Just In
- 2 hrs ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 18 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 19 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 22 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
আমলা রসে মধু মেশালে কি হতে পারে জানেন?
সাধারণত যে যে প্রকৃতিক উপাদানগুলি দিবা-রাত্র শরীরের পাহারা দিয়ে থাকে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল আমলকি এবং মধু।
দেশের সুরক্ষার কথা ভেবে বর্ডারে যেমন সেনা মোতায়েম করা হয়। তেমন শরীরকে বাঁচাতে প্রকৃতির হাতেও এমন কিছু সেনা জওয়ান রয়েছে, যারা যে কোনও ধরনের বিদেশি আক্রমণের হাত থেকে শরীরকে প্রতিনিয়ত রক্ষা করে থাকে। কিন্তু মজার বিষয় কি জানেন আনেকেই এইসব বিষয়ে খোঁজ খবর রাখেন না।
সাধারণত যে যে প্রকৃতিক উপাদানগুলি দিবা-রাত্র শরীরের পাহারা দিয়ে থাকে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল আমলকি এবং মধু। সেই কারণেই মনে কোনও ভয় না পুষে আজ থেকেই এই দুটি প্রকৃতিক উপাদানকে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। আসলে আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং উপকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেখানে মধু নানাবিধ ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ। সেই কারণেই তো প্রতিদিন আমলা রস এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে নানা উপকার মেলে। যেমন...
১. জ্বরের প্রকোপ কমায়:
চিকিৎসকেদের মতে এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিত মধু এবং আমলা রস খেলে জ্বরের দাপট কমে যায়। সেই সঙ্গে হাঁচি-কাশি এবং জ্বর ঠোসার প্রকোপও হ্রাস পেতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আগে অনেকেরই গলায় ব্যথা হয়ে থাকে। এমন ধরনের সমস্যা কমাতেও আমলা রস এবং মধু দারুন কাজে আসে।
২. কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়:
শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বাড়ার কারণে চিন্তায় আছেন? তাহলে আজ থেকেই আমলা এবং মধু খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ মধু এবং আমলা রসে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপকারি অ্যামাইনো অ্যাসিড রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. ডায়াবেটিস রোগকে লাগাম পরায়:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত আমলা রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। তাই তো যারা ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা সুস্থ থাকতে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সাহায্য নিতেই পারেন। তবে একবার আমলা রস খাওয়া শুরু করার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না যেন!
৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:
আমলকি প্রকৃতিতে অ্যালকেলাইন। যে কারণে আমলা রস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে উপস্থিত বর্জ পদার্থ বেরিয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ডায়জেস্টিভ সিস্টেম এতটাই কর্মক্ষম হয়ে ওঠে যে হজম শক্তি বাড়তে সময়ই লাগে না।
৫. লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:
শরীরের অন্দরে যেকটি ভাইটাল অর্গ্যান রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল লিভার। সেই কারণেই তো এই অঙ্গটিক সবদিক থেকে বাঁচিয়ে রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আমলকি এবং মধু। কিভাবে? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে আমলা রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই উপাদানটি লিভারের ক্ষতি করতে পারে এমন টক্সিক উপাদানদের শরীরে থেকে বার করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই তো যারা নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করেন, তারা লিভারকে নানবিধ ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে আমলার রস খেতে ভুলবেন না যেন!
৬. পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি দূর করে:
শরীরকে সচল রাখতে দৈনিক যে যে ভিটামিন এবং মিনারেলের প্রয়োজন পরে, তার বেশিরভাগই সরবরাহ করে আমলা। সেই সঙ্গে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি এবং ফসফরাসের মতো উপাদানের ঘাটতিও দূর করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
৭. চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়:
চুলের গঠনে প্রোটিনের অবদানকে অস্বীকার করা সম্ভব নয়। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে আমলকিতে যেমন প্রোটিন রয়েছে, তেমনি রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যামাইনো অ্যাসিড। সেই কারণেই তো নিয়মিত আমলকি খাওয়ার অভ্যাস করলে চুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে হ্রাস পায়।
৮. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:
আমলা রস এবং মধু মিশিয়ে বানানো মিশ্রনে তুলে চুবিয়ে তা দিয়ে যদি ভাল করে মুখ পরিষ্কার করা যায়, তাহলে কালো ছোপ ছোপ দাগ, ব্রণর দাগ এবং বলিরেখা কমে। সেই সঙ্গে ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়।