For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

নিয়মিত টমাটো খাওয়ার অভ্যাস আছে তো? না হলে কিন্তু...!

নিয়মিত ২-৩ টে করে টমাটো খাওয়া যায় তাহলে দারুন উপকার মেলে। কারণ এমনটা করলে শরীরে ভিটামিন এ, সি এবং কে-এর পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে ভিটামিন বি৬, ফলেট এবং থিয়ামিনের মতো উপাদানের মাত্রাও বাড়ে।

By Nayan
|

সুমন গাঙ্গুলি। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। মেধাবী ছাত্র, কর্মজীবনেও তুমুল সফল। কিন্তু সমস্যা একটা জায়গাতেই, সুমনের পেশাটাই এমন যে হঠাই-ই তাকে চেন্নাই চলে যেতে হল। কম করে ১ বছর তো সেখানে থাকতেই হবে! এদিকে ভাত-মাছ খেয়ে বেড়ে ওঠা, বেজায় পেটুক সুমন রান্না জানে না। তাই যা হওয়ার তাই হল! দিনের পর দিন পছন্দের খাবার না পেয়ে ভাঙতে শুরু করল শরীর। সে সময়ই এক বাঙালি বন্ধুর পরামর্শে দক্ষিণী খাবারের পাশে শুরু হল টমাটো খাওয়া। ২৬-এর সুমন আজ ৪৫ এর কোটায়। কিন্তু সকাল সকাল ২-৩ টে টমাটো খেয়ে পেট ভরানোর অভ্যাস আজও ছাড়েনি সুমন। কেন জানেন?

যেদিন থেকে বঙ্গ তনয়টি টমেটোর প্রেম পরেছিল, সেদিন থেকেই বদলে গিয়েছিল তার জীবন। ভঙ্গুর শরীর বল ফিরে পাচ্ছিল। সেই সঙ্গে আরও সব শারীরিক উপকারিতা মিলতে শুরু করেছিল। তাই তো আজও সুযোগ পেলে টমাটোর গুণাগুণ নিয়ে বন্ধুদের জানিয়ে থাকেন সুমন। আপনিও বা এমন পুষ্টিবর্ধক খাবারের উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হবেন কেন! তাই তো ঝটপট প্রবন্ধটি পড়ে ফেলে জেনে নিন প্রতিদিন টমাটো খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। লেখাটি পড়তে পড়তে ছোট্ট-গোলগাল এই সবজিটি সম্পর্কে যে আপনার ধরণাই বদলে যাবে, তা হলফ করে বলতে পারি।

নানা পদ বানানোর সময় এই সবজিটির ব্যবহার বাঙালিরা প্রায়শই করেই থাকেন। কিন্তু কাঁচা টমাটো খাওয়ার অভ্য়াস সচরাচর পূর্ব ভারতে খুব একটা চোখে পরে না। কিন্তু একথা বলতে দ্বিধা নেই যে রান্নার পরিবর্তে যদি কাঁচা অবস্থায় নিয়মিত ২-৩ টে করে টমাটো খাওয়া যায় তাহলে দারুন উপকার মেলে। কারণ এমনটা করলে শরীরে ভিটামিন এ, সি এবং কে-এর পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে ভিটামিন বি৬, ফলেট এবং থিয়ামিনের মতো উপাদানের মাত্রাও বাড়ে। ফলে শরীরের নানাবিধ উপকার হয়। যেমন ধরুন...

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে:

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে:

নিয়মিত ১-২ করে টমাটো খাওয়া শুরু করলে শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এই ভিটামিনটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতিতে সাহায্য করে। ফল সি ভিটামিনের পরিমাণ শরীরে যত বাড়ে, তত রোগ ভোগের আশঙ্কা হ্রাস পেতে শুরু করে। এবার বুঝেছেন নিশ্চয় যে রোজের ডায়েটে এই সবজিটি রাখলে কতই না উপকার মেলে।

২.ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর হয়:

২.ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর হয়:

যেমনটা আগেও অলোচনা করা হয়েছে যে রক্তিম বর্ণের গোলগাল এই সবজিটির অন্দরে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি ভিটামিনের সন্ধান পাওয়া যায়, যেমন ধরুন ভিটামিন এ, কে, বি১,বি৩,বি৫,বি৭ এবং সি। সেই সঙ্গে টমাটোর শরীরে প্রচুর মাত্রায় মজুত থাকে ফলেট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিঙ্ক এবং ফসফরাসের মতো খনিজও। তাই নিয়মিত টমাটো খেলে শরীরের যে নানাবিধ উপকার হয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

৩. চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

৩. চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

চুলের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতে ভিটামিন-এ-এর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর এই উপাদানটি প্রচুর মাত্রায় রয়েছে টমাটোতে। তাই দীর্ঘদিন যদি চুলকে সুন্দর রাখতে চান, তাহলে কী করণীয়, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না। প্রসঙ্গত, দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতেও ভিটামিন-এ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

৪. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

টমাটোয় উপস্থিত লাইকোপেন নামে একটি উপাদান ত্বকের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে আরেকভাবেও এই সবজিটিকে কাজে লাগাতে পারেন। কীভাবে? ১০-১২ টা টমাটো নিয়ে ভেতরটা পরিষ্কার করে নিন। তারপর টমনাটোর স্কিনটা ভুল করে সারা মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পরে ভাল করে মুখটা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে কয়েকবার এমনভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন বলিরেখা কমতে শুর করবে। সেই সঙ্গে স্কিনের ঔজ্জ্বল্যও বৃদ্ধি পাবে।

৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর হয়:

৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর হয়:

কখনও খাবারের সঙ্গে তো কখনও অন্যভাবে আমাদের শরীরে টক্সিক উপাদানের প্রবেশ ঘটে। এই ক্ষতিকারক উপাদানগুলি যাতে শরীরের কোনও ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের হাত থেকেও রক্ষা করে। টমাটো যেহেতু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, তাই তো শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত কাঁচা টমাটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে টমাটোর শরীরে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর পাকস্থলির কর্মক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে হজম সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের সমস্যা কমতে একেবারেই সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এই সবজিটি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।

৭. কিডনি স্টোনের আশঙ্কা কমায়:

৭. কিডনি স্টোনের আশঙ্কা কমায়:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বীজ সমেত টমাটো খেলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।

৮. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:

৮. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:

টমাটোয় উপস্থিত ভিটামিন বি এবং পটাশিয়াম, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, যাদের পরিবারে হাই কোলেস্টেরল এবং ব্লাড প্রেসার রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা আজ থেকেই কাঁচা টমাটো খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন আয়ু বাড়বেই বাড়বে।

৯. হাড় শক্তপোক্ত হয়:

৯. হাড় শক্তপোক্ত হয়:

ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-কে সমৃদ্ধি হওয়ার কারণে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে টমাটোর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো বুড়ো বয়সে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের হাত থেকে বাঁচতে এখন থেকেই টমাটো খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।

১০. ক্যান্সার বিরোধী:

১০. ক্যান্সার বিরোধী:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে টমাটোয় উপস্থিত লাইকোপেন প্রস্টেট, কলোরেকটাল এবং স্টমাক ক্যান্সার রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে লাইকোপেন হল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কোষের বিভাজন ঠিক মতো হতে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমে। আর যদি একবার ক্যান্সার কোষ জন্ম নিয়েও নেয়, তাহলেও যাতে তার বৃদ্ধি দ্রুত গতিতে না হয়, সেদিকে টমাটো খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ শরীরকে ক্ষয় করার সুযোগ পায় না।

১১. ধূমপানের কুপ্রভাব থেকে বাঁচায়:

১১. ধূমপানের কুপ্রভাব থেকে বাঁচায়:

টমাটোয় রয়েছে কিউমেরিক এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা কার্সিনোজের প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে। ফলে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। তাই যারা একান্তই ধূমপান ছাড়তে পারছেন না, তারা দয়া করে দিনে ২-৩ টে কাঁচা টমাটো খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

নিয়মিত ২-৩ টে করে টমাটো খাওয়া যায় তাহলে দারুন উপকার মেলে। কারণ এমনটা করলে শরীরে ভিটামিন এ, সি এবং কে-এর পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে ভিটামিন বি৬, ফলেট এবং থিয়ামিনের মতো উপাদানের মাত্রাও বাড়ে।

Just one serving a day of tomato-based foods can have an incredibly beneficial effect on your health. Not only can they reduce heart disease, but they could potentially prevent and reverse dozens of diseases if eaten daily. This is one fruit you don’t want to leave out of your diet.
Story first published: Tuesday, January 16, 2018, 17:11 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion