For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

প্রতিদিন আচার খেলে কী হতে পারে জানা আছে?

আচার ছাড়া খাদ্যরসিকদের যে কোনও মিলই কেমন যেন ইনকমপ্লিট থেকে যায়।

|

চোখ বন্ধ করে একবার ভাবুন তো গরম গরম ভাতে মুসুর ডাল, সঙ্গে টক-ঝাল আমের আচার! উফফ...! ভাবলেই জিভে কেমন জল এসে যায়, তাই না?

এই কারণেই তো আচার ছাড়া খাদ্যরসিকদের যে কোনও মিলই কেমন যেন ইনকমপ্লিট থেকে যায়। কিন্তু আপনাদের জানা আছে কি নানা স্বাদের আচার, খাবারের স্বাদ বাড়াতে সচিনের মতো ব্যাট করলেও এই মুখরচক খাবারটি কিন্তু একেবারেই শরীর বান্ধব নয়। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে আচারে উপস্থিত তেল এবং অন্যান্য নানাবিধ উপাদান, শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের অন্দরে এত মাত্রায় ক্ষতিসাধন করে যে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়। ফলে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে একাধিক মারণ রোগ। এমনকী হার্টের বারোটা বেজে যেতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে আচার বানাতে যে পরিমাণ তেল এবং নুন ব্যবহার করা হয়, তা শরীরে প্রবেশ করার পর শুধু মাত্র যে হার্টের ক্ষতি করে, এমন নয়, সেই সঙ্গে দেহের বাকিসব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলে। ফলে যে যে ক্ষতি হয়, সেগুলি হল...

১. ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে:

১. ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে:

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট অনুসারে ক্যালরি ইনটেকের পরিমাণ কখনই ৩৭. ৫ গ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। কিন্তু প্রতিদিন মিষ্টি আচার খাওয়া শুরু করলে শরীরে ক্যালরি প্রবেশের পরিমাণ মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। ফলে ডায়াবেটিসের মতো রোগের খপ্পরে পরার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই তো প্রতিদিন আচার খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।

২. কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হয়:

২. কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হয়:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে আচারে উপস্থিত নানাবিধ ক্ষতিকর উপাদান কিডনির উপর মারাত্মক চাপ ফেলতে থাকে। সেই সঙ্গে আচারের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করা অতিরিক্ত নুন বের করে দেওয়ার জন্য়ও কিডনিকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ধীরে ধীরে এই অঙ্গটির কর্মক্ষমতা কমে যেতে থাকে। সেই সঙ্গে নানাবিধ কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। তাই সাবধান!

৩. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়:

৩. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়:

আচার বানাতে অনেক বেশি মাত্রায় তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এই পরিমাণ তেল শরীরে প্রবেশ করলে কি হতে পারে জানা আছে? এমনটা হতে থাকলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই করোনারি আর্টারি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও বাড়ে। তাই তো ভুলেও বেশি মাত্রায় আচার খাওয়া চলবে না। খুব ইচ্ছা করলে দিনে ১-২ চামচ চলতেই পারে। কিন্তু তার বেশি আচার খাওয়া মানেই কিন্তু হার্টের বিপদ!

৪. পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়:

৪. পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়:

অনেকেই মনে করেন ফল এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান দিয়ে আচার বানানো হয় বলে এই মুখরোচক খাবারটি খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। বাস্তবে কিন্তু এমনটা একেবারেই হয় না। কারণ আচার বানানোর সময় যে পদ্ধতিতে ফল এবং সবজিকে শুকিয়ে নেওয়া হয় তাতে এইসব প্রকৃতিক উপাদানগুলির শরীরে উপস্থিত বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদানই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে আচার খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি তো দূর হয়ই না, উল্টে অতিরিক্তি মাত্রায় তেল এবং নুনের প্রবেশ ঘাটার কারণে নানাবিধ শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

৫. নানাবিধ গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় সংক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে:

৫. নানাবিধ গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় সংক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে:

আচারে প্রচুর পরিমাণে মশলা থাকে। তাই তো নিয়মিত মাত্রাতিরিক্ত হারে আচার খেলে তা পেটের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সাবধান থাকাটা জরুরি। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খেলে তা যেমন সহজে হজম হতে চায় না, ঠিক তেমনিই আচারও শরীরে প্রবেশ করার পর হজম ক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গ্যাস-অম্বল এবং বদ-হজমের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।

৬. মেটাবলিজম রেট মারাত্মকভাবে কমে যায়:

৬. মেটাবলিজম রেট মারাত্মকভাবে কমে যায়:

আচারে থাকা তেল এবং নুন বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করতে শুরু করেল স্টমাক ফাংশন বিগড়ে যায়। সেই সঙ্গে পাচক রসের ক্ষরণও ঠিক মতো হয় না। ফলে একদিকে যেমন নানাবিধ পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়, তেমনি মেটাবলিজম কমে যাওয়ার কারণে ক্ষিদেও কমে যেতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে বেশি মাত্রায় আচার খেলে ডায়ারিয়ার মতো রোগে বারংবার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

৭. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়:

৭. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়:

আচারে তেল এবং মশলার পাশপাশি প্রচুর মাত্রায় নুনও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই পরিমাণ নুন শরীরে প্রবেশ করতে থাকলে দেহের অন্দরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সোডিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আর এমনটা হওয়া মাত্র ব্লাড ভেসেলের দেওয়ালের উপর এত মাত্রায় চাপ তৈরি হতে থাকে যে রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরে জলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে আরও নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো যারা ইতিমধ্যেই হাই ব্লাড প্রেসারের মতো রোগে ভুগছেন, তারা ভুলেও আচার খাবেন না যেন!

৮. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে:

৮. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে:

একাধিক গবেষণায় এমনটা দেখা গেছে বেশি মাত্রায় ঝাল আচার খেলে পেটের অন্দরের অবস্থা এতটা খারাপ হয়ে যায় যে এই বিশেষ ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই খাদ্যরসিক বাঙালি আচার খাওয়ার ক্ষেত্রে স্বাদগ্রন্থীর কথা শুনলে কিন্তু বিপদ! তাই ডাল বা পরটার সঙ্গে অল্প বিস্তর আচার খাওয়া চলতেই পারে। কিন্তু ভুলেও বেশি মাত্রায় খাওয়া চলবে না।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Are Pickles Bad For You? Side Effects Of Eating Too Many

When you eat very salty foods like a pickle, it alters your sodium balance. The kidney function slows down and less water is drained from your body. In turn, this causes your blood pressure to rise. If you already have a cardiovascular problem or hypertension, this rise in blood pressure should be a red flag. It can bring on a stroke or a fatal cardiac event.
X
Desktop Bottom Promotion