Just In
সকালে ঠিক করে পটি হয় তো? নাহলে কাজে লাগান এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলিকে!
এই প্রবন্ধে এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা পেট পরিষ্কার তো করবেই, সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের জ্বালা কমাতেও সাহায্য় করবে।
এমন অনেকেই আছেন যাদের সকালটা একেবারে ভাল যায় না। কীভাবে যাবে বলুন, পেট যে ঠিক মতো পরিষ্কার হয় না। তাই অগত্যা ভারসা রাখতে হয় কখনও কবঝার, তো কখনও অ্যালোপ্যাথি ওষুধের উপর। কিন্তু তাতে খুব একটা যে কাজ হয়, এমন নয়। তাই তো এই প্রবন্ধে এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা পেট পরিষ্কার তো করবেই, সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের জ্বালা কমাতেও সাহায্য় করবে। তাই এবার থেকে সকালে ঠিক মতো পটি না হলে, আর ভুরি ভুরি ট্যাবলেট খাবেন না, বরং কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন এইসব সহজ পদ্ধতিগুলিকে। এমনটা করলে উপকার যে মিলবে, তা হলফ করে বলতে পারি।
কী কী উপাদানকে এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে?
১. ত্রিফলা:
ঠিক মতো পেট পরিষ্কার না হওয়ার কারণে কি সকালটা বেজায় খারাপ যায়? তাহলে বন্ধু কাল সকালে উঠে খালি পেটে ত্রিফলা গুঁড়ো খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটি কোলনের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে যে কোনও ধরনের পেটের রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
২. মধু:
প্রতিদিন মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাহলেই দেখবেন কনস্টিপেশন এবং পটি পরিষ্কার না হাওয়ার মতো সমস্যা একেবারে কমে যাবে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে এমন কিছু রয়েছে, যা জোলাপের মতো কাজ করে। ফলে মধু খাওয়া মাত্র পটি পরিষ্কার হতে শুরু করে দেয়। এক্ষেত্রে দিনে ৩ বার, এক গ্লাস গরম জলে ১ চামচ করে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেতে হবে।
৩. পালং শাক:
প্রতিদিন এই শাকটি খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। তাই যদি কনস্টিপেশনের সমস্যা থাকে তাহলে হয় রান্না করে, নয়তো কাঁচা অবস্থাতেই পালং শাক খাওয়া শুরু করে দিন। দেখবেন অল্প দিনেই কষ্ট কমে যাবে। প্রসঙ্গত, আরেক ভাবে পালং শাককে কাজে লাগানো যেতে পারে। এক গ্লাস জলের সঙ্গে ১ গ্লাস পালং শকের রস দিনে দুবার করে খেলে কনিস্টেপেশনের কোনও নাম গন্ধই থাকে না।
৪.লেবু:
এতে উপস্থিত লেমোনাস, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি পেট পরিষ্কার রাখতে দারুন কাজে আসে। তাই কখনও যদি দেখেন ১-২ দিন ধরে পটি ঠিক মতো হচ্ছে না তাহলে ঝটপট কয়েক গ্লাস লেবুর রস খেয়ে নেবেন। দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে ফল পাবেন। প্রসঙ্গত, গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন।
৫. ঘি:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে পরিমাণ মতো ঘি মিশিয়ে যদি খাওয়া যায়, তাহলে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটার কারণে নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমে নিমেষে।
৬. মৌরি:
একথা তো সবাই জানেন যে পেট টান্ডা করতে মৌরির কোনও বিকল্প হয় না। কিন্তু একথা কি জানা ছিল যে বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখতেও এটি সাহায্য করে। আসলে ডায়জেস্টিভ ট্র্যাকের যে পেশি রয়েছে তার সঞ্চালন যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে মৌরি। ফলে বদ-হজম, পেট গোলানো, কনস্টিপেশন এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রমের মতো নানাবিধ রোগ একেবারে সেরে যায়। এক্ষেত্রে এক কাপ মৌরি নিয়ে ভাল করে ভেজে ফেলতে হবে। তারপর ভাজা মৌরিগুলি গুঁড়ো করে নিয়ে একটা শিশিতে স্টোর করে রাখবেন। প্রতিদিন এই গুঁড়ো মৌরি হাফ চামত করে গরম জলে গুলে খেলে নিমেষে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
৭.আঙুর:
এতে উপস্থিত অদ্রবণীয় ফাইবার, পটি পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। তাই বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক না হলেই দিনে হাফ বাটি কাঁচা আঙুর অথবা আঙুরের রস খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলেই দেখবেন সকালগুলো সুন্দর হয়ে উঠবে।
৮. রেড়ির তেল:
ক্ষুদ্রান্ত এবং বৃহদন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিত রাখতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ চামচ রেড়ির তেলে খেলেই দেখবেন পেট খালি করে পটি হয়ে যাবে।
৯. তিসি বীজ:
এতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে ফাইবার এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা পেট পরিষ্কার রাখতে নানাদিক থেকে সাহায্য করে। তাই পটি পরিষ্কার হোক, বা না হোক, প্রতিদিন তিসি বীজ জলে গুলে পান করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। প্রসঙ্গত, এক গ্লাস জলে ১ চামচ তিসি বীজ গুলে কম করে ২-৩ ঘন্টা রেখে দিন। রাতে শুতে য়াওয়ার আগে পান করুন সেই জল। দেখবেন সকালে উঠে পেট পরিষ্কার করে পটি হয়ে যাবে।