড় ধীরে ধীরে শরীরে এনার্জির সরবরাহ করে, যা দীর্ঘ সময়ের জন্য শরীরের স্থায়ী থাকে। গুড় রক্তে শর্করার মাত্রা এক ধাক্কায় বৃদ্ধি করে না বরং ধীরে ধীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া গুড় ক্লান্তি প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে।
৫) ঋতুস্রাবের ব্যথা উপশম করে
ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হল গুড়। যারা মাসিকের আগে মেজাজ পরিবর্তন কিংবা হতাশায় ভোগেন, তাদের সামান্য পরিমাণে গুড়ের সেবন করা উচিত, কারণ এটি এন্ডোরফিন নিঃসরণ করতে সহায়তা করে যা শরীরকে রিল্যাক্স করে।
৬) রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে
গুড় আয়রন এবং ফোলেট সমৃদ্ধ। ফলে গুড়ের সেবন রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তাই চিকিৎসকেরা প্রায়শই কিশোর-কিশোরী এবং গর্ভবতী মহিলাদের গুড় খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৭) শরীরকে পরিশুদ্ধ করে
গুড় শরীরের জন্য অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। তাই খাবার পর গুড় খেলে, এটি অন্ত্র, পেট, খাদ্যনালী, ফুসফুস এবং রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট থেকে সব ধরনের অবাঞ্ছিত কণা অপসারণ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও, গুড়ের প্রাকৃতিক মিষ্টতা শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে। যার ফলে লিভার ডিটক্সিফাই হয়।
৮) জয়েন্টের ব্যথা কমায়
আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টের ব্যথা উপশমের ক্ষেত্রেও গুড় অত্যন্ত কার্যকরী। গুড় খাওয়ার ফলে ব্যথা থেকে স্বস্তি মেলে। তবে আরও ভাল ফল পেতে, আদার সাথে গুড় খেতে পারেন।
৯) সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করে
সর্দি-কাশি ও ফ্লু-এর নিরাময়ে গুড় অত্যন্ত সহায়ক। এটি শরীরে তাপ উৎপাদন করে, যা ঠান্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। আরও ভাল ফল পেতে, গরম দুধ কিংবা চায়ের সাথে গুড় মিশিয়ে পান করুন।