Just In
- 12 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 13 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 15 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 18 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
স্বাধীনতা দিবস: সুস্থ থাকতে চলুন আজ থেকে প্লাস্টিকের কোনও জিনিস ব্যবহার করবেন না এই অঙ্গিকার করুন!
আমাদের ব্যবহৃত প্রায় সব প্লাস্টিকের সামগ্রিতেই লুকিয়ে রয়েছে একটি বিষ, যার নাম এক্সেনোস্ট্রেজেন।
স্বাধীনতা দিবসের দিন এমন শপথ নিতে এই কারণে বলছি কারণ ধীরে ধীরে প্লাস্টিক আমাদের শরীরকে ভিতর এবং বাইরে থেকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সিংহভাগ প্লাস্টিকের জিনিসপত্রে, যেমন ধরুন খাবার প্লেট থেকে ব্রাশ, জলের বোতল থেকে কাপে এত মাত্রায় ক্ষতিকর কেমিকাল থাকে যে তা ধীরে ধীরে আমাদের আয়ু কমায় চোখে পরার মতো।
একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! গবেষণায় একথা প্রমাণ হয়ে গেছে যে প্লাস্টিকে উপস্থিত নানাবিধ কেমিকাল আমাদের শরীরে অন্দরে প্রবেশ করে দেহের গঠনে এমন কিছু পরিবর্তন করে যে তার প্রভাবে নানাবিধ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আয়ু কমে।
কীভাবে প্লাস্টিক আমাদের শরীরে উপর খারাপ প্রভাব ফেলে থাকে? আসলে আমাদের ব্যবহৃত প্রায় সব প্লাস্টিকের সামগ্রিতেই লুকিয়ে রয়েছে একটি বিষ, যার নাম এক্সেনোস্ট্রেজেন। এটি শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে হরমোনাল ইমব্যালেন্স দেখা দেওয়ার কারণে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। প্রসঙ্গত, শরীরকে সচল রাখতে হরমোনের গুরুত্বকে অস্বীকার করা সম্ভব নয়। কারণ চুলের বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ত্বকের সৌন্দর্যতা বাড়াতে, অনিদ্রা দূর করতে, মন ভাল রাখতে এবং ওজন স্বাভাবিক রাখতেও হরমোন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, স্ট্রেস লেভেল কমাতে এবং নানাবিধ রোগের হাত থেকে বাঁচাতেও শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি আমাদের নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। এবার বুঝলেন তো সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য হরমোনের ঠিক মতো ক্ষরণ হওয়াটা কতটা জরুরি।
এক্সেনোস্ট্রেজেন
আরও
কীভাবে
ক্ষতি
করছে
আমাদের
শরীরের?
প্লাস্টিকের
বোতল
থেকে
শুরু
করে
থালা,
বাটি
বা
চামতে
সদা
উপস্থিত
থাকে
এই
কেমিকালটি।
তাই
তো
এমন
বাসন
বা
বোতল
ব্যবহার
করা
মাত্র
খাবারে
এক্সেনোস্ট্রেজেনের
মাত্রা
বৃদ্ধি
পেতে
শুরু
করে।
ফলে
এমন
জল,
ভাত
বা
অন্য
কোনও
খাবার
দীর্ঘ
দিন
ধরে
খেয়ে
গেলে
শরীরের
অবনতি
ঘটতে
শুরু
করে।
সম্প্রতি
প্রকাশিত
এক
রিপোর্ট
অনুসারে
বাজারে
বিক্রি
হওয়া
প্রায়
সব
ধরনের
প্লস্টিকের
সামগ্রিতেই
এই
উপাদানটি
উপস্থিত
থাকে।
এমনকী
যেসব
প্লাস্টিকের
বাসন
পত্রে
"বি
পি
এ"
ফ্রি
লেখা
থাকে
সেগুলিতেও
এক্সেনোস্ট্রেজেনের
মাত্রা
বিপদ
সীমার
উপরে
থাকে।
ফলে
এমন
প্লাস্টিকের
জিনিস
ব্যবহার
করলে
দেহের
যে
মারাত্মক
ক্ষতি
হয়ে
যায়,
তা
কিন্তু
আর
বলার
অপেক্ষা
রাখে
না।
প্লাস্টিকের
বোতল
এবং
শরীর:
একথা
আজ
একেবারে
দিনের
আলোর
মতো
পরিষ্কার
হয়ে
গেছে
যে
প্লাস্টিক
বোতলের
জল
খেলে
শরীর
খারাপের
আশঙ্কা
বহুগুণে
বৃদ্ধি
পায়।
আসলে
প্লাস্টিকের
মধ্যে
উপস্থিত
এক্সেনোস্ট্রেজেন
ছাড়াও
আরও
বেশ
কিছু
ক্ষতিকর
উপাদান
জলের
সঙ্গে
বিক্রিয়া
করে
এমন
কিছু
যৌগ
তৈরি
করে
যা
ধীরে
ধীরে
শরীরকে
অসুস্থতার
দিকে
ঠেলে
দেয়।
কিন্তু
এত
ক্ষতি
হওয়ার
পরেও
সাধারণ
মানুষ
প্লাস্টিক
বোতলের
ব্যবহার
ছাড়তে
নারাজ।
কিন্তু
আর
নয়!
