For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

কফি খেলে কি সত্যিই যম রাজ ভয় পেয়ে যায়?

কফিতে উপস্থিত ক্যাফিন শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি গলিয়ে ফেলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।

By Nayan
|

অফিস শেষে রকে বসে আড্ডা। সঙ্গে ধোঁয়া ওঠা এক পেয়ালা চা বা কফি। মাঝে মাঝে কাঁচের চৌকো বক্সে রাখা নেতিয়ে পরা আলুর চপ বা পিঁয়াজি। সত্যি বাঙালির করা সেরা আবিষ্কারগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই সান্ধ্যকালীন আড্ডা, তাই না! একবার ভাবুন তো এই চা বা কফির সঙ্গে যদি বান্ধুদের সঙ্গ না থাকতো, তাহলে জীবনটা কতটাই না বেরঙা হয়ে যেত। তবে মজার বিষয় কি জানানে এই আড্ডা শুধু যে আমাদের আনন্দ দেয়, তা নয়। সেই সঙ্গে আড্ডার চির সঙ্গী চা বা কফি আমাদের আয়ু বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।

মানে! বলেন কী। কফি আমাদের আয়ু বাড়ায়? একেবারেই! সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাফিন সমৃদ্ধ এই দুই পানীয় ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরের অন্দরে এমন কিছু বিক্রিয়া করে যে মধুমেহ রোগ সেভাবে ক্ষতি করার সুযোগই পায় না। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। পর্তুগালের পর্তো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা প্রায় ৩০০০ জন পুরুষ এবং মহিলা ডায়াবেটিক রোগীর উপর টানা ১১ বছর গবেষণা চালিয়ে দেখেচিলেন তাদের শরীরে ক্যাফিন প্রবেশ করার পর এমন কিছু ঘটে, যা প্রভাবে মৃত্যুহার প্রায় ৫১-৫৭ শতাংশ হ্রাস পায়। তবে ভাববেন না শুধু ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই কফি বিশেষ ভূমিকা নেয়। আরও একাধিক মারণ রোগের প্রকোপ কমাতেও এই পানীয়টির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। যেমন ধরুন...

১. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:

১. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:

কফির অন্দরে থাকা ক্যাফিন শরীরে প্রবেশ করার পর তা অ্যাডেনোসাইন নামে একটি নিউরোট্রান্সমিটারের কাজ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ডোপামাইন নামক ফিলগুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে শরীর চনমনে হয়ে উঠতে শুরু করে। সেই সঙ্গে এনার্জির ঘাটতিও দূর হয়। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ডোপামাইন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে ব্রেন ফাংশনেরও উন্নতি ঘটে। তাই দিনে ১-২ কাপ কফি খাওয়া শুরু করতে পারেন। এমনটা করলে দেখবেন উপকার মিলবে।

২. ওজন কমতে শুরু করে:

২. ওজন কমতে শুরু করে:

গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে কফিতে উপস্থিত ক্যাফিন শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি গলিয়ে ফেলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। আসলে ক্যাফিন আমাদের হজম ক্ষমতা বা মেটাবলিক রেট প্রায় ৩-১১ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। ফলে মেদ ঝরার হার প্রায় ১০-২৯ শতাংশ বেড়ে যায়।

৩. শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

৩. শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

ক্যাফিন রক্তে মেশার পর অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ মারাত্মক বেড়ে যায়। ফলে শরীরের পরিশ্রম করার ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ক্যাফিন নার্ভ সেলের মাধ্যমে ফ্যাট সেলকে বিশেষ কিছু সিগনাল পাঠাতে শুরু করে, যে কারণেও চর্বি গলতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের সার্বিক কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে।

৪. পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়:

৪. পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়:

ঘুম ঘুম ভাব কাটানোর পাশাপাশি কফি আমাদের শরীরে একাধিক পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। একাধিক কেস স্টাডি করার সময় দেখা গেছে কফি পান করলে শরীরে ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৫, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি দূর হয়। তবে তাই বলে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে কফি খাবেন না যেন। এমনটা করলে উপকারের থেকে ক্ষতি হবে বেশি।

৫. ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ কমে:

৫. ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ কমে:

যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে, ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে শরীরের উন্নতিতে কফির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, গবেষণা বলছে যারা নিয়মিত কফি পান করেন, তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৫০-৬৭ শতাংশ কমে যায়।

৬. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

৬. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

গত কয়েক বছর ধরে সারা বিশ্বজুড়ে হওয়া বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কফি পান করলে ব্রেন টিস্যুর কর্মক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পায় যে বুড়ো বয়সে গিয়ে অ্যালঝাইমারস বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা চোখে পরার মতো কমে যায়। প্রসঙ্গত, সারা বিশ্বে বয়স্ক মানুষদের মধ্যে ডিমেনশিয়া রোগের প্রকোপ যে হারে বাড়ছে, তাতে কফি পানের প্রয়োজনীয়তা যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

৭. লিভারের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে:

৭. লিভারের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে:

প্রতিদিন নিয়ম করে ২-৩ কাপ কফি পান করলে নানাবিধ লিভার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় শূন্যে এসে দাঁড়ায়। সেই সঙ্গে লিভারের কর্মক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পায় যে সার্বিকভাবে শরীরের উন্নতি ঘটে।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

চা বা কফি আমাদের আয়ু বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। কিভাবে এই পানীয়টি এমন কাজ করে থাকে জানেন?

Drinking coffee or tea regularly may lower death risk in women who suffer from diabetes, a study claims.More than 80 per cent of the world's adult population consume caffeine daily, mostly from coffee and tea. Average daily coffee consumption is between 100 milligrammes (mg) and 300 mg per day, depending on age and country.Many studies have shown a beneficial effect of drinking coffee on the risk of death from all causes in the general population, but little is known about the role of caffeine on mortality in people with diabetes.Researchers including those from the University of Porto in Portugal examined the association between varying levels of caffeine intake and mortality in over 3,000 men and women with diabetes from the 1999 to 2010.
X
Desktop Bottom Promotion