Just In
Don't Miss
করোনা ভাইরাস বায়ুবাহিত! নতুন নির্দেশিকা জারি করল WHO
প্রাদুর্ভাবের সময় থেকেই করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এখনও পর্যন্ত চিন্তিত গবেষকরা। কারণ, এই ভাইরাস দিনের পর দিন নতুন নতুন উপসর্গ নিয়ে দেখা দিচ্ছে আমাদের মাঝে। তাই, করোনা ভাইরাস এর চরিত্র নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে কাটাছেঁড়া। ভাইরাসটি বায়ুবাহিত নাকি নয়, এই নিয়েই তর্ক বিতর্ক বহুদিন থেকেই চলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে। সম্প্রতি, ৩২টি দেশের ২৯৩ জন বিজ্ঞানী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-কে একটি খোলা চিঠি দিয়ে দাবি করেন যে, কেবলমাত্র ড্রপলেটস্ এর মাধ্যমেই নয়, বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। তাই এই মর্মে WHO এর গাইডলাইন পরিবর্তনের প্রস্তাবও দেন ওই গবেষকরা। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ জোস জিমেনেজ। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান "এতদিনে সঠিক পথে গবেষণা এগোচ্ছে। এটা স্পষ্ট যে করোনা ভাইরাসের এই বিপুল সংক্রমণের অন্যতম মাধ্যম অবশ্যই বাতাস।"
প্রথমদিকে বিজ্ঞানীদের দেওয়া এই তথ্যকে WHO না মানলেও, পরবর্তীকালে গবেষকদের সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখার পর তাদের ধারণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাতাসে ভেসে সংক্রমণ হতে পারে, এই সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে একটি নতুন গাইডলাইনও প্রকাশ করল WHO। নতুন এই নির্দেশিকাটিতে বলা হয়েছে -
১) ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্বকে মানতে হবে।
২) বায়ু চলাচল করতে পারে এমন ঘরে থাকতে হবে।
৩) এসি ঘরে থাকা এড়িয়ে চলতে হবে।
৪) মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
এই নির্দেশিকা প্রকাশ করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনই তারা নিশ্চিতভাবে এটিকে বায়ুবাহিত রোগ বলে ঘোষণা করতে রাজি নন। কারণ, বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার কয়েকটি রিপোর্ট তাদের কাছে এসে পৌঁছালেও, বিশদভাবে জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায় হু।
আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজ এর ডিরেক্টর ডঃ অ্যান্থনি ফসি (Anthony Fauci) একটি বিবৃতিতে জানান, SARS-CoV-2 এর বায়ু ঘটিত সংক্রমনের এখনও প্রতিষ্ঠিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু তিনি এও বলেন "আমার মনে হয় এটা যুক্তিযুক্ত অনুমান যে এভাবেও বিস্তার হতে পারে।"
বাতাস থেকেও ছড়াতে পারে করোনা, জানুন WHO-এর মত
বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনা, এই কথা শোনার পর সাধারণ মানুষের মনে আরও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের সংক্রমণ আটকাতে একমাত্র অস্ত্র মাস্ক। সঠিক নিয়ম মেনে মাস্ক ব্যবহার ছাড়া দ্বিতীয় কোনও পন্থা নেই এবং মাস্ক অবশ্যই হতে হবে ত্রিস্তরীয়। পাশাপাশি মেনে চলতে হবে ভালো করে হাত ধোওয়া, মুখের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ না করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঠিক রাখা।
সারাবিশ্বে সংক্রমনের সংখ্যা তরতরিয়ে বেড়ে চলেছে। আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের এখন একটাই কাজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া সমস্ত গাইডলাইন সঠিকভাবে মেনে চলা, পাশাপাশি নিজেদের সতর্ক থাকা।