Just In
Don't Miss
জল না খেলে শরীর কিন্তু যাবে ভেঙে!
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি স্টাডি আনুসারে কিডনি স্টোনের মতো সমস্যা দেখা দিলে তা থেকে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ এবং পরবর্তি সময় ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি স্টাডি আনুসারে কিডনি স্টোনের মতো সমস্যা দেখা দিলে তা থেকে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ এবং পরবর্তি সময় ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর যেমনটা আপনাদের সবারই জানা আছে যে ডায়াবেটিস এবং ব্লাড প্রেসার হল সাইলেন্ট কিলার, যা ধীরে ধীরে শরীরকে ভেতর থেকে এতটা ভেঙে দেয় যে আয়ু কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো সমস্যাও কমে।
বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে গত কয়েক বছরে আমাদের দেশ কিডনি স্টোনের মতো সমস্যার প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পযেছে, যার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জল কম খাওয়ার প্রবণতাকে দায়ি করছেন। তাদের মতে আজকের যুবসমাজ কোনও এক অজানা কারণ একেবারেই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্টোনের মতো রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আসলে ঠিক ঠিক পরিমাণে জল খেলে কিডনি সহজেই শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতে পারে। কিন্তু দিনের পর দিন জলের ঘাটতি দেখা দিলে কিডনির পক্ষে নিজের কাজ ঠিক করে মতো করা সম্ভব হয় না। ফলে টক্সিক উপাদান জমতে জমতে এক সময়ে গিয়ে স্টোনের আকার নেয়। তাই তো দিনে কম করে ৩-৪ লিটার জল পান করা মাস্ট! আর তাছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন...
১. ক্লান্তি দূর করে:
আমাদের মস্তিষ্কের সিংহভাগই যেহেতু জলীয় উপাদান দিয়ে তৈরি। তাই প্রচুর পরিমাণে জল খেলে ব্রেন অ্যাকটিভিটির উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মনযোগ এবং বুদ্ধির বিকাশ ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শারীরিক ক্লান্তিও দূর হয়। তাই এবার থেকে যখনই একটু ক্লান্ত মনে হবে, তখনই পেট ভরে জল খেয়ে নেবেন। দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে মন এবং শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
২. ওজন কমায়:
শুনে একটু অবাক লাগলেও একথা ঠিক যে ওজন হ্রাসে জলের বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে শরীরে জলের ঘাটতি দূর হলে একদিকে যেমন হজম ক্ষমতার মারাত্মক উন্নতি ঘটে, তেমনি ক্ষিদেও কমে যায়। ফলে দুদিক থেকেই ওজন হ্রাসের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাই অতিরিক্ত ওজনের কারণে যদি চিন্তায় থাকেন, তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেতে ভুলবেন না যেন!
৩. শরীর বিষ মুক্ত হয়:
সারা দিন ধরে শরীরে প্রবেশ করতে থাকা টক্সিক উপাদানদের শরীরে থেকে বের করে দিয়ে দেহকে বিষ মুক্ত করতে নানাভাবে সাহায্য করে জল। আসলে শরীর তার প্রয়োজন অনুসারে জল পেলে প্রস্রাবের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে জমতে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, শরীর থেকে যত টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যাবে, তত কিডনি স্টোন এবং ইউ টি আই-এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পাবে।
৪. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:
প্রতিদিন নিয়ম করে ৩-৪ লিটার জল পান করলে ত্বকের অন্দরে থাকা টক্সিক উপাদান সম্পূর্ণ রূপে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্কিন উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে এবং বলিরেখা কমতে শুরু করে। আর এমনটা হলে শরীরের বয়স বাড়লেও ত্বকের উপর যে তার কোনও প্রভাব পরে না, সে কতা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। তাই যদি সুন্দর এবং মোলায়েম ত্বক পেতে চান, তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে ভুলবেন না যেন!
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে জল শুধু আমাদের তেষ্টা মেটায় না। সেই সঙ্গে শরীরের অন্দরে বেশ কিছু পরিবর্তন করার মধ্যে দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে ক্যান্সার এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৬. জয়েন্ট পেন হওয়ার আশঙ্কা কমে:
বেশ কয়েকটা স্টাডিতে দেখা গেছে জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ালে শরীরের প্রতিটি জয়েন্টের সচলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে পেশীর কর্মক্ষমতাও বেড়ে যাওয়ার কারণে ডয়েন্ট পেন হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে।