For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

বিস্কুটের নামে বিষ খাচ্ছেন না তো?

বাজার চলতি বেশরভাগ জনপ্রিয় বিস্কুট বানাতেই এই উপাদানটিকে কাজে লাগানো হয়ে থাকে। রিফাইন্ড ময়দা কিন্তু শরীরের পক্ষে একেবারেই উপকারি নয়।

By Nayan
|

হালকা ক্ষিদে মানেই ব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসে ছোট্ট একটা বিস্কুটের প্যাকেট। তাতে ক্রিম লাগানো গোলাকার বা লম্বা খাবারটি নিমেষে পেটের মধ্যে হওয়া ছুঁচোর তান্ডবকে কমিয়ে দেয়। যদিও ক্ষিদে নামক ছোঁচদের সঙ্গে লড়াইয়ে ক্রিম নয়, পছন্দ করেন সাধারণ স্বাদের কম ফ্যাট রয়েছে এমন বিস্কুট খেতে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই সুস্বাদু এই খাবরটি কি আদৌ শরীরের পক্ষে উপকারি?

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ৮ থেকে ৮০-এর রোজের সঙ্গী বিস্কুট কিন্তু শরীরের কোনও ভাল করে না। উল্টে মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। শুধু তাই নয়, ধীরে ধীরে দেহের অন্দরে নানাবিধ ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা বাড়িয়ে নানা সব জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পথকেও অনেকাংশে প্রশস্ত করে। ভাববেন না ক্ষতির খাতিয়ান এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।
অনেকে মনে করেন দামি কোম্পানির বিস্কুট খেলে শরীরের কাজে লাগে। এমনটা বাস্তবে আদৌ কতটা হয়, তা নিয়ে কিন্তু সন্দেহ থেকেই যায়। কারণ চমকদার নানা বিজ্ঞাপনে বিস্কুটকে যতটা স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে প্রমাণ করতে চান কোম্পানির মাকেটিং গুরুরা, আদতে এই খাবরটি কিন্তু ততটা স্বাস্থ্যকর নয। বরং শরীরে পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক!

কিভাবে বিস্কুট আমাদের শরীরে ক্ষতি করে থাকে? সাধারণত যে যে উপাদানগুলি দিয়ে বিস্কুট বানানো হয়, সেগুলি একেবারেই শরীরবান্ধব নয়। যেমন ধরুন...

১. ময়দা:

১. ময়দা:

বাজার চলতি বেশরভাগ জনপ্রিয় বিস্কুট বানাতেই এই উপাদানটিকে কাজে লাগানো হয়ে থাকে। রিফাইন্ড ময়দা কিন্তু শরীরের পক্ষে একেবারেই উপকারি নয়। কারণ ময়দা বানানোর সময় গমের অন্দরে থাকা পুষ্টিকর উপাদানগুলি ঝরে পরে যায়। ফলে ময়দা খেলে শরীরে উপকারে তো লাগেই না, উল্টে পেটের নানা ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, রিফাইন্ড ময়দা হঠাৎ করে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে আগামী সময়ে গিয়ে ডায়াবেটিয়ের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই তো চিকিৎসকেরা ময়দা দিয়ে বানানো যে কোনও খাবারকেই বিষের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। এবার তাহলে আপনিই সিদ্ধান্ত নিন, বিস্কুটের নামক বিষটা খাবেন, কী খাবেন না!

২. হাইড্রোজেনেটেড অয়েল:

২. হাইড্রোজেনেটেড অয়েল:

এই উপাদানটির শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা ধীরে ধীরে বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়। সেই সঙ্গে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও দেখা দেয়।

৩. চিনি:

৩. চিনি:

মিষ্টি জাতীয় বিস্কুট বানানোর সময় তাতে প্রচুর মাত্রায় চিনি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর ক্রিম বিস্কুটের কথা তো ছেড়েই দিন। এই পরিমাণ শর্করা রক্তে মিশলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে সুগার লেভেল বাড়তে শুরু করে। আর এমনটা দীর্ঘ সময় ধরে হতে থাকলে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। সেই কারণেই তো যাদের পরিবারে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ইতিহাস রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত মিষ্টি বিস্কুট খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।

৪. ক্যালরির মাত্রা বৃদ্ধি পায়:

৪. ক্যালরির মাত্রা বৃদ্ধি পায়:

অনেকেই মনে করেন বিস্কুট খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না। এই ধরণা কিন্তু একেবারে ঠিক নয়। কারণ বিস্কুটে কম করে হলেও ৫৬ ক্যালরি থাকে। এই পরিমাণ ক্যালরি ঝরাতে প্রায় ৩০ মিনিট অ্যারবিক্স করার প্রয়োজন পরে, যা কেউই করেন না। ফলে মেদ বৃদ্ধি হতে শুরু করে। তাই এবার থেকে ক্ষিদের চোটে মুঠো মুঠো বিস্কুট খাওয়ার আগে একবার অন্তত ভাববেন, ক্ষিদের কমাতে গিয়ে ওজন বাড়াচ্ছেন না তো!

৫. বিস্কুট খেলে ফাইবারের ঘাটতি মেটে না:

৫. বিস্কুট খেলে ফাইবারের ঘাটতি মেটে না:

যে সব বিস্কুটকে ফাইবার সমৃদ্ধ বলে বাজারে বিক্রি করা হয়, তার বেশিরভাগেই যে পরিমাণ ফাইবার থাকে, তা আমাদের দিনের চাহিদার সিকিভাগও পূরণ করে না। তাই এমন বিস্কুট খেলে দেহে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, এমনটা ভেবে নেওয়ার ভুল কাজটা করবেন না।

৬. ক্রিম বিস্কুট নিয়েও প্রশ্ন আছে:

৬. ক্রিম বিস্কুট নিয়েও প্রশ্ন আছে:

বাচ্চারা এই ধরনের বিস্কুট খেতে সাধারণত খুব ভালবাসে। তাই ক্রিম বিস্কুট আদৌ শরীরের পক্ষে উপকারি কিনা, সে বিষযে খোঁজ খবর নেওয়াটা জরুরি। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এমন ধরনের বিস্কুটে প্রচুর মাত্রায় চিনি থাকে। সেই সঙ্গে আর্টিফিশিয়াল রং-ব্যবহারও ব্য়বহার করা হয়, যা অনেক ক্ষেত্রেই শরীরে পেক্ষ ভাল হয় না। তাই সাবধান থাকাটা জরুরি।

প্রবন্ধটি পড়ে যদি উপকার পান, তাহলে বন্ধু-বান্ধবদের এ বিষয়ে জানাতে ভুলবেন না যেন!

Read more about: রোগ শরীর
English summary

বিস্কুট কি সত্যিই শরীরের পক্ষে ভাল? এই প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজা হল এই প্রবন্ধে

Be it the Parle G Biscuits that we have all grown up with or the bourbons that we lick only the cream off; the biscuit has long been a part of life. It is now that it has suddenly been termed as healthy, with extra fiber, fortified with minerals and having no Trans fat. It was such a big part of our life, that did we ever consider whether it was actually healthy before? So, let’s see if biscuits are as healthy as the companies claim them to be.
Story first published: Saturday, August 26, 2017, 13:13 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion