Just In
- 1 hr ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 3 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 3 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 18 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
ক্যান্সারের থাবা থেকে বাঁচতে চান তো?
মৌসাম্বি লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ভিটামিনটি ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ভয় লাগছে খুব! মনে হচ্ছে অজান্তেই মৃত্যুফাঁদ যেন ঘিরে ধরছে আমাকে। সিগারেট খাই না। মদ থেকে শত হস্ত দূরে থাকি, তবু কি বাঁচতো পারবো, জানি না!
এমন প্রশ্ন মাথায় আসাটা কি খুব অবাস্তব? মনে তো হয় না! অন্তত পরিসংখ্যান যা বলছে তাতে পরিস্থিতি বাস্তবিকই হাতের বাইরে চলে যেতে বসেছে। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে সারা দেশব্যাপী ডেটা সংগ্রহ করে চিকিৎসকেরা জানতে পয়েছেন এখনও যারা ৩০-৪০ বছর বাঁচবেন, তাদের মধ্যে ৩৯.৬ শতাংশ তাদের জীবনের কোনও না কোনও সময় ক্যান্সার রোগের মুখোমুখি হবেনই। তাই সময় যত এগবে, তত বাড়বে এই মারণ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত এদেশে প্রতি বছর ৭ লাখ মানুষ নতুন করে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। যেখানে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যাটা বহু দিন আগেই ১৫ লাখের গণ্ডি পেরিয়েছে। এখানে কিন্তু শেষ নয়, প্রতি বছর কত সংখ্যক মানুষ ক্যান্সার রোগের কষ্ট সহ্য করতে করতে মারা যাচ্ছেন, জানেন? সরকারি হিসেব অনুসারে প্রায় ৬ লাখ।
ন্যাশনাল ক্যান্সার রেজিস্ট্রির হিসেব অনুসারে ভারতীয়দের মধ্যে বেশিরভাগই ব্রেস্ট এবং সার্ভিকাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। অন্যদিকে আই সি এম আর-এর রিপোর্ট অনুসারে এদেশে ব্রেস্ট এবং সার্ভিকাল ক্যান্সারের পরেই স্থান লাং ক্য়ান্সারের। এমন পরিস্থিতিতে বাঁচার উপায় আছে কি? আছে বন্ধু আছে! এমন কিছু খাবারের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেগুলি প্রতিদিন খেলে ক্যান্সার রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না বলে ধরণা বিশেষজ্ঞদের।
কী কী খাবারের মধ্যে রয়েছে এই মারণ রোগ থেকে বাঁচার মহৌষধি?
১. মৌসাম্বি লেবু:
এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ভিটামিনটি শরীরের অন্দরে ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো নিয়মিত এই ফলটি খেলে ক্য়ান্সার রোগের ফাঁদে পরার আশঙ্কা অনেকটাই কমে। প্রসঙ্গত, মৌসম্বি লেবুর পরিবারে থাকা বাকি লেবুদের শরীরেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি মজুত রয়েছে। তাই মৌলম্বি লেবু খেতে যদি ইচ্ছা না করে, তাহলে পাতি লেবু, কমলা লেবু অথবা বেল পেপারের কোনও একটা খেতেই পারেন।
২. ডালিম:
এই ফলটির শরীরে রয়েছে অ্যালেজিক অ্যাসিড নামে একটি অতি শক্তিশালী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করতে দারুনভাবে সক্ষম। তাই তো চিকিৎসকেরা প্রতিদিনের ডায়াটে ডালিমকে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে সাওয়াল করছেন। প্রসঙ্গত, ডালিমের বীজও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই ইচ্ছা হলে দইয়ে মিশিয়ে ডলিম বীজও খেতে পারেন।
৩. ক্রসিফেরাস পরিবারের সবজি:
সহজ কথায় ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে বেশি করে খেতে হবে ব্রকলি, ফুলকোপি এবং বাঁধাকোপির মতো সবজি। কারণ এই সবজিগুলির অন্দরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা ক্যান্সার সেলে বেড়ে ওঠা আটকানোর মধ্যে দিয়ে এই মারণ রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
৪. চা:
একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে চায়ের মধ্যে থাকা কেটেচিন নামক একটি উপাদান ক্যান্সার সেলকে শুধু নষ্ট করে না। সেই সঙ্গে সেলুলার মিউটেশান আটকাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে নতুন করে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কাও অনেক কমে যায়। প্রসঙ্গত, জাপানে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন, তাদের ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় কম থাকে। শুধু তাই নয়, যারা নিয়িমত চা পান করেন তাদের কোলন, ব্রেস্ট, ওভারিয়ান, প্রস্টেট এবং লাং ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৫.হলুদ:
এই মশলাটিতে উপস্থিত কার্কিউমিন নামক একটি উপাদান শরীরের অন্দরে প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি রক্তে ভেসে বেরানো টক্সিক উপাদানদের শরীর থেকে বার করে দেয়। ফলে কোষের বিভাজন ঠিক মতো না হওয়ার কারণে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৬. রাঙা আলু:
এই সবজিটিতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন নামক একটি অতি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা লাং, কোলন এবং স্টমাক ক্যান্সারকে ধারে কাছে ঘেঁষতে দেয় না। শুধু তাই নয়, রাঙা আলুতে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান ব্রেস্ট ক্যান্সার রোধেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।