For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

কাঠবাদাম জলে ভিজিয়ে খাওয়া কি উচিত?

এখন খুব সহজেই দোকানে বাজারে কাঠবাদাম কিনতে পাওয়া যায়। তবে, কিছুটা দামের কারণে হোক বা যে কোনও কারণেই হোক, অনেকেই কাঠবাদাম খান না। তবে, কাঠবাদামের উপকারিতা জানার পর এই মানসিকতা পরিবর্তন হতে বাধ্য।

By Swaity Das
|

এখন খুব সহজেই দোকানে বাজারে কাঠবাদাম কিনতে পাওয়া যায়। তবে কিছুটা দামের কারণে হোক বা যে কোনও কারণে অনেকেই কাঠবাদাম খান না। তবে, কাঠবাদামের উপকারিতা জানার পর এই মানসিকতা পরিবর্তন হতে বাধ্য। তবে শুধু কাঁচা কাঠবাদাম নয়, কাঠবাদামের তেলও খুবই উপকারি। কাঠবাদাম শরীর ভালো রাখতে তো বটেই, এমনকি ত্বক এবং চুলের যত্নেও দারুণ কাজ করে।

কাঠবাদামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি উপস্থিত থাকে। এর ফলে, এই প্রকৃতিক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করা মাত্রই নানা দৈহিক সমস্যা যেমন দূর হয়, তেমনই পেটও ভরে। তাহলে আর দেরি না করে পড়ে নেওয়া যাক, কাঠবাদাম কিভাবে আমাদের উপকারে আসে। তবে এ প্রসঙ্গে একটা বলে রাখা ভাল যে, কাঁচা কাটবাদাম কিছু সময় জলে ভিজিয়ে রেখে খেলে আরও উপকার মেলে। যেমন...

১. হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:

১. হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:

কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মূলত কাঠ বাদামের গায়ে যে খোসা থাকে, তা তৈরি হয় এক ধরণের উৎসেচক দিয়ে। তাই যখন কাঠ বাদাম ভেজানো হয়, তখন এর ভেতরের আদ্রতার জন্য বাদামের খোসা নরম হয়ে যায়। একইসঙ্গে মূল বাদামের অংশটিও বেশ নরম হয়ে যায়। এমন বাদাম খেলে খাবার খুব সহজে হজম হয়ে যায়। আসলে ভেজানো কাঠ বাদামে এক ধরণের উৎসেচক থাকে, যা লিপেস নামে পরিচিত। এটি খাবারে থাকা ফ্যাট এবং অন্যান্য জটিল উপাদান সহজে হজম করতে সাহায্য করে।

২. গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত:

২. গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত:

গর্ভাবস্থায় জলে ভেজানো কাঠবাদাম খেলে তা সন্তান এবং মা-দুজনের শরীরই ভাল রাখে। কারণ কাঠবাদাম জলে ভিজিয়ে রাখলে খুব সহজে এর ভেতর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান বেড়িয়ে আসে। ফলে এই বাদাম মা এবং গর্ভস্থ সন্তানের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারে। এমনকি, সন্তানের নানারকম জন্মগত সমস্যাও দূর করতে পারে ভেজানো কাঠবাদাম।

৩. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে:

৩. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে:

প্রতিদিন ৪-৬ টি কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেলে মস্তিষ্কের কাজের উন্নতি ঘটে। এরফলে মস্তিষ্কের কাজের উন্নতি ঘটে। শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপকারি ফ্যাটের উৎস হিসাবে কাঠবাদাম বিশেষ বূমিকা নেয়।

৪. কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখে:

৪. কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখে:

জলে ভেজানো কাঠবাদাম কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে। কাঠবাদামে মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, কাঠবাদামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে। এই ভিটামিনটিও কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

৫. হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে:

৫. হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে:

নিয়ম করে ভেজানো বাদাম খেলে আমাদের হার্ট ভাল থাকে। এর কারণ হল কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম প্রভতি উপকারি উপাদান থাকে, যা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাঠবাদামের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই হার্টের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

৬. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:

৬. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:

আপনার কি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে? তাহলে অবশ্যই কাঠবাদাম খান। এর কারণ হল, কাঠবাদামের মধ্যে খুব কম পরিমাণে সোডিয়াম থাকে এবং বেশি মাত্রায় থাকে পটাশিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিবারণে সাহায্য করে। এছাড়া, কাঠবাদামের ভেতরে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম এবং ফলিক অ্যাসিড রক্ত জমাট বাধার সম্ভাবনা দূর করে।

৭. ডায়াবেটিস রোগকে দূর করে:

৭. ডায়াবেটিস রোগকে দূর করে:

জলে ভেজানো কাঠবাদাম ডায়াবেটিসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে বলে ডায়াবেটিসের হাত থেকে সহজে মুক্তি মেলে।

৮. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে:

৮. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে:

জলে ভেজানো কাঠবাদাম নিয়মিত খেলে ওজন খুব তাড়াতাড়ি কমে। কারণ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। ফলে কয়েকটি কাঠবাদাম খেলেই পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা থেকে বিরত থাকা যায়। আর কম খেলে যে ওজন কমবেই, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না!

৯. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে:

৯. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে:

যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে খুব কষ্ট পান, তাদের জলে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়া উচিত। কারণ কাঠবাদামের মধ্যে যে ফাইবার থাকে, তা শরীরের অপ্রয়োজনীয় বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হতে সময় লাগে না।

১০. ত্বকের যত্নে কাঠবাদাম:

১০. ত্বকের যত্নে কাঠবাদাম:

প্রতিদিন কাঠবাদাম খেলে অথবা মুখে লাগালে ত্বক থাকে চিরনতুন। সেই সঙ্গে ভেজানো কাঠবাদাম বেঁটে যদি মুখে মাখা যায়, তাহলে তা প্রাকৃতিক ক্রিমের মতো কাজ করে। এছাড়াও, ত্বক যদি শুষ্ক হয়, সেই সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে কাঠবাদাম। এক্ষেত্রে কিছুটা ফেটানো ক্রিম, বেঁটে রাখা কাঠবাদামের সঙ্গে মিশিয়ে মাখতে হবে।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

কাঠবাদামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি উপস্থিত থাকে। এরফলে, কাঠবাদাম শরীরে প্রবেশ করা মাত্রেই শরীরএর নানা সমস্যা যেমন দূর হয়, তেমনই এর স্বাদও মুখে লেগে থাকার মতো।

Almonds are everywhere. They are there, adding colors and taste to your desserts. They take up the health quotient of your regular milk. They are a part of your health and beauty regime. Almonds are sneaky little caregivers, and that’s what we love the most about them.
X
Desktop Bottom Promotion