For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

কাঁঠালের বীজ খাওয়া কি উচিত?

নিয়মিত কাঁঠালের বীজ খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টে অনেক উপকার মেলে।

|

নিয়মিত কাঁঠালের বীজ খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টে অনেক উপকার মেলে। আসলে এই বীজটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে থিয়ামিন এবং রাইবোফ্লেবিন। এই দুটি উপাদান এনার্জির ঘাটতি দূর করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, কাঁঠালের বীজে উপস্থিত জিঙ্ক, আয়রন, ক্যালসিয়াম, কপার, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ত্বককে সুন্দর করে তোলার পাশাপাশি একাধিক রোগকে দূরে রেখে শরীরকে সার্বিকভাবে চাঙ্গা করে তুলতেও সাহায্য করে। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন...

১. প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়:

১. প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়:

শরীরকে সচল এবং রোগমুক্ত রাখতে যে যে উপাদনগুলির প্রয়োজন পরে, তার মধ্যে অন্যতম হল প্রোটিন। তাই এই উপাদানটির ঘাটতি যেন কখনও না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কাঁঠালের বীজ। আসলে এই বীজটির অন্দরে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন মজুত থাকে, যা দেহের অন্দরে এই উপাদানটির ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে।

২. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়:

২. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়:

অল্প সময়েই ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠুক, এমনটা যদি চান, তাহলে নিয়মিত কাঁঠালের বীজ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলতে সময় লাগবে না। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে উপস্থিত ফাইবার, দেহের অন্দের একাধিক রোগকে যেমন বাসা বাঁধতে দেয় না, তেমনি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, ত্বকের অন্দরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কাঁঠালের বীজে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর উপাদান নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।

৩. সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়:

৩. সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়:

বর্ষাকালে নানাবিধ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে কাঁঠালের বীজ আপনাকে দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে। আসলে এতে উপস্থিত একাধিক অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এলিমেন্ট জীবাণুদের দূরে রাখার মধ্যে দিয়ে নানাবিধ ফুড-বন এবং ওয়াটার বন ডিজিজের প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এখানেই শেষ নয়, একাদিক কেস স্টাডি একথা প্রমাণ করেছে যে হজমের সমস্যা কমাতেও কাঁটালের বীজ দারুন কাজে আসে।

৪. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখে:

৪. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কাঁঠালের বীজ খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে বেশ কিছু শক্তিশালী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট্রসের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

৫. বলি রেখা কমায়:

৫. বলি রেখা কমায়:

খাতায় কলমে বয়স বাড়ালেও ত্বককে যদি আজীবন তরতাজা এবং সুন্দর রাখতে চান, তাহলে আজ থেকেই ব্যবহার শুরু করুন কাঁঠালের বীজের। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো বীজ নিয়ে প্রথমে গুঁড়ো করে নিন। তারপর সেটি অল্প পরিমাণ দুধের সঙ্গে মিশে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি প্রতিদিন মুখে লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যায়। আর যদি হাতের কাছে মধু থেকে থাকে, তাহলে সেটিও এই পেস্টটি বানানোর সময় কাজে লাগাতে পারেন। দেখা গেছে পেস্টটির সঙ্গে মধু যোগ করলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য আরও বৃদ্ধি পায়।

৬. অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমে:

৬. অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমে:

অ্যানিমিয়ায় রোগীর সংখ্যার দিক থেকে গত এক দশকে সারা বিশ্বের মধ্যে ভারত এক নম্বরে উঠে এসেছে। আর এত সংখ্যক রোগীর মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা এবং বাচ্চা। তবে মজার বিষয় কি জানেন, এই অবস্থার পরিবর্তনে সক্ষম এমন উপায় হাতের কাছে থাকলেও বেশিরভাগ মানুষই সে সম্পর্কে জানেন না। কী সেই উপায়? গবেষণা বলছে কাঁঠালের বীজে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা খুব অল্প দিনেই রক্তাল্পতার মতো সমস্য়া দূর করতে দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে। আর কাঁঠালের বীজের দামও এমন কিছু নয়। তাই সরকারের উচিত এই বিষয়ে শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের মানুষকেও সচতন করে তোলা। কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটিই পারে আমাদের দেশে অ্যানিমিয়া রোগের প্রকোপ কমাতে।

৭. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৭. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

পরিমাণ মতো কাঁঠালের বীজ নিয়ে প্রথমে কিছুটা সময় রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর সেগুলি বেটে নিয়ে চটজলটি গুঁড়ো করে ফেলুন। এই গুঁড়ো পাউডারটি খেলে নিমেষে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা কমে যায়। সেই সঙ্গে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। আসলে এতে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮. স্ট্রেসের মাত্রা কমায়:

৮. স্ট্রেসের মাত্রা কমায়:

অফিসে কাজের চাপ এমন বেড়েছে যে মাথা থেকে ধোঁয়া বেরতে শুরু করেছে? ফিকার নট! হাতের কাছে কাঁঠালের বীজ আছে কি? যদি না থাকে, তাহলে এক্ষুনি কিনে এনে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন নিমেষে মানসিক চাপ কমে যাবে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন এবং অন্যান্য উপকারি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যা মস্তিষ্কের অন্দরে কেমিকেল ব্যালেন্স ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে স্ট্রেস কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।

৯. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

৯. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

কাঁঠালের বীজে উপস্থিত ভিটামিন এ, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি একাধিক চোখ সম্পর্কিত সমস্যাকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বুড়ো বয়সে যদি চশমা ব্য়বহার করতে না চান, তাহলে আজ থেকেই কাঁঠালের বীজকে সঙ্গে রাখতে শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Jackfruits are delicious but we never think twice abut their seeds do we. Here are some amazing benefits of jackfruit seeds!

While you love to gorge on jackfruit, the yummy and exotic fruit, you throw away its seeds, without even realizing the amount of nutrition and protein packed in there. The seeds of jackfruit can be collected from ripe fruit and can be also be sun dried for its later use. There are enormous benefits of jackfruit seeds that you can never run short of counting. So we decided to compile the best known benefits of jackfruit seeds for you. After all, you must know why jackfruit is jack of all fruits. You would never throw a jackfruit seed away once you learn of their endless benefits. Read on!
Story first published: Saturday, April 7, 2018, 13:13 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion