Just In
কোভিড-১৯ : এইসময় চশমা ব্যবহার করছেন? সঠিক নিয়ম না মানলেই সংক্রমণের আশঙ্কা!
করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে মানুষদের মধ্যে এক অদ্ভুত ভীতির জন্ম নিয়েছে। নিজেদেরকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সমস্ত নিয়মাবলী মেনে চলার পরেও, সামান্য কিছু অসতর্কতার কারণে কেউ কেউ আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন এই ভাইরাস দ্বারা। ফলে পৃথিবীর সকল মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স বজায় রাখা, মাস্ক, গ্লাভস, চশমা, ফেস শিল্ড পরা, ভালো করে হাত ধোওয়া ইত্যাদি মেনে চলার পাশাপাশি, নিজেদের পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর দিচ্ছেন প্রত্যেকে। বাইরে থেকে এসে হাত, পা, মুখ ভালো করে ধোওয়া, পরা জামাকাপড় কেচে নেওয়া, স্নান করা ইত্যাদি সকলের এখন নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
সুরক্ষার জন্য মাস্ক, গ্লাভস, ফেস শিল্ড ও হাত ধোওয়ার প্রতি আমরা যতটা গুরুত্ব দিচ্ছি, ঠিক ততটাই কি চশমা ব্যবহার এবং পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছি? বাড়ি ফিরে মাস্ক এবং গ্লাভস ভালো করে ধুয়ে নিচ্ছেন বা স্যানিটাইজ করছেন। কিন্তু চশমা? নিশ্চয়ই ভুলে যাচ্ছেন। তবে চলুন এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন চশমা ব্যবহার এবং পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া নির্দেশিকাগুলি।
১) চশমা মাথার উপরে রাখা এবং যখন তখন খুলে পকেটে ঢুকিয়ে দেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
২) বাইরের থেকে বাড়িতে আসার পর মাস্ক, গ্লাভস ও ফেস শিল্ড যেভাবে পরিষ্কার করছেন, ঠিক সেইভাবেই চশমাকে সাবান ও জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন এবং টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিন।
৩) চশমা ব্যবহারের আগে ভালো করে সাবান দিয়ে নিজের হাত মুখ ধুয়ে নিন। তারপর অবশ্যই চশমার ফ্রেম ও হ্যান্ডেল স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন।
৪) চশমা রাখার বাক্স এবং চশমা পরিষ্কার করার টিস্যু যেন নিয়মিত স্যানিটাইজ হয়।
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস : এইসময় হোটেলে থাকা কতটা নিরাপদ? রুম বুক করার আগে এই বিষয়ের দিকে নজর দিন
৫) চশমা রাখার আগে বাক্সটি স্যানিটাইজ করে নেবেন।
৬) বাক্সের ভেতরে চশমা ঢোকানোর আগে চশমাটি স্যানিটাইজ করুন এবং লেন্সের দিকটি উপরের দিকে রাখুন।
৭) অফিসের টেবিলে, বাথরুমের বেশিনের পাশে চশমা রাখলে তা পরার আগে স্যানিটাইজ করুন।
৮) চশমা যদি কোনও সারফেসে ঠেকে, তবে তা অবশ্যই স্যানিটাইজ করতে হবে।