For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

অন্যের ঘামের থেকে হতে পারে সংক্রমণ!

|

অন্যের ঘামের সঙ্গে রোগের কী সম্পর্ক? এই উত্তর পাবেন। তবে তার আগে একটা বিষয় জেনে রাখা উচিত যে, এই গরমে খেলার মাঠে, বাসে, গাড়িতে অথবা অফিসে খেয়াল রাখবেন কারও ঘাম যেন আপনার শরীরে না লাগে, আর যদি ভুল করে লেগেও যায়। তাহলে সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফলবেন। আরেকটি বিষয়, পাবলিক ট্রান্সপোর্টে কারও ঘেমো হাতে ধরা হ্যান্ডেল সঙ্গে সঙ্গে ধরবেন না। এমনটা করলেও কিন্তু সমান ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এখন ফিরে আসা যাক প্রথম প্রশ্নে। কীভাবে অন্যের ঘামের থেকে নানাবিধ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে? চলুন উত্তর খোঁজা যাক।

১. ঘাম থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে:

১. ঘাম থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে:

বেশ কিছু সংক্রমণ ঘামের মাধ্যমে এক জনের শরীর থেকে আরেক জনের শরীরে আক্রমণ সানাতে পারে। আর এক্ষেত্রে যার শরীরে গিয়ে জীবাণু ঘার বানায়, তিনি এ সম্পর্কে জেনেও উঠতেও পারেন না, যতক্ষণ না সেই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সেই কারণেই তো ভিড় বাসে অথবা অনেক লোকের মাঝে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিন চিকিৎসকেরা। কারণ আপনার ঠিক পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটার শরীরে যে কোনও জীবাণু বসা বেঁধে নেই, তা তো খালি চোখে দেখে বোঝা সম্ভব নয়। তাই সাবধান!

২. এম আর এস এ:

২. এম আর এস এ:

মেথিসিলিন রেজিসটেন্ট স্টেফিলোক্কাস অ্যারিয়াস বা এম আর এস এ নামক এই সংক্রমণটি মারাত্মক ভয়ঙ্কর। একবার কেউ যদি এই রোগে আক্রান্ত হয়, সহজে সেরে ওঠা একেবারেই সম্ভব হয় না। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল ঘামের মাধ্যমে এই ইনফেকশনটি খুব অল্প সময়েই এক জনর শরীর থেকে আরেক জনের দেহে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং একবার যদি শরীরে এই জীবাণুটি প্রবেশ করে যায়, তাহলে একে একে ইউরিনারি ট্রাক্ট, ফুসফুস এমনকী রক্তেও বিষ ছড়িয়ে যেতে পারে। আর কোনও সময় রক্তে যদি এই সংক্রমণ মিশে যায়, তাহলে জীবনহানির আশঙ্কা থাকে। এবার বুঝতে পারছেন তো গরমের সময় ঘাম কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে!

৩. হেপাটাইটিস বি ভাইরাস:

৩. হেপাটাইটিস বি ভাইরাস:

এত দিন মনে করা হত ঘাম এবং লালার মাধ্যমেই এই ভাইরাসের প্রসার ঘটে। কিন্তু সম্প্রতি ব্রিটিশ জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে ঘামের থেকেও হেপাটাইটিস বি ভাইরাস এক জনের শরীর থেকে আরেক জনের শরীরে গিয়ে বাসা বাঁধতে পারে। আর একবার যদি এই ভইরাস শরীরে এসে ঘর বানায়, তাহলে ধুম জর, ক্লান্তি, ক্ষিদে কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা, বমি হওয়া, পেটে যন্ত্রণা, কালো প্রস্রাব হওয়া এবং পেট খারাপ হওয়ার মতো লক্ষণগুলি প্রকাশ পেতে শুরু করে।

৪. ভাইরাল ইনফেকশন:

৪. ভাইরাল ইনফেকশন:

সরাসরি ঘামের সঙ্গে এই ধরনের সংক্রমণের যোগ না থাকলেও ভাইরাল ফিবারে আক্রান্ত রোগী যখন কাশেন বা হাঁচেন, তখন প্রচুর পরিমাণে ভাইরাস তার ত্বকের উপরে ছড়িয়ে পরে, যা পরর্বতি সময় ঘামের সঙ্গে মিশে গিয়ে খুব সহজেই অন্য কাউকে অসুস্থ করে তুলতে পারে।

৫. হার্পিস:

৫. হার্পিস:

এই চর্মরোগটির সঙ্গে তো সবাই পরিচিত। আর একথা নিশ্চয় বলে দিতে হবে না যে এই ত্বকের রোগটি কতটা ভয়ঙ্কর। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল হার্পিস ঘামের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পরতে পারে। তাই এমন রোগীদের একটু সচেতন থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, তার কারণে যাতে অন্য কেউ এমন রোগে আক্রান্ত না হয়ে পারেন। এক্ষেত্রে হার্পিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি যতটা পরবেন ভিড় জায়গায় যাবেন না। সেই সঙ্গে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এড়িয়ে চলারও চেষ্টা করবেন।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

অন্যের ঘামের সঙ্গে রোগের কী সম্পর্ক? এই উত্তর পাবেন এই প্রবন্ধে

Summer is at its peak; drenching in sweat is no anomaly. In the gyms, playgrounds, or in public transport, you come across people who are dripping in sweat. What's worse is that many-a-times, you end up getting thrust against them (in public transport/sports) or touching things that they touched (in public transport/gyms/sports) in a way that may expose you to their sweat. That's coarse, of course, but is, also, not so healthy.
Story first published: Thursday, October 19, 2017, 12:18 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion