For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

মরতে না চাইলে হাঁচি কখনও আটকাবেন না যেন!

আচ্ছা বলতে পারেন কখন আমাদের হাঁচি আসে? আসলে যখন আমাদের শরীর, পরিবেশে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানের কারণে হওয়া সংক্রমণের হাত থেকে আমাদের বাঁচায়, তখনই সাধারণত হাঁচি আসে।

By Nayan
|

একেবারেই ঠিক শুনেছেন, বাঁচা-মরার সঙ্গে বাস্তবিকই হাঁচির যে যোগ রয়েছে তা একাধিক গবেষণাতে প্রমাণিত হয়ে গেছে। আসলে হাঁচির সময় নাক বা মুখ বন্ধ করলে শরীরের বিভিন্ন অংশে এত মাত্রায় চাপ বৃদ্ধি পায় যে দেহের অন্দরে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এমনকি মস্তিষ্কে চোট লাগার কারণে হতে পারে মারাত্মক কিছুও। তাই ভুলেও হাঁচিকে আটকাবেন না যেন!

আচ্ছা বলতে পারেন কখন আমাদের হাঁচি আসে? আসলে যখন আমাদের শরীর, পরিবেশে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানের কারণে হওয়া সংক্রমণের হাত থেকে আমাদের বাঁচায়, তখনই সাধারণত হাঁচি আসে। তাই তো একথা বলতেই হয় যে হাঁচি একেবারেই খারাপ কিছু নয়, বরং শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি। সেই কারণেই এবার থেকে বারে বারে যখন নাক সুরসুরিয়ে হাঁচি আসবে, তখন জানবেন শরীর আপনাকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই তো শরীরের এই ডিফেন্স মেকানিজমকে মাঝ পথে বাঁধা দিতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।

আমাদের শরীরে যখন নানাবিধ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করার চেষ্টা করে, তখন শরীরের বিশেষ একটা মেকানিজম অ্যাকটিভেট হয়ে গিয়ে হাঁচি শুরু হয়। হাঁচির চোটে সেই সব ক্ষতিকর উপাদানগুলি আমাদের শরীর থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার/প্রতি ঘন্টা স্পিডে বাইরে বেরিয়ে আসে। ফলে রোগভোগের আশঙ্কা কমে। এবার বুঝলেন তো সুস্থ থাকতে বারে বারে হাঁচি আসাটা কতটা জরুরি।

সম্প্রতি এই বিষয়ের উপর হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে হাঁচির সময় প্রচন্ড স্পিডে হাওয়া নাক এবং মুখ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে চায়। সেই সময় এই এয়ার প্রেসারকে যদি আটকে দেওয়া হয়, তাহলে বায়ু প্রবাহ উল্টো পথ ধরে শরীরের অন্দরে প্রবেশ করে। ফলে গলা এবং ফুসফুসের উপর একেবারেই প্রথমেই মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে লাং এবং শরীরের এই অংশের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি মস্তিষ্কেও চোট লাগার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই সাবধান!

এখানেই শেষ নয়,বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে হাঁচি আসার সময় তা আটকে দিলে আমাদের শরীরের একাধিক অঙ্গ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এমনকি এই কারমে হতে পারে মৃত্যুও। আসলে হাঁচি আটকালে যে গতিতে বায়ু বাইরে বেরতে চাইছে, তা লম গতিতে শরীরে ভিতরে চলে গিয়ে কান, মস্তিষ্ক, ঘার, ডায়াফরাম প্রভৃতি অংশে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে। ফলে ধীরে ধীরে শরীরের এই অংশগুলির কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু। এখানেই শেষ নয়, হাঁচি আটকালে আরও নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই কদিন আগেই যেমন ৩৪ বছরের এক ব্য়াক্তি অফিস মিটিং-এর সময় আসা হাঁচি ভুলে আটকে ফেলেছিলেন। এমনটা করার কারণে গলায় এত চোট লেগেছিল যে কথা বলতেও সমস্য়া হচ্ছিস। সেই সঙ্গে যন্ত্রণা তো ছিলই। এবার বুঝেছেন তো আপাত দৃষ্টিতে হাঁচিকে কেউ তেমন একটা গুরুত্ব না দিলেও শরীরের ভাল মন্দের সঙ্গে এর সরাসরি যোগ রয়েছে।

হাঁচি আটকানো ক্ষতিকারক কেন?

হাঁচি আটকানো ক্ষতিকারক কেন?

হাঁচির সময় প্রায় ১০০-১৬০ কিলোমিটার/প্রতি ঘন্টা গতিতে বায়ু নাকের ছিদ্র দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। তাই সে সময় যদি এই বায়ু প্রবাহকে জোর করে আটকানো হয়, তাহলে তা সম গতিতে শরীরের ভিতরে চলে যায় এবং একাধিক অঙ্গের ক্ষতি সাধন করে। যেমন ধরুন কানে যদি এর প্রভাব পরে তাহলে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। ফলে কালা হয়ে যাওয়ার অশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এখানেই শেষ নয়, হাঁচি আটকালে শরীর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে শুরু করে। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

চোখ, ঘাড় এবং মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়:

চোখ, ঘাড় এবং মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়:

রাজধানী ট্রেনের যে গতিবেগ, সেই সমান স্পিডে বায়ু প্রবাহ যখন চোখ এসে ধাক্কা মারে তখন একাধিক নার্ভ ড্যামেজ হয়ে যায়। এই কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া এবং অন্ধত্বেরও আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর যদি ঘারে এর প্রভাব পরে তাহলে মারাত্মক নেক ইনজুরি হতে পার। এখানেই শেষ নয়, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই গতি বেগে বায়ু প্রবাহ মস্তিষ্কের একাধিক নার্ভে গিয়ে আঁছড়ে পরলে অনের ক্ষেত্রেই স্টোক এবং সেই কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই বাঁচতে চাইলে এবার থেকে হাঁচি এলে আর আটকাবেন না দয়া করে।

কেন আমরা হাঁচি আটকে থাকি?

কেন আমরা হাঁচি আটকে থাকি?

সামাজিকতার কারণেই বেশিরভাগ মানুষ এমনটা করে থাকেন। লোক সমাজে থাকলে বা মিটিং- এ থাকাকালীন হাঁচি এলে অনেকেই মনে করেন সম্মান চলে যাবে, তাই সঙ্গে সঙ্গে পকেটে হাতটা চালান হয়ে যায় আর নাকের সামনে এসে যায় রুমাল। আশা করা যেতে পারে এবার থেকে নিশ্চয় আর এমনটা করবেন না। কারণ সামাজিক সম্মানের থেকে মনে হয় সুস্থভাবে বেঁচে থাকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তাই না!

Read more about: রোগ শরীর
English summary

বাঁচা-মরার সঙ্গে বাস্তবিকই হাঁচির যে যোগ রয়েছে তা একাধিক গবেষণাতে প্রমাণিত হয়ে গেছে। আসলে হাঁচির সময় নাক বা মুখ বন্ধ করলে শরীরের বিভিন্ন অংশে এত মাত্রায় চাপ বৃদ্ধি পায় যে দেহের অন্দরে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

If you are about to sneeze, then don’t try to stop it by pinching your nose and closing your mouth, as according to doctors, it can rupture throat, burst an eardrum and even pop a blood vessel in the brain. According to researchers, it may lead to numerous complications, such as pseudomediastinum – air trapped in the chest between both lungs, perforation of the tympanic membrane – perforated eardrum and even rupture of a cerebral aneurysm – ballooning blood vessel in the brain. The team recently revealed that a 34-year-old young man managed to rupture the back of his throat during this manoeuvre, leaving him in excruciating pain, barely able to speak or swallow and in considerable pain. Also read why do you sneeze a lot (25-30 times) early in the morning and how to deal with it.
Story first published: Tuesday, January 16, 2018, 14:49 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion