Just In
- 9 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 9 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 12 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 15 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
আপনাকে কি খুব মশা কামড়ায়? এই ৫ টা কারণ এক্ষেত্রে দায়ি হতে পারে!
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে "ও" বিভাগের রক্ত যাদের শরীরে বইছে তাদের বেশি মশা কামড়ায়। আর "এ" বিভাগের রক্ত যাদের তাদের কামড়ায় কম।
বারে বারে বলেছেন। অনেককে বলেছেন। কিন্তু কেউই তপনবাবুকে বিশ্বাস করতে চান না। সবাই ভাবেন তপন ঘোয মিথ্যা কথা বলছেন। তাই তো অনেকে পিঠ পিছে বছর ৪০ এর এই আপাত শান্ত ভদ্রলোককে মজা করে "মশা ম্যান" নামেও ডেকে থাকেন। আসলে ঘটনাটা হল তপনবাবুকে নাকি সারাক্ষণই মশা কামড়ায়। কিন্তু মশা কামড়ানো তো স্বাভাবিক ঘটনা। এই নিয়ে এত মজা করার কী আছে! আসলে বাকি কাউকে যখন একটা মশাও জ্বালাতন করে না, তখনও তপনবাবুর চারিদিকে নাকি মশারা দামামা বাজায়। তাই তো কেউই তপনবাবুর এই মশা অধ্যায়কে সেভাবে গুরুত্ব দিনে চান না।
সত্যিটা কী জানেন, তপনবাবু একটা কথাও মিথ্যা বলছেন না। বাস্তবিকই কাউকে কাউকে একটু বেশি মাত্রায় মশা কামড়ে থাকে। এটা একেবারেই কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। আসলে আমাদের শরীরের অন্দরে ঘটে যাওয়া বিশেষ কিছু বদলের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আমাদের অজান্তেই শরীরে কিছু বদল ঘটে। ফলে মশারা সেই বদলের কারণে হওয়া শারীরিক পরিবর্তনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বেশি মাত্রায় কামড়ানো শুরু করে।
এক্ষেত্রে কী কী কারণ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে? সেই উত্তর খোঁজারই চেষ্টা করা হয়েছে বাকি প্রবন্ধ জুড়ে।
১. আপনার রক্তের বিভাগ কী?
কেন এমন প্রশ্ন করলাম জানেন? কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে "ও" বিভাগের রক্ত যাদের শরীরে বইছে তাদের বেশি মশা কামড়ায়। আর "এ" বিভাগের রক্ত যাদের তাদের কামড়ায় কম। আর "বি" বিভাগের রক্ত যাদের তাদের সঙ্গে মশার সেভাবে কোনও ঝামেলা নেই। তাই তো এদের সেভাবে কামড়ায় না। কিন্তু মশা রক্তের বিভাগ সম্পর্কে জানতে পারে কীভাবে? আসলে আমাদের শরীর থেকে প্রতি মুহূর্তে নানা ধরনের সিগনাল বেরতে থাকে। যে সিগনালগুলিকে বিশ্লেষণ করেই মশারা জানতে পেরে যায় কার শরীরে কোন বিভাগের রক্ত বইছে।
২. শরীরে কার্বোন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেছে নাকি?
সহজ একটা ফর্মুলা আছে। সেটা হল- যার শরীর থেকে যত বেশি পরিমাণে কার্বোন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হবে, তত তাকে বেশি বেশি করে মশা কামড়াবে। কারণ কার্বোন-ডাই-অক্সাইডের প্রতি মশাদের বিশেষ এক ধরনের আকর্ষণ রয়েছে। সেই কারণেই লক্ষ করে দেখবেন বাচ্চাদের তুলনায় বড়দের বেশি মশা কমড়ায়। কারণ প্রাপ্ত বয়স্কদের শরীরে থেকে বেশি মাত্রায় এই গ্যাসটি নির্গত হয়। প্রসঙ্গত, গর্ভবতী মহিলাদেরও এই কারণে বেশি মাত্রায় মশা কামড়ায়। কারণ ভাবী মায়েদের শরীর থেকে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি মাত্রায় কার্বোন-ডাই-অর্সাইড বেরয়।
৩. বেশি খেলা-ধুলো করলে মশা কামড়াবে বেশি করে:
গরম আবহাওয়া মশাদের খুব পছন্দের। তাই তো আমাদের শরীর যখনই বেশি মাত্রায় গরম হয়ে যায়, তখনই বেশ বেশি করে মশারা আক্রমণ করে। প্রসঙ্গত, খেলা-ধুলো বা শরীরচর্চা করার সময় যেহেতু শরীরের চাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই এই সময় আমাদের প্রতি মশাদের ভালবাসাও বৃদ্ধি পায়।
৪. বেশি ঘামলে মশা কামড়াবে বেশি:
আসলে ঘামার সময় আমাদের শরীর থেকে ল্যাকটিক অ্যাসিড, ইউরিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়া প্রভৃতি উপাদান ঘামের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে আসে। যাদের এই সব উপাদান বশি মাত্রায় বেরয় তাদের বেশি বেশি করে মশা কামড়ায়। তাই এবার থেকে ঘামার সময় সাবধান থাকবেন। না হলে কিন্তু মশারা আপনার "জিনা হারাম" করে দেবে।
৫. আপনার ত্বক কেমন:
শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ত্বকের অন্দরেও এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আর এমনটা হলেই মশরা বেশি বেশি করে আক্রমণ করতে শুরু করে। কারণ হল, মশারা কোলেস্টেরল খেতে খুব ভালবাসে। তাই তো লোভে পরে হাই কোলেস্টেরলে ভুগতে থাকা রোগীদের শরীরের দিকে মশারা বেশি করে উড়ে যেতে শুরু করে। তাই যদি লক্ষ করেন বাকিদের তুলনায় আপনাকে বেশ মশা কামড়াচ্ছে, তাহলে একবার প্রয়োজনীয় টেস্ট করে দেখে নেবেন রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক আছে কিনা।
৬. বিয়ার বেশি খেলে মশা বেশি করে কামড়াবে:
এমন ধরনের পানীয় খাওয়ার পর পরই আমাদের শরীর থেকে ইথানল নামে একটি কম্পাউন্ড বেরতে শুরু করে। যার গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে মশারা বেশি বেশি করে কামড়াতে শুরু করে।