For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

দিবা স্বপ্ন দেখেন নাকি?

অফিসে কাজের ফাঁকে হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে ওঠে কি স্বপ্নের জাল? কখনও সেই স্বপ্ন হয় গার্ল ফ্রেন্ডের সঙ্গে গোয়া ট্রিপ, তো কখনও প্রোমশোন! তাহলে তো বলবো মশাই বেজায় বিপদ!

By Nayan
|

অফিসে কাজের ফাঁকে হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে ওঠে কি স্বপ্নের জাল? কখনও সেই স্বপ্ন হয় গার্ল ফ্রেন্ডের সঙ্গে গোয়া ট্রিপ, তো কখনও প্রোমশোন! তাহলে তো বলবো মশাই বেজায় বিপদ!

আরে আরে... ভয় পাবেন না! দিবা স্বপ্ন দেখলে আপনার কোনও বিপদ হবে না, হবে আপনার প্রতিপক্ষের। কারণ সম্প্রতি হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা চোখ খুলে স্বপ্ন দেখেন তারা বেজয় ক্রিয়েটিভ এবং স্মার্ট হন। আর চালাক-চতুর মানুষেরা যে জীবনে উন্নতি করবেনই, সে বিষয়ে তো কোনও সন্দেহ নেই। তবে বিষয়টা এখানেই থেমে থাকে না। কারণ দিবা স্বপ্ন বাস্তবিকই এক আজব, আকর্ষণীয় অধ্যায়, যে সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হতে বাধ্য। তাই তো আজ এই প্রবন্ধে খোলা চোখে দেখা স্বপ্নের বিষযে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরবো, যা পড়তে পড়তে আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে।

অ্যাটলান্টার জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একদল গবেষক এই বিষয়ে পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যারা দিনের নানা সময় নিজেদের স্বপ্নের জগতে হারিয়ে যেতে ভালবাসেন, তাদের ব্রেন পাওয়ার বাকিদের থেকে খুব বেশি হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এরা ক্রিয়েটিভ সেক্টারে খুব নাম করেন। সেই সঙ্গে বুদ্ধির দিক থেকেও অনেককে পেছনে ফেলে দেন। শুধু তাই নয়, ডে ড্রিমারদের শারীরিক বিকাশও অন্যদের থেকে বেশি মাত্রায় হয়ে থাকে। যেমন ধরুন, যারা দিবা স্বপ্ন দেখতে ভালবাসেন তাদের শরীরে নানা উপকারি পরিবর্তন হতে থাকে, যে কারণে অনেক সুফল পাওয়া যায়, যেমন...

১. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে:

১. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে:

আমেরিকান সাইকোলজিকাল অ্যাসোসিয়েশনের করা এক গবেষণা অনুসারে দিবা স্বপ্ন দেখার সময় আমাদের মস্তিষ্কের বিশেষ একটি অংশ এতটাই অ্যাকটিভ হয়ে যায় যে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও বাড়তে থাকে। তাই আপনি যদি পড়তে পড়তে অথবা অফিসে মিটিং-এর মাঝে স্বপ্নের দুনিয়ায় হারিয়ে যান, তাহলে ভাববেন না কোনও ভুল কাজ করছেন। বরং এমনটা হওয়ার কারণে আপনার উপকারই হচ্ছে।

২. ক্রিয়েটিভ পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

২. ক্রিয়েটিভ পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যারা খালি চোখে স্বপ্ন দেখতে অভ্যস্ত, তাদের নতুন কিছু সৃষ্টি করার ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায়, যে ক্রিয়েটিভ সেক্টারে এদের সফল হতে কেউ আটকাতেই পারে না। আসলে ড্রে ডিমিং এমনিতেই একটি ক্রিয়েটিভ প্রসেস। একবার ভাবুন তো, আপনি যেখানে জাননি, সেখানে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে যাওয়ার পর কী কী করবেন সে বিষয়ে আপনি আপনার কল্পনার জগতে একের এক ছবি এঁকে চলেছেন। এমনটা একটা ক্রিয়েটিভ মানুষ ছাড়া আর কেউ করতে পারেন কি, আমার তো মনে হয় না।

৩. মন ভাল হয়ে যায়:

৩. মন ভাল হয়ে যায়:

নানা কারণে মনটা বেজায় দামাল হয়ে রয়েছে? তাহলে কাজের থেকে কয়েক মিনিট ছুটি নিয়ে একটু মনের মতো স্বপ্ন দেখে ফেলুন না, দেখবেন এমনটা করলে নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে। আসলে কী জানেন স্বপ্ন দেখার পর আমাদের সুখের নানা স্মৃতি সামনে আসতে শুরু করে, যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই মন চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় নেয় না।

৪. কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

৪. কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

এই বিষয়ের উপর হওয়া বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে দিবা স্বপ্ন এমন এক ধরনের ড্রিম যা আমরা নিজেরা কন্ট্রোল করে থাকে। ফলে এমনটা করার সময় আমাদের ব্রেন অ্যাকটিভিটি এতটাই বেড়ে যায় যে তার সুফল শরীরও পেতে শুরু করে। ফলে সার্বিক কর্মক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে সফলতা পেতে সময় লাগে না।

৫. শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে:

৫. শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে:

নিয়মিত দিবা স্বপ্ন দেখার অভ্যাস করলে স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদও কমে যায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই শরীরের নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরের ডেটা সংগ্রহ করলে বুঝতে পারবেন যুব সমাজ আজ যে যে মারণ রোগে বেশি মাত্রায় আক্রান্ত হচ্ছে, তার বেশিরভাগেরই সঙ্গে স্ট্রেসের সরাসরি য়োগ রয়েছে। তাই একবার যদি স্ট্রেস লেভেল কমিয়ে ফেলতে পারা যায়, তাহলেই কেল্লাফতে!

৬. অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়:

৬. অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়:

ইয়েল ইভনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে দিবা স্বপ্নের সঙ্গে আমাদের রাত্রিরের ঘুমের একটা সরাসরি যোগ রয়েছে। কারণ খালি চোখে দেখা স্বপ্ন কখনও শেষ হতে চায় না। তাই তো ঘুমতে ঘুমতেও আমরা সেই একই দুনিয়ায় চলে যেতে চাই। সেই কারণেই তো বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ঘুমতে যাওয়ার অল্প কিছু সময় আগে একটু খালি খালি চোখে স্বপ্ন দেখার অভ্যাস করা যায়, তাহলে ঘুম আসতে একেবারে সময়ই লাগে না। তাই যারা নানা কারণে অনিদ্রায় ভুগছেন, তারা একবার এই আজব পদ্ধতিটি অনুসরণ করে দেখতে পারেন!

Read more about: রোগ শরীর
English summary

অফিসে কাজের ফাঁকে হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে ওঠে কি স্বপ্নের জাল? কখনও সেই স্বপ্ন হয় গার্ল ফ্রেন্ডের সঙ্গে গোয়া ট্রিপ, তো কখনও প্রোমশোন! তাহলে তো বলবো মশাই বেজায় বিপদ!

If you frequently get engrossed in a series of pleasant thoughts while working or at home, then don’t be ashamed as it may be an indication that you are really smart and creative. Those who daydreamt more frequently scored higher on intellectual, creative ability and had more efficient brain systems measured in the MRI machine, a recent study has revealed. According to researchers from Georgia Institute of Technology in Atlanta, daydreaming during meetings is not necessarily a bad thing. Researcher Eric Schumacher said that people with efficient brains may have too much brain capacity to stop their minds from wandering. The team, including lead co-author Christine Godwin, measured the brain patterns of more than 100 people while they lay in an MRI machine.
Story first published: Thursday, October 26, 2017, 12:16 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion