Just In
- 1 hr ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 4 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 6 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 6 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
প্রতিদিন সামদ্রিক মাছ না খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে জানা আছে?
মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি। এই সবকটি উপাদানই একাদিক জটিল রোগকে দূরে রাখে।
"বাঙালি আবার মাছ খাবে না এমনটা হতে পারে নাকি।" এমন পরিস্থিত আর নেই কিন্তু! যত দিন যাচ্ছে, তত এই ধরণাটা বদলে যাচ্ছে! নতুন প্রজন্মের বাঙালিরা এখন মাছ দেখলেই দূরে পালায়। মাঝে মধ্যে খায় তো পমফ্রেট অথবা চিংড়ি। তাই তো এত রোগের প্রকোপ বাড়ছে বাঙালি সমাজে। কিন্তু রোগের সঙ্গে মাছের কী সম্পর্ক? আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন যে যে উপাদানগুলির প্রয়োজন হয়, তার বেশিরভাগটাই আসে মাছ থেকে। তাই তো মাছ না খেলে শরীরে একাধিক প্রয়োজনীয় উপদানের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে একে একে নানা জটিল রোগ এসে বাসা বাঁধে শরীরে।
মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি। এই সবকটি উপাদানই একাদিক জটিল রোগকে দূরে রাখে। সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে শরীরের গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি হওয়া একেবারেই ভাল না।
কী
এই
ওমেগা
থ্রি
ফ্যাটি
অ্যাসিড:
সামদ্রিক
মাছ
এবং
বিশেষ
কিছু
সবজিতে
এই
উপাদানটি
পাওয়া
যায়।
সাধারণত
ওমেগা
থ্রি
ফ্যাটি
অ্যাসিড
দু
ধরনের
হয়,
ই
পি
এ
(ইকোস্পেনটোনিক
অ্যাসিড)
এবং
ডি
এইচ
এ
(ডোকোসেহেস্কেনিক
অ্যাসিড)।
"ই
পি
এ"
ফ্যাটি
অ্যাসিড
মূলত
সামদ্রিক
মাছে
পাওয়া
যায়।
এটি
রক্ত
জমাট
বাঁধতে
দেয়
না।
সেই
সঙ্গে
প্রদাহ
বা
জ্বালা
যন্ত্রণাও
কমায়।
অপরদিকে,
"ডি
এইচ
এ"
ফ্যাটি
অ্যাসিড
দৃষ্টিশক্তি
ভাল
করার
পাশপাশি
ব্রেন
পাওয়ার
বাড়াতেও
গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা
পালন
করে
থাকে।
প্রসঙ্গত,
ব্রেস্ট
মিল্কে
প্রচুর
মাত্রায়
এই
ফ্যাটি
অ্যাসিডটি
থাকে।
সামদ্রিক
মাছ
কী
কী
রোগকে
দূরে
রাখে?
এতে
উপস্থিত
ওমাগা
থ্রি
ফ্যাটি
অ্যাসিড
এবং
অন্যান্য
উপাদান
একাধিক
রোগের
প্রকোপ
কমাতে
গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা
পালন
করে
থাকে।
যেমন-
১. মাল্টিপেল স্কেলেরোসিস:
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে এই রোগের প্রকোপ কমাতে সামদ্রিক মাছে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দারুন কাজে আসে। প্রসঙ্গত, স্কেলেরোসিস হল এক ধরনের নার্ভের রোগ। এতে ব্রেন এবং স্পাইনাল কর্ডের নার্ভের ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এক্ষেত্রে হাত-পায়ে অসারতা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, মারাত্মক ক্লান্তি এবং পেশির কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো লক্ষণের বিহঃপ্রকাশ ঘটে।
২. প্রস্টেট ক্যান্সার:
লো ফ্যাট ডায়েট অনুসরণ করার পাশপাশি প্রতিদিন যদি সামদ্রিক মাছ খাওয়া যায়, তাহলে প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুলাংশে হ্রাস পায়।
৩. প্রেগন্যান্সির সময়কার মানসিক অবসাদ কমায়:
গর্ভাবস্থায় বেশি করে সামদ্রিক মাছ খেলে এই সময় মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে। ইউনিভার্সিটি অব কনেকটিকাট স্কুল অব নার্সিং-এর প্রবাদ প্রতিম চিকিৎসক ডাঃ মিচেল প্রাইস এ প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে একবার বলেছিলেন, "ভাবী মায়েদের শরীরে ডি এইচ এ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা যত বৃদ্ধি পাবে, তত মানিসক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে।"
৪. ব্রেনের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:
২০০৭ সালে হওয়া এক পাইলট স্টাডি অনুসারে ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, এই উপাদানটি মনোযোগ এবং বুদ্ধি বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে:
প্রতিদিন সামগ্রিক মাছ খেলে শরীকে ডিএইচ এ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা স্মৃতি শক্তির উন্নতিতে দারুন কাজে দেয়। প্রসঙ্গত, যাদের পরিবারে অ্যালঝাইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের বেশি করে সামদ্রিক মাছ খাওয়া উচিত।
৬. হার্ট ভাল থাকে:
আমেরিকান জার্নাল অব সাইকোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে টানা ১ মাস সামদ্রিক মাছ খেলে হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস বা মানসিক চাপের কারণে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে। তাই আপনি যদি চান, আপনার হার্ট বহু দিন সুস্থ এবং সুন্দর ভাবে কাজ করুক, তাহলে আজ থেকেই মাছ খাওয়া শুরু করুন।
৭. অ্যালঝাইমার রোগের হাত থেকে রক্ষা করে:
২০১০ সালে হওয়া এক স্টাডিতে একথা প্রমাণিত হয়েছে যে প্রতিদিন সামদ্রিক মাছ খেলে অ্যালজাইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগ হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।
৮. দৃষ্টিশক্তি আরও ভাল করে:
একথা তো আমরা সবই ছোট থেকে শুনে আসছি যে, যত মাছ খাবে, তত দৃষ্টিশক্তি ভাল হবে। এই ধরণাটি কিন্তু একেবারে ঠিক। আসলে মাছের শরীরে উপস্থিত ওমাগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বাস্তবিকই দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।