Just In
- 8 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 9 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 11 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 15 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
অসুস্থ অবস্থায় ‘হোম কোয়ারান্টিন’-এ, সুরক্ষিত থাকতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
দিনের পর দিন নতুন নতুন উপসর্গ নিয়ে হাজির হচ্ছে করোনা ভাইরাস। এর সাথে আক্রান্তের সংখ্যাও দ্রুত বেড়েই চলেছে। করোনার চোখ রাঙানিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানবজাতি। প্রতিমুহূর্তে মানুষ লড়াই করে চলেছে এই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে। এর 'ইতি' টানতে প্রতিনিয়তই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে সমস্ত রকম সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সংস্থার তরফ থেকে ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন গাইডলাইনও দেওয়া হয়েছে, যা মেনে চললে কিছুটা হলেও চিন্তা মুক্ত থাকা যাবে।
কোভিড-১৯ এর আক্রমণ বাড়ার সাথে সাথে সমানভাবে বাড়ছে 'হোম কোয়ারান্টিন'-এ থাকা মানুষজনের সংখ্যাও। করোনা ভাইরাস যেভাবে ছড়াচ্ছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বর্তমানে একটা পরিবারে চার-পাঁচ জনের একসাথে করোনা হওয়ার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী চিকিৎসকেরা এখন অনেককেই হাসপাতালের পরিবর্তে হোম কোয়ারান্টিন-এ থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু একই বাড়িতে দুই-চারজনের একসাথে 'হোম কোয়ারান্টিন' ঠিক কতটা কার্যকরী? এক্ষেত্রে কী কী করা উচিত? দেখে নিন বোল্ডস্কাই-এর এই আর্টিকেল থেকে।
১) আপনি এবং পরিবারের অন্য কেউ যদি কোভিড-১৯ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে অন্যান্য সদস্যদের থেকে নিজেদের দূরে রাখুন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রত্যেকে আলাদা আলাদা রুমে নিজেদের গৃহবন্দী রাখুন এবং প্রত্যেকে আলাদা আলাদা বাথরুম বা শৌচাগার ব্যবহার করুন। খোলামেলা, আলো-বাতাস প্রবেশ করে এমন ঘর হোম কোয়রান্টিনের জন্য উপযুক্ত।
২) অসুস্থ ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র অন্যদের না ছোঁওয়াই ভালো। তাঁর জন্য সাবান, তোয়ালে বা গামছা, বিছানার জিনিসপত্র, বাসনপত্র, টুথব্রাশ ও চিরুনি সবকিছুর আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তি যে ঘরে থাকবেন তার জিনিসপত্র সেই ঘরের বাইরে না বের করাই ভালো।
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস : কোয়ারান্টিনের পরে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি কীভাবে বজায় রাখবেন, রইল তার নির্দেশিকা
৩) বাড়ির বাইরে, ক্লাব, বাজার, অনুষ্ঠান বাড়ি কোথাও যাওয়া চলবে না। বাড়িতে বয়স্ক ব্যক্তি, গর্ভবতী, ছোট বাচ্চা বা অন্য কোনও অসুস্থ ব্যক্তি থাকলে তাদের কাছাকাছি যাওয়া নিষেধ।
৪) অসুস্থ ব্যক্তি ঘর ছেড়ে বেরোলেও অন্যদের থেকে ন্যূনতম এক মিটার দূরত্ব তাঁকে বজায় রাখতে হবে এবং সবসময় মাস্ক পরতে হবে। চিকিৎসকদের মতে, কাপড়ের থ্রি লেয়ার মাস্ক এখন সবচেয়ে নিরাপদ, যা দীর্ঘদিন চলে।
৫) হোম কোয়ারান্টিনে থাকা ব্যক্তিকে বাড়ির একজন সাবালক সদস্য পরিচর্যা ও দেখভাল করবে। দেখভাল করার ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব, গ্লাভস, মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে ফিরে আসার পর সাথে সাথে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত, পা এবং মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
৬) ঘর নিয়মিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাস যুক্ত পদার্থ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৭) বাড়ির পোষ্যকে স্পর্শ করবেন না এবং কোয়ারান্টিনে থাকা ব্যক্তির কাছে যাতে পোষ্য না যায় তার দিকে নজর দিতে হবে।
৭) কোয়ারান্টিনে থাকার সময় কার্বোহাইড্রেট, ওমেগা-৩ ও হাই প্রোটিন যুক্ত বাড়ির খাবার খেতে হবে। বাইরের খাবার খাওয়া একেবারেই ভুলে যেতে হবে। কখনোই খালি পেটে থাকবেন না। নিজের চাহিদা অনুযায়ী ভরপেট খাবার খাবেন।
৮) ডায়েটে রাখবেন প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম, ইত্যাদি। এসবের পাশাপাশি খান ফলমূল।
৯) কোয়ারান্টিনে থাকার সময় নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঠিক রাখতে আয়ুষ মন্ত্রকের নির্দেশিত ঔষধ এবং চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী কিছু ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন। পাশাপাশি যে ওষুধগুলো দীর্ঘদিন ধরে খেয়ে আসছেন সেই সমস্ত ওষুধ নিজের কাছে মজুদ রাখুন এবং সঠিক সময়ে সঠিক নিয়ম মেনে তা খান।
১০) জল বেশি পরিমাণ খেতে হবে। এক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানীয় জল পান করা আবশ্যক। তেমন হলে জলকে ভালো করে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে তারপর সেই জল পান করুন।
১১) কোয়ারান্টিন বা গৃহবন্দি থাকা ব্যক্তির অনেক রকম মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন - হতাশা, অবসাদ, একাকীত্ব, রাগ ইত্যাদি। তাই এগুলো থেকে মুক্তি পেতে, নিজের যা কিছু করতে ভালো লাগে তাই করুন। মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে নিজেকে ফিট রাখতে রোজদিন যোগব্যায়াম, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন।
১২) মনকে ভালো রাখতে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলুন। নিজের পছন্দের গান শুনুন, সিনেমা দেখুন।
১৩) কোনওরকম অস্থিরতা ও শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ফোনের মাধ্যমে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। কখনোই অবহেলা করবেন না।
ইতিমধ্যে বিশ্বে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। তাই নিজেদের এবং পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে 'হোম কোয়ারান্টিন'-এ থাকা অত্যন্ত জরুরী। বিশেষজ্ঞদের মতে, 'হোম কোয়ারান্টিন'-এ থাকলে আপনার নিরাপদ থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। পাশাপাশি, উপরোক্ত নিয়মকানুন মেনে চলাও প্রয়োজন।