Just In
Don't Miss
মেয়েরা সাবধান!
গবেষণা যা বলছে তা যদি সত্যি হয়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! তাই নিরাপদে, সুস্থভাবে বাঁচতে মেয়েদের একবার এই প্রবন্ধে চোখ রাখতেই হবে। না হলে কিন্তু...!
গবেষণা যা বলছে তা যদি সত্যি হয়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! তাই নিরাপদে, সুস্থভাবে বাঁচতে মেয়েদের একবার এই প্রবন্ধে চোখ রাখতেই হবে। না হলে কিন্তু...!
২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৭,৭০০ জনের উপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে নানা কারণে মেয়েদের মধ্যে হঠাৎ মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই তো তাদের নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু হাঁটার সঙ্গে সুস্থ জীবনের কি সম্পর্ক? এই গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ৩০ মিনিট হালকা চালে হাঁটতে পারলে সময়ের আগে হঠাৎ করে মারা যাওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকারিতাও। যেমন...
১. হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা কমে:
হাওয়ার্ড মেডিকেল স্কুলের করা এক গবেষণা অনুসারে সপ্তাহে মাত্র আড়াই ঘন্টা হাঁটলে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়। কমে স্ট্রোকেরও সম্ভাবনাও। আসলে হাঁটার সময় সারা শরীরে রক্তের প্রবাহের এতটাই উন্নতি ঘটে যে স্বাভাবিকবাবেই হার্ট চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কেও রক্তের সরবরাহে উন্নতি ঘটে। ফলে স্ট্রোকের আশঙ্কাও কমে।
২. ওজন কমে:
২০১৪ সালে হওয়া একটি গবেষণা অনুসারে মেয়েরা যদি প্রতিদিন ব্রিস্ক ওয়াকিং বা হলকা চালে হাঁটাহাঁটি করেন, তাহলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রায় ৫ শাতংশ কমে যায়। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে একাধিক মারণ রোগের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই ওজন একবার যদি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, তাহলে আয়ু যে স্বাভাবিক ভাবেই বৃদ্ধি পায়, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:
পরিবারে কি ব্লাড প্রেসার রোগের লম্বা ইতিহাস রয়েছে? তাহলে যে বন্ধু প্রতিদিন কম করে ১০-২০ মিনিট হাঁটতেই হবে। কারণ একাধিক গবেষণা বলছে হাঁটাহাটির অভ্যাস করলে রক্তের প্রবাহে উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ধমনীর দেওয়ালে চাপ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কমে ব্লাড প্রেসারও।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে:
আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে নিয়মিত ১০-৩০ মিনিট পর্যন্ত হাঁটার অভ্যাস করলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়ে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ২৪০০ স্টেপস থেকে শুরু করে যদি ৬৪০০ স্টেপস নিতে পারেন, তাহলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস ধারে কাছে আসার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।
৫. ক্যান্সার রোগ দূরে থাকে:
গত ১০ বছরে আমাদের দেশের প্রতিটি কোণায় যে হারে ক্যান্সার রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে হাঁটার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে কয়েক গুণ। কারণ ২০১২ সালে হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির ওমেনস হেল্থ স্টাডিতে দেখা গেছে সপ্তাহে ১-৩ ঘন্টা হাঁটার অভ্যাস করলে ব্রেস্ট এবং ইউটেরাইন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা চোখে পরার মতো কমে। তাই এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে যদি সুস্থভাবে বাঁচতে চান, তাহলে নিয়মিত কয়েক মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।
৬. ব্রেন পাওয়ার বাড়ে:
২০১১ সালে ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ৩০-৪০ মিনিট হাঁটলে ব্রেনের হিপোকম্পাস অংশটির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মস্তিষ্কের এই অংশটি আমাদের স্মৃতিশক্তির ভান্ডার। তাই তো হিপোকম্পাসের কর্মক্ষমতা বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই মেমরি পাওয়ার বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে বুদ্ধির ধারও বাড়তে শুরু করে।
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:
সুস্থ ভাবে দীর্ঘদিন বাঁচতে চান কি? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে নিয়মিত ৩০-৪০ মিনিট হাঁটা শুরু করুন। দেখবেন হাতেনাতে উপকার মিলবে। কারণ প্রতিদিন হাঁটলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমটা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে নানাবিধ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও প্রায় ৪৫ শতাংশ হ্রাস পায়।