এবার
যে
থামতেই
হবে।
না
হলে
আগামী
১০
বছরের
মধ্যে
সারা
বিশ্বেই
এই
সম্পর্কিত
মৃত্যুহার
যে
বাড়বে
তা
বলাই
বাহুল্য।
প্রসঙ্গত,
আমাদের
দেশে
প্রতি
বছর
কী
পরিমাণে
প্লাস্টিকের
উপাদান
ব্যবহার
হয়
জানা
আছে?
১৯৯৬
সালে
সারা
ভারতে
যেখানে
৬১
হাজার
টন
প্লাস্টিকের
ব্যবহার
হত,
সেখানে
২০০৭
সালে
এই
সংখ্যাটা
বেড়ে
প্রায়
৮,৫০০,০০০
টনে
এসে
দাঁড়িয়েছে।
এবার
বুঝতে
পারছেন
তো
সাবধান
হওয়াটা
কতটা
জরুরি
হয়ে
উঠেছে।
প্রসঙ্গত, প্লাস্টিক বোতলে জল খেলে সাধারণত যে যে শারীরিক সমস্যাগুলি হতে পারে, সেগুলি হল...
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে যায়:
প্লস্টিক বোতলে রাখা ঠান্ডা জল খেতে তো ভাল লাগে। কিন্তু সেই জল যে আপনার আয়ু কমিয়ে দেয়, সে সম্পর্কে কি কোনও ধারণা আছে? একাধিক গবেষণায় একথা প্রামাণিত হয়েছে যে প্লস্টিক বোতলে থাকা একাধিক রাসায়নিক আমাদের রক্তে মিশে যাওয়ার পর একে একে শরীরের একাধিক অঙ্গের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই কমিয়ে দেয় যে নানাবিধ সংক্রমণের আশঙ্কা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। তাই দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বাঁচতে আজ থেকেই প্লাস্টিক বোতলে জল খাওয়া বন্ধ করুন।
২. বাইফেনাল এবং শরীর:
প্লাস্টিক বোতলে জল রাখলে "বাইফেনাল-এ" নামে একটি রাসায়নিক জলের সঙ্গে মিশে যায়। তারপর সেই জল শরীরে প্রবেশ করলে ডায়াবেটিস, ওজন বৃদ্ধি, বাচ্চা হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই আর প্লাস্টিক বোতলে জল না রেখে আগের মতো কাঁচের বোতলের ব্যবহার শুরু করুন। দেখবেন শরীর সুস্থ থাকবে।
৩. শরীরে ক্ষতিকর রাসায়নিকের পরিমাণ বেড়ে যায়:
প্লাস্টিক বোতলে উপস্থিত হাজারো কেমিক্যাল জলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে আরও বেশ ক্ষতিকর কেমিক্যালের জন্ম দেয়, যেমন ফ্লোরায়িড, আর্সেনিক এবং অ্যালুমিনিয়াম। এই সবকটি উপাদানই শরীরের পক্ষে ভাল নয়। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে এই রসায়নিকগুলি শরীরে নিয়মিত ঢুকলে বিষক্রিয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৪. ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে :
প্লাস্টিক বোতলে উপস্থিত "ফেতালেটস" নামক একটি রাসায়নিক জলের সঙ্গে মিশে আমাদের শরীরে প্রবেশ করা মাত্র কোষের ভিভাজনে নানা পরিবর্তন হতে শুরু করে, যা থেকে লিভার ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫. জল নয় বিষ পান করছেন:
আমরা অনেকেই গাড়িতে ব্লাস্টিক বোতলে জল রেখে দি। এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কেন জানেন? কারণ সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলেই প্লাস্টিক বোতলে ডায়োক্সিন নামে এক ধরনের বিষাক্ত উপদানের জন্ম হয়। এই উপাদানটি জলের সঙ্গে বারে বারে শরীরে প্রবেশ করলে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রাকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে শুধুমাত্র রোদে রাখলেই প্লাস্টিক বোতলে ডায়োক্সিন উৎপাদন বেড়ে যায়, এমন নয়। প্লাস্টিক বোতল গরমে রেখে দিলেও একই ঘটনা ঘটে।
প্লাস্টিক ছাড়াও আরও যে সবে এক্সেনোস্ট্রেজেন নামক বিষটি থাকে:
অনেকেই মনে করেন এই ক্ষতিকারক উপাদানটি কেবল মাত্র প্লাস্টিকেই থাকে। এই ধরণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। কারণ টিনজাত খাবার, ক্যান সোডা, প্রেস্টিসাইড, মাংস, বিউটি প্রডাক্টে ব্যবহৃত প্রিজারভেটিভে, এমনকী বাথ কন্ট্রোল পিলেও এই উপাদানটির উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। তাই সাবধান! এমন জিনিসগুলি কেনার আগে দেখে নিন তাতে এক্সেনোস্ট্রেজেন নেই তো!