Just In
- 43 min ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 16 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 18 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 20 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
আচ্ছা ডিম নিরামিষ না আমিষ খাবার বলতে পারেন?
এই নিয়ে সেই মহাভারতের সময় থেকে বিতর্ক চলছে সারা ভারতজুড়ে। একদল বলেন নিরামিষাশীরা নিশ্চিন্তে ডিম খেতে পারেন, আর আরেক দল একেবারে উল্টো কথা বলে থাকেন। কিন্তু আর নই! এবার এই বিতর্ক থামতে চলেছে বন্ধুরা।
এই নিয়ে সেই মহাভারতের সময় থেকে বিতর্ক চলছে সারা ভারতজুড়ে। একদল বলেন নিরামিষাশীরা নিশ্চিন্তে ডিম খেতে পারেন, আর আরেক দল একেবারে উল্টো কথা বলে থাকেন। কিন্তু আর নই! এবার এই বিতর্ক থামতে চলেছে বন্ধুরা। কারণ অবশেষে ডিম আমিষ, না নিরামিষ সে উত্তর দিতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশেষজ্ঞরা নানা দিক বিবেচনা করে, হাজারও পরীক্ষা করে একথা মেনে নিয়েছেন যে ডিম একেবারেই নিরামিষ খাবার। তাই যারা আমিষ খাবার খান না, তারা নিশ্চিন্তে ডিম খেতে পারেন। আর যদি বৈজ্ঞানিক যুক্তিকেও মানতে না চান, তাহলে একবার এই প্রবন্ধে চোখ রাখুন। তাহলেই বুঝে যাবেন প্রতিদিন ডিম খাওয়াটা কতটা জরুরি। আসলে ডিম যেহেতু এক প্রাণীর শরীর থেকে আসে, তাই অনেকেই একে আমিষ খাবারের তালিকায় ফেলে থাকেন, যা একেবারেই ভিত্তিহীন ধারণা। কারণ আমরা যখন ডিম খাই, তখন তাতে কোনওভাবেই এমব্রায়ো থাকে না। তাই ডিমের মাধ্যমে আমরা কোনও প্রাণীকে খেয়ে ফলছি, এমনটা ভেবে নেওয়াটা একেবারেই ভুল হবে। তাই শরীরকে বাঁচাতে এবং রোগমুক্ত থাকতে দয়া করে ডিম খাওয়া শুরু করুন। কারণ ডিমের অন্দরে উপস্থিত প্রোটিন সহ একাধিক উপকারি উপাদান শরীরের নানাভাবে উপকার লেগে থাকে। যেমন ধরুন...
১. শরীরের গঠনে সাহায্য করে:
ডিমের অন্দরে থাকা প্রোটিন এবং এসেনশিয়ান ভিটামিন, শরীরের পুষ্টির দাহিদা মেটানোর মধ্যে দিয়ে ভিতর থেকে শরীরকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই কারণেই তো বাচ্চাদের প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকৎসকেরা। প্রসঙ্গত, কোষেদের গঠনে প্রোটিনের প্রয়োজন পরে। অর্থাৎ দৈহিক বৃদ্ধি কখনও প্রোটিনকে ছাড়া সম্ভব নয়। তাই সুস্থ শরীর পেতে চাইলে ডিমের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে।
২. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:
অনেকেই মনে করেন বেশি মাত্রায় ডিম খেলে শরীরের ক্ষতি হয়, এই ধারণা কিন্তু একেবারে ভুল। কারণ ডিমের অন্দরে থাকা কোলেস্টেরল মোটেই হার্টের ক্ষতি করে না, বরং একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ডিমের মধ্যে যে কোলেস্টেরল থাকে, তা আসলে উপকারি কোলেস্টেরল। তাই তো নিয়মিত ডিম খেলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে স্ট্রোকের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। প্রসঙ্গত, অ্যাথেরোস্কেলেরোসিস এবং ব্লাড ক্লটের মতো সমস্যাকে দূরে রাখতেও ডিম বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. ওজন হ্রাসে সাহায্য করে:
অতিরিক্ত ওজনের কারণে যদি চিন্তায় থাকেন, তাহলে ডিম খেতে ভুলবেন না যেন! কিন্তু ডিমের সঙ্গে ওজন কমার কী সম্পর্ক? বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে ডিমের অন্দরে থাকা প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করার পর এত মাত্রায় পেট ভরিয়ে দেয় যে সহজে ক্ষিদে পায় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমে। সেই সঙ্গে কমে ওজনও।
৪. ব্রেন পাওয়ার বাড়ায়:
ডিমের অন্দরে কোলিন নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশ করার পর নিউরনদের কর্মক্ষমতা এত মাত্রায় বাড়িয়ে দেয় যে ব্রেন পাওয়া বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বুদ্ধির পাশাপাশি মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার একটা বড় অংশের শরীরে কোলিনের ঘাটতি রয়েছে। যার পিছনে মূল কারণ হল ডিমকে নিরামিষ খাবার ভেবে দূরে রাখে।
৫. ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বলে একটি উপাদান রয়েছে, যা শরীর থেকে টক্সিক উপাদানদের বের করে দিয়ে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়। আর এই উপাদানটি ঠেসে ঠেসে ভরা রয়েছে ডিমে। তাই প্রতিদিন ডিম খেলে কতটা উপকার পাওয়া যায়, তা নিশ্চয় বুঝে গেছেন।
৬. দৃষ্টি শক্তির উন্নতি ঘটায়:
ডিমে প্রচুর মাত্রায় রয়েছে ভিটামিন এ। এই ভিটামিনটি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যাদের দিনের বেশিরভাগ সময়ই কম্পিউটারে কাজ করতে হয়, তাদের নিয়ম করে ডিম খাওয়া উচিত। কারণ এমনটা করলে কম বয়সেই চশমার উপর ভরসা করার আশঙ্কা কমে।