Just In
- 16 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 18 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 21 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 23 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
ইউরিক অ্যাসিডের বাড়াবাড়িতে গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা? আজই বর্জন করুন এই ৭ খাবার!
আজকাল আমরা সকলেই ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার সমস্যার সঙ্গে পরিচিত। অত্যধিক প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। ইউরিক অ্যাসিড হল রক্তে পাওয়া এক প্রকার রাসায়নিক যা আমাদের দেহে যকৃতে উৎপন্ন হয় এবং পিউরিনযুক্ত খাবার হজমের সময়ও তৈরি হয়। পিউরিন সমৃদ্ধ খাদ্য ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আর, শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লেই গাঁটের ব্যথা অনিবার্য। মূলত হাড় ও কিডনির উপরেই ইউরিক অ্যাসিড বেশি প্রভাব ফেলে।
তবে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে একটু পরিবর্তন আনলেই এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, তার জন্য দৈনিক খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে কয়েকটি খাবার। দেখে নিন সেগুলি কী কী -
মিষ্টি পানীয়
মিষ্টি পানীয় বা কোল্ড ড্রিঙ্কসে হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ থাকে। আর, অত্যধিক ফ্রুক্টোজ বা হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ গ্রহণে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে। তাই, সব ধরনের মিষ্টি জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকুন।
বেশিরভাগ ফলে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ থাকে, তবে সেগুলি পরিমিত পরিমাণে খেলে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয়। এছাড়া, কৌটো বন্দি জেলি, জ্যাম, সিরাপ, ফ্রুট জ্যুস খাওয়া চলবে না। স্মোকড ও ক্যানড ফুড খাওয়া বন্ধ করুন। আচার, চানাচুর খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
মদ্যপান
মদ্যপান ও কার্বোনেটেড কোলা জাতীয় ঠাণ্ডা পানীয় খেলেও ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে। অ্যালকোহল হল পিউরিন সমৃদ্ধ। ঘন ঘন অ্যালকোহল পানে ইউরিক অ্যাসিড মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পায়। তাই, যতটা সম্ভব কম পান করার চেষ্টা করুন।
সি ফুড এবং মাংস
যাঁরা প্রত্যেক দিন প্রচুর পরিমাণে মাছ-মাংস খান, তাঁদের ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাবার ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে, রেড মিট, অর্গ্যান মিট এবং সামুদ্রিক খাবার যেমন - সার্ডিন, অ্যাঙ্কোভিস, ম্যাকেরেল-এ পিউরিন অনেক বেশি থাকে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলাই ভাল। মাছের মুড়ো, চিকেন বা মটনের মেটে বাদ দিন ডায়েট থেকে।
শাকসবজি
অ্যাসপারাগাস, পালং শাক, পুঁই শাক, ফুলকপি, মাশরুম, কড়াইশুঁটি - এই সব শাকসবজিতে মাংসের মতো পিউরিনের পরিমাণ না থাকলেও, ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে এমন পরিমাণ পিউরিনের থাকেই। তাই এগুলো কম খাওয়াই ভাল। বিনস, বরবটি, রাজমা খেলেও ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। এছাড়া, স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। উচ্চ ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খাবেন না।
সবেদা
শরীরে যদি ইউরিক অ্যাসিড বাসা বেঁধে থাকে, তা হলে সবেদা বেশি না খাওয়াই ভাল। কারণ সবেদায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুকটোজ। আর, ফ্রুকটোজ ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দিতে পারে।
ডাল
প্রোটিন সমৃদ্ধ ডাল খুবই স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং শরীরে প্রচুর এনার্জি উৎপন্ন করে। কিন্তু যাদের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা অনেক বেশি, তাদের ডাল না খাওয়াই ভাল। বেশি ডাল খেলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে। বিশেষ করে, মুসুর ডাল, বিউলি ডাল একেবারেই খাবেন না।
ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেলে মূত্রনালীতে ইউরিক অ্যাসিড জমে স্টোন তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। ওজন স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিন ব্যায়াম ও হাঁটাচলা করুন